আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:১৫ এএম
আফ্রিকার দেশ মরক্কের বিশাল অঞ্চল শক্তিশালী ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়েছে। বেশ কয়েকটি এলাকায় মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি। সেখানকার অনেক পরিবারের কেউ বেঁচে নেই। গোটা এলাকাজুড়ে হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
চোখের সামনে পরিবারের ১০ জনকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ এক নাগরিক। তার মতোই হতভম্ব মরক্কোর হাজার হাজার মানুষ। খবর রয়টার্সের
রিখটার স্কেলে ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৮। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগ জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্র পর্যটন শহর মারাকাশ থেকে ৭১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে হাই অ্যাটলাস পর্বতে। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৮.৫ কিলোমিটার গভীরে।
মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ১১টা ১১ মিনিটে ভূমিকম্প হয়। ১৯ মিনিট পর হয় আর একটি আফটারশক। সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৯।
আরও পড়ুন: ‘এমন ভয়াবহতা কখনো দেখিনি’
মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মারাকেশ, আল-হাউজ়, ওয়ারজাজাতে, আজ়িলাল, তারুদান্ত এলাকা সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। সে সব এলকায় বহু মানুষ এখনও আটকে রয়েছেন ভগ্নস্তূপে।
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মারাকেশের মেদিনা এলাকা। ১০৭০-৭২ সাল নাগাদ এর পত্তন হয়েছিল। এখানে রয়েছে বেশ কিছু ঐতিহাসিক স্তম্ভ, সৌধ, যা ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই মেদিনাকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তকমা দিয়েছে ইউনেস্কো।
আবদেলহাক এল আমরানি নামে এক নাগরিক জানিয়েছেন, শিশু থেকে বৃদ্ধ ভূমিকম্পের ধাক্কায় এখনও সন্ত্রস্ত। তিনি জানিয়েছেন, বহু সময় ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই শহরে।
হুদা উতাস্সাফ নামে মারাকেশের এক বাসিন্দা বলেন, ‘এখনও আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারিনি। মনে হচ্ছে সব দুলছে। পরিবারের ১০ জনকে হারিয়েছি।’ দু’দিন আগে সকলে একসঙ্গে ছিলেন। এখন কেউ আর বেঁচে নেই।
আরও পড়ুন: মরক্কোর মারাকাশে ৫০০ বছরের মধ্যে শক্তিশালী ভূমিকম্প
কম্পনের কারণে মারাকেশসহ আশপাশের এলাকার রাস্তায় ফাটল দেখা দিয়েছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বেশ কিছু এলাকা। ফলে উদ্ধারকাজ ব্যাহত। ভেঙে পড়েছে মোবাইলের টাওয়ার।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভূকম্পের কেন্দ্র যেহেতু প্রত্যন্ত এলাকায়, তাই দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হতে পারে। বেশ কিছু জায়গায় এখনও পৌঁছতেই পারেনি সরকারি দল। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বাড়তে পারে।
একে