আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:২৩ এএম
ফ্লাটের মধ্যে পটভর্তি। রীতিমতো গড়ে তোলা হয়েছে বাগান। অনেকেই বলতে পারেন যে, গাছপ্রেমী ব্যক্তি ঘরের মধ্যে গাছ লাগালে সমস্যা কোথায়? তবে অবাক করা বিষয় হলো- ফ্ল্যাটকে পুরোপুরি বাগান করে তোলা হয়েছে যে গাছ দিয়ে সেটি আর কিছু নয়, গাঁজার গাছ।
আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে, এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদের বোপাল এলাকায়। গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পেয়েছিল ফ্ল্যাটের মধ্যে গাঁজা চাষ করা হচ্ছে। এরপর সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। ফ্ল্যাটে ঢুকতেই তারা চমকে ওঠে। বেশ কিছু পাত্রে থরে থরে সাজানো গাঁজা। তল্লাশি চালিয়ে ওই ফ্ল্যাট থেকে ৯৬টি গাঁজা গাছ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তাজমহলের আলোচিত ‘গোপন কক্ষগুলো’র ছবি প্রকাশ
খবরে আরও বলা হয়েছে, সোমবার আহমেদাবাদের বোপাল এলাকার একটি আবাসনে তল্লাশি চালায় পুলিশ। সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ফরেন্সিক দলকেও। একটি অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাটের মধ্যে রীতিমত গাঁজার বাগান ও ব্যবসা চলছিল তা প্রতিবেশীরাও টের পাননি।
এক প্রতিবেশীর দাবি, ওই ফ্ল্যাটে তিন যুবক কারও সঙ্গেই তেমন মেলামেশা করতেন না। কেউ তাদের বিষয়ে খুব একটা আগ্রহও দেখাতেন না। ফলে ফ্ল্যাটের ভিতর যে এত বড় একটা মাদকের ‘কারখানা’ ছিল তা আঁচ করতে পারেননি তারা।
১৬তলার ওই ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে রবি প্রকাশ, বীরেন প্রভাত এবং রিতিকা নামে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তরা সকলেই ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘরে টবের মধ্যেই গাঁজার চাষ করছিলেন ওই তিন জন। অত্যন্ত উন্নত পদ্ধতি ব্যবহার করে সেই চাষ করা হচ্ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্তদের মধ্যে এক জন বিশেষ এক ধরনের রাসায়নিক চেন্নাই থেকে নিয়ে আসতেন। সেই রাসায়নিক গাঁজা গাছ দ্রুত বড় করার জন্য ব্যবহার করা হত। গ্রিনহাউস প্রক্রিয়ায় চলছিল গাঁজার চাষ।
আরও পড়ুন: কাশ্মিরের পরতে পরতে সৌন্দর্য ছড়িয়েছে ‘ঝিলাম’
পুলিশ আরও জানিয়েছে, যে গাঁজা উদ্ধার হয়েছে, তা উন্নত মানের। বিদেশে এই ধরনের গাঁজার চাষ হয়। এই তিন জনের সঙ্গে কোনও বিদেশি মাদকপাচার চক্রের যোগ আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কোথায় কোথায় গাঁজা সরবরাহ করা হত, কারা সেই গাঁজা কিনতেন, তাও জানতে তদন্ত করছে পুলিশ।
একে