আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৬ আগস্ট ২০২৩, ১০:০৬ এএম
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের পর থেকেই পশ্চিমাদের নানা নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হয়েছে রাশিয়াকে। এরপর থেকেই দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এশিয়া অঞ্চলে বাণিজ্য জোরদারে মনোনিবেশ করেছে মস্কো। এই লক্ষ্য নিয়ে সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞার বাধা ডিঙিয়ে এশিয়ার দেশ উত্তর কোরিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু। ইতিবাচক সাড়াও মিলেছে। দুই দেশের মধ্যে ‘দীর্ঘস্থায়ী কৌশলগত সম্পর্ক’ গড়তে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে চিঠি দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন।
মঙ্গলবার পুতিনকে দেওয়া চিঠিতে কিম বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের বিরুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে দুই দেশের বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল এবং এখন তারা ‘সাম্রাজ্যবাদীদের স্বেচ্ছাচারী অনুশীলন এবং আধিপত্যকে ধ্বংস করার লড়াইয়ে তাদের অজেয়তা এবং শক্তি সম্পূর্ণরূপে প্রদর্শন করছে।’
চিঠিতে কিম আরও লিখেছেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এই বন্ধুত্ব এবং সংহতি নতুন চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলায় একটি দীর্ঘস্থায়ী কৌশলগত সম্পর্কে পরিণত হবে। দুই দেশ সবসময় বিজয়ী হবে এবং একে-অপরকে লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।’
১৯৪৫ সালে জাপানের ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে উত্তর কোরিয়া। এই স্বাধীনতার ৭৮ বছর উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) পুতিনকে এই চিঠি পাঠান কিম।
এদিকে, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার সম্পর্কে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি দেশটি উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে কামানের গোলা, রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্রসহ অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ করেছে। যদিও পিয়ংইয়ং এবং মস্কো অস্ত্র লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, যদি এ ধরনের কোনো চুক্তি হয়ে থাকে তবে এর মাধ্যমে জাতিসংঘের বেশ কয়েকটি রেজ্যুলেশন ভঙ্গ হবে।
তথ্যসূত্র: কেসিএনএ, রয়টার্স, সিএনএন।
/আইএইচ