images

অভিবাসন

ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইতালিতে বাংলাদেশিসহ আরও ১২০ অভিবাসী

অভিবাসন ডেস্ক

২৪ এপ্রিল ২০২৩, ০৬:০৬ পিএম

ইউরোপে অভিবাসনের উদ্দেশ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। এমন ১২০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করে ইতালির উপকূলে নিয়ে আসা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের নাগরিকও।

রোববার (২৩ এপ্রিল) ইতালির উপকূলরক্ষীরা ৯০ জন এবং উদ্ধারকারী জাহাজ ওশ্যান ভাইকিং ৩০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে দেশটির পৃথক দুইটি উপকূলে নামিয়ে দেয়।

বার্তা সংস্থা আনসা জানায়, শনিবার রাতে অন্তত ৯০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে সেন্ট্রাল ভূমধ্যসাগরে বিপদগ্রস্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করে উপকূলরক্ষীরা। উদ্ধারের পর রোববার সকালে তাদের ক্যালাব্রিয়া অঞ্চলের রোচেলা আইওনিকা বন্দরে নামানো হয়।

সংস্থাটি আরও জানায়, ইতালির দক্ষিণ উপকূলে পালতোলা নৌকাটিকে দেখেই এগিয়ে যায় দেশটির উপকূলরক্ষীরা। সমুদ্রের বিরূপ আবহাওয়ার মুখে পড়া নৌকাটি থেকে শুরু হয় উদ্ধার কাজ। উদ্ধার হওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে ১৪ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক। এদের মধ্যে কয়েকজনের অভিভাবকও নেই।

অন্যদিকে, ৩০ জন অভিবাসীকে উদ্ধারের পর রোববার সকালে ইতালির বারি বন্দরে নামিয়ে দিয়েছে ফরাসি দাতব্য সংস্থা এসওএস মেডিটারানের উদ্ধারকারী জাহাজ ওশ্যান ভাইকিং। এই ৩০ জনের মধ্যে বাংলাদেশ এবং সুদানের নাগরিক ছিল বলে জানা যায়। তবে তাদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি রয়েছেন, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দক্ষিণ ইতালিতে নামিয়ে দেওয়া এই ৩০ জনের মধ্যে ২ জন অভিভাবকহীন শিশু। শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়ায় এক শিশুকে বারি বন্দরের নিকটস্থ একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মূলত এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উদ্ধার করা হয়। ভূমধ্যসাগরে মাল্টার কাছে আন্তর্জাতিক জলসীমায় ছিল উদ্ধারকারী জাহাজটি। ওইদিন সন্ধ্যায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উদ্ধারের পাঁচদিন আগে থেকেই ভূমধ্যসাগরে ভাসছিল ওশ্যান ভাইকিং।

ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারেরও বেশি অভিবাসী নৌকা নিয়ে ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে ইতালি এসে পৌঁছেছেন। অথচ গত বছর এই সময়ে সংখ্যাটি ছিল আট হাজার ৬০০।

এর আগে, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের চাপ সামাল দিতে গত ১১ এপ্রিল দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে ইতালি সরকার। এই জরুরি অবস্থা অন্তত ছয় মাস দীর্ঘ হবে।

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপমুখী অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য চলতি বছরের প্রথম তিন মাস সবচেয়ে বিপজ্জনক ছিল বলে চিহ্নিত করেছে জাতিসংঘ। গত ১২ এপ্রিল সংস্থাটি জানিয়, ২০১৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত হিসেব অনুযায়ী সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সময় ছিল চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত। কারণ এই সময় মারা গেছে অন্তত ৪৪১ জন মানুষ।

সূত্র: ইনফোমাইগ্রেন্টস

এমএইচটি