images

অভিবাসন

সিকিমে গিয়ে যে ৮ কাজ ভুলেও করবেন না

অভিবাসন ডেস্ক

১৪ এপ্রিল ২০২৩, ০২:২৮ পিএম

সিকিম আয়তনের দিক দিয়ে ভারতের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম রাজ্য। কিন্তু প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে এটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। সিকিমের বৃহত্তম শহর এবং রাজধানীর নাম গ্যাংটক। পর্যটকদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে অঞ্চলটি। তাই এখানে সবসময়ই পর্যটকদের ভিড় থাকে। সিকিম যাওয়ার সেরা সময়, ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে মে এবং সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত। তাই এই প্রচণ্ড গরমে সিকিমের পাহাড় ভ্রমণ বেশ স্বস্তিদায়ক। সেখানে গেলে কয়েকটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে। চলুন জেনে নিই সিকিমে গিয়ে যে ৮ কাজ ভুলেও করবেন না।

sikkimবৃষ্টির জন্য প্রস্তুত থাকুন

সিকিমে যে ঋতুতেই যান না কেন, বৃষ্টি পাবেনই। সেখানে প্রায় সারা বছরই বৃষ্টিপাত হয়। তাই সবসময় কিছু অতিরিক্ত পোশাক, ছাতা বা রেইনকোট বহন করতে ভুলবেন না।

সঙ্গে ওষুধ রাখবেন

সিকিমে গেলে অনেকটা উচ্চতায় উঠতে হয়। কারণ, সেখানে কিছু জনপ্রিয় পর্যটন স্থান রয়েছে যা অনেকটা উচ্চতায় অবস্থিত। ওই সব স্থানে যেতে পাহাড়ি ঘোরানো রাস্তা দিয়ে যেতে হয়। সেক্ষেত্রে অনেকের মাথা ঘোরানো, বমিভাবসহ বিভিন্ন অস্বস্তি হতে পারে। এমনকি যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে, তা দেখা দিতে পারে। তাই প্রয়োজনীয় ওষুধ সঙ্গে রাখতে ভুলবেন না।

sikkimসুবিধাজনক স্থানে থাকুন

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পাহাড় ভ্রমণে গিয়ে অনেকেই অ্যাডভেঞ্চারে মেতে ওঠেন। পাহাড়ি জঙ্গলে ট্রেক করা, জিপলাইনিং, ক্যাবল কার রাইড, প্যারাগ্লাইডিং বা হেলিকপ্টার রাইডের মতো রোমহর্ষক খেলায় মত্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু এটি মোটেও উচিত নয়। কারও দেখাদেখি এসব করবেন না। নিজের শারীরিক অবস্থা বুঝে তবেই এগুলো করবেন। কারণ, পাহাড়ি পরিবেশে অনেকের স্বাস্থ্য ঠিক থাকে না। এক্ষেত্রে বড় ধরনের সমস্যাও হতে পারে।

শুধু পূর্ব ও উত্তর সিকিমেই ঘুরবেন না

রাজধানী গ্যাংটক পূর্ব সিকিমে অবস্থিত এবং ফুলের উপত্যকা, বিশ্বের উচ্চতম হ্রদ, শীতকালে তুষারপাতসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় জিনিসগুলোর দেখা মেলে উত্তর সিকিমে। তাই বেশিরভাগ পর্যটকই পূর্ব ও উত্তর সিকিম ভ্রমণ করেন। কিন্তু সেজন্য দক্ষিণ ও পশ্চিম সিকিম বাদ দেবেন না। কারণ, পশ্চিম সিকিমের ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং দক্ষিণ সিকিমের চা বাগান এবং অসংখ্য হ্রদ আপনাকে মোহিত করবে।

sikkimস্থানীয়দের এড়িয়ে যাবেন না

সিকিমের বাসিন্দারা বেশ অতিথিপরায়ণ এবং সহজ-সরল। তাদের সঙ্গে ভালোভাবে কথা বললেই দেখবেন তারা সাহায্য করার জন্য উৎসাহী। সেখানে রেস্তোরাঁ বা ক্যাফেতে, যেখানেই যান না কেন সকলেই হাসিমুখে স্বাগত জানাবেন।

শুধু মোমো খেয়েই থাকবেন না

সিকিমের মোমো অত্যন্ত সুস্বাদু। কিন্তু তা বলে শুধু মোমো খেয়েই যেন পেট ভরাবেন না। সেখানকার খাবার খুবই সুস্বাদু। রান্নার মধ্যে ভুটান, নেপাল, চীন এবং তিব্বতের রান্নার প্রভাব স্পষ্ট। এছাড়াও সেখানকার তিনটি প্রধান উপজাতি ভুটিয়া, লেপচা এবং নেপালি রান্নার প্রভাবও রয়েছে। নেওয়ারি, থাকালি, থুকপা, শ্যাফালে এবং লাফিং হলো সেখানকার বেশকিছু সুস্বাদু খাবার।

এমএইচটি