images

অভিবাসন

তুরস্ক-ইতালি সমুদ্র পথে অভিবাসীপ্রত্যাশী বেড়েছে দ্বিগুণ

অভিবাসন ডেস্ক

০৩ মার্চ ২০২৩, ০৯:১৩ পিএম

ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ক্রমেই বেড়ে চলেছে অভিবাসীপ্রত্যাশীদের সংখ্যা। বর্তমানে তুরস্ক-ইতালি সমুদ্র পথে অভিবাসন প্রত্যাশীদের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে ভলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।

সংস্থাটি বলেছে, গত এক সপ্তাহে সমুদ্র পথে তুরস্ক থেকে ইতালির ক্যালাব্রিয়ায় গিয়েছে ৬৯৫ অভিবাসন প্রত্যাশী। ২০২২ সালে সমুদ্র পথে ইতালি আসে এক লাখ পাঁচ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী। তাদের মধ্যে অন্তত ১৫ হাজার মানুষ আসেন তুরস্ক-ইতালি সমুদ্র পথে যায়, যা ২০২১ সালের তুলনায় দ্বিগুণ।

গ্রিসের কট্টরপন্থী সরকার অভিবাসন প্রত্যাশীদের ফিরিয়ে দিচ্ছে বলেই এমন ঘটনা ঘটছে দাবি করে তুরস্ক অভিযোগ করে, এজিয়ান সাগরে গ্রিস অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অবরুদ্ধ করে রেখেছে। তারা বলছে, দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের দক্ষিণ ইতালিতে যেতেও বাধ্য করছে গ্রিস।

অভিবাসন প্রত্যাশীরা ইউরোপ যেতে মানবপাচারকারীদের হাতে হাজার হাজার ইউরো দেয়ার পর ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রায় খুব বেশি খাবার কেনার সামর্থ্যও তাদের থাকে না বলে জানিয়েছে তারা।

turkey-migrants২০১৯ সালে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রক্ষণশীল কিরিয়াকোস মিতসোটাকিসের জয়ের পর দেশটির সীমান্ত থেকে অভিবাসীদের ফিরিয়ে দেয়ার প্রবণতা বাড়ছে। গ্রিসের দ্বীপগুলোতে অভিবাসীদের পৌঁছানো বেশ কঠিন হয়ে পড়ছে। ফলে তারা দক্ষিণ ইতালির দিকে যেতে বাধ্য হয় তারা।

গ্রীসের অভিবাসন নীতির কট্টর সমালোচক আঙ্কারা জানিয়েছে, ২০২২ সালে ১৮ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশীকে ফিরিয়ে দিয়েছে দেশটি।

অধিকাংশ অভিবাসন প্রত্যাশী সিরিয়ান ও আফগান

তুরস্কে শুধুমাত্র সিরিয়ান শরণার্থীর সংখ্যা এখনও ৩৫ লাখের বেশি। এর পরেই রয়েছে আফগানরা। ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করলে অনেকেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসেন। এছাড়া রয়েছে ইয়েমেন, ফিলিস্তিন, কঙ্গো, নাইজেরিয়া, সোমালিয়া ও ইরিত্রিয়াসহ আফ্রিকান বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরাও।

অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে যারা সমুদ্র পথে ইতালি গিয়েছেন তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেখানে পৌঁছাতে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিকে দিতে হয় প্রায় ৮ হাজার ৫০০ ইউরো। আর অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য দিতে হয় ৪ হাজার ইউরো।

সূত্র: ইনফোমাইগ্রেন্ট

এমএইচটি