images

অভিবাসন

শরণার্থীদের জন্য ‘সৃজনশীল আবাসন’ গড়ল হামবুর্গ

ফিচার ডেস্ক

২৭ ডিসেম্বর ২০২২, ০৩:২২ পিএম

ইউরোপের বিভিন্ন দেশে শরণার্থীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ফলে শহরগুলোতে তাদের ঠাঁই দেওয়াই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। নগরকর্তাদের চিন্তা, শরণার্থীদের থাকার জন্য কোথায় জায়গা দেবেন?

এই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে জার্মানির হামবুর্গ শহর কর্তৃপক্ষ। শরণার্থীদের জন্য ‘ছোট ঘরের’ ব্যবস্থা করেছে শহরটি৷

খবর ইনফো মাইগ্র্যান্টসের।

migrantsজার্মানির বন্দরনগরী হামবুর্গে প্রতিদিন একশোর মতো শরণার্থী হাজির হন। রাজ্যটির অর্থমন্ত্রী মেলানি লিওনহার্ড জানান, অধিকাংশ শরণার্থীই ইউক্রেন থেকে আসছেন এবং তাদের অনেকের থাকার জায়গা নেই।

চলতি বছরের শেষ নাগাদ হামবুর্গে ৫০ হাজারের মতো থাকার নতুন জায়গার প্রয়োজন হতে পারে। ফলে শহর কর্তৃপক্ষ দ্রুত এই সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হয়েছে। এক্ষেত্রে তাঁবু দিয়ে তৈরি থাকার স্থান বা বিভিন্ন স্কুলের খেলার স্থান ব্যবহারের বদলে অন্য কিছু করতে চেয়েছে নগরটি। এজন্য চালু করছে ছোট ছোট ঘর, যা যেকোনো ফাঁকা জায়গায় রাখা যাবে। 

হামবুর্গ কর্তৃপক্ষ এ ধরনের ছোট ঘর তৈরির প্রাথমিক দায়িত্ব দিয়েছে সাপোর্ট অ্যান্ড লিভিং নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে।

hamburgপ্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রবার্টো ক্ল্যান বলেন, ‘হামবুর্গে আশ্রয় চাওয়া মানুষদের আশ্রয় দিতে আমাদের দ্রুত সম্ভাব্য সব জায়গা প্রয়োজন।’ 

তবে ছোট বা ক্ষুদ্র এই বাসাগুলো দেখতে লাইফস্টাইল ম্যাগাজিনে থাকা ছবির মতো সুন্দর নয়। সাদা কন্টেইনারে তৈরি এসব ঘরে দুইটি শোয়ার ঘর থাকে৷। সেগুলো বাথরুম এবং ছোট রান্নাঘর দিয়ে আলাদা করা হয়। সেগুলো আবার একত্র করে প্রতি তলায় ছয় কক্ষের দুই তলা বাড়িও বানানো সম্ভব। 

আগামী জানুয়ারি থেকে এসব বাসায় শরণার্থীরা আশ্রয় পাবেন।

লিওনহার্ড জানান, ২০১৫-২০১৬ সালের দিকেও শরণার্থীদের জন্য এমন ঘর তৈরি করে ভালো জীবন নিশ্চিত করা হয়েছিল। তবে, এবার নানা চ্যালেঞ্জ দেখছেন তিনি।

hamburgমেলানি লিওনহার্ড বলেন, ‘চলতি বছর এগুলো বানানোর ক্ষেত্রে আমরা তীব্র স্থান সংকটে পড়েছি। কর্মী সংকটও রয়েছে। পিগিব্যাক সাইটটি করতে আমাদের হামবুর্গ বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সাড়ে তিন বছরের জন্য জমি ইজারা নিতে হয়েছে। এরপর ঘরগুলোর কী হবে তা নিশ্চিত নয়।

এখন পর্যন্ত অবশ্য প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সীমিত ঘর তৈরি করা গেছে। হামবুর্গ ইতোমধ্যে শুধু ইউক্রেনেরই ২০ হাজার মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে। আবাসন সংকট কাটাতে ছোট ঘর প্রকল্পের জন্য তাই যে কেউ জমি বা স্থাপনা দিতে পারেন বলে জানিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ।

এজেড