images

অভিবাসন

ইউরোপে অনিয়মিত অভিবাসীর সংখ্যা কমেছে

অভিবাসন ডেস্ক

১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৮ পিএম

২০২৪ সালের প্রথম ১০ মাসে অন্তত এক লাখ ৯১ হাজার ৯০০ জন অনিয়মিত অভিবাসী ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর বিভিন্ন দেশে এসেছেন৷ জোটের সীমান্ত সুরক্ষা সংস্থা ফ্রন্টেক্স জানিয়েছে, সংখ্যাটি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৩ শতাংশ কম৷ খবর ইনফো মাইগ্রেন্টসের।

ফ্রন্টেক্স বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত অনিয়মিত অভিবাসী আগমন সবচেয়ে বেশি কমেছে সেন্ট্রাল ভূমধ্যসাগরীয় এবং পশ্চিম বলকান রুটে৷ ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় এই দুটি রুটে আগমন কমেছে যথাক্রমে ৬২ শতাংশ এবং ৮০ শতাংশ৷

ইইউ সীমান্ত সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, মানবপাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের লক্ষ্যে টিউনিশিয়া এবং লিবিয়ার কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তির কারণেই ইটালিমুখী অভিবাসীদের সংখ্যা ক্রমশ কমেছে৷

সেন্ট্রাল ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে অন্তত ৫৫ হাজার ২২৭ জন অনিয়মিত অভিবাসী ইটালিতে এসেছেন৷ যাদের বেশিরভাগই বাংলাদেশ, সিরিয়া ও টিউনিশিয়া থেকে এসেছেন৷

আরও পড়ুন: বিদেশি কর্মী নেবে ক্রোয়েশিয়া

অপরদিকে পশ্চিম ভূমধ্যসাগরীয় রুট হয়ে স্পেনে আগমনের হারও ৫ শতাংশ কমেছে৷ মরক্কো এবং অন্যান্য উত্তর আফ্রিকার দেশগুলো থেকে সমুদ্র এবং স্থলপথে এসব অভিবাসীরা স্পেনে এসে থাকেন৷ 

বছরের প্রথম ১০ মাসে ১২ হাজার ৯৫২ জন অনিয়মিত অভিবাসী এই রুটে ইউরোপে ঢুকেছেন৷ তাদের বেশিরভাগই আলজেরিয়া, মরক্কো এবং মালির নাগরিক৷

অন্যদিকে, পূর্ব ভূমধ্যসাগর রুট হয়ে গ্রিস এবং পশ্চিম আফ্রিকার রুট হয়ে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে অভিবাসী আগমনের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে৷ 

migration

বছরের শুরু থেকেই এ দুইটি সমুদ্রপথ ইউরোপের সবচেয়ে ব্যস্ত অভিবাসন রুটে পরিণত হয়েছে৷ 

তবে ইইউর বহিঃসীমান্তে আগের বছরের তুলনায় সর্বাধিক সংখ্যক প্রবেশ শনাক্ত করা হয়েছে৷ গত বছরের তুলনায় বেড়েছে ১৯৫ শতাংশ৷

১৫ হাজার ২৩৪ জন অনিয়মিত অভিবাসী স্থল সীমান্ত হয়ে ইউরোপে ঢুকেছেন৷ ইউক্রেনীয়, সোমালি এবং ইরিত্রিয়ান নাগরিকেরা এই রুটে সর্বোচ্চ সংখ্যায় প্রবেশ করেছেন৷ 

উত্তর ফ্রান্স এবং ব্রিটেনের মধ্যকার ইংলিশ চ্যানেল হয়ে অনিয়মিত অভিবাসন ৫ শতাংশ বেড়েছে৷ 

জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা (আইওএম) বলছে, এই বছর ব্রিটিশ উপকূলে পৌঁছানোর চেষ্টা করা অন্তত ৭০ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন৷ যা গত দশ বছরের মধ্যে এই রুটে সর্বোচ্চ৷ 

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এবং অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে সতর্ক করেছিল, উত্তর আফ্রিকা থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়া মানুষের সংখ্যা ২০২৪ সালে তীব্রভাবে কমেছে৷

ইউএনএইচসিআর অনুসারে, এ বছর এ পর্যন্ত সমুদ্রপথে ইউরোপীয় উপকূলে পৌঁছানোর চেষ্টা করে কমপক্ষে দুই হাজার ৮৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন৷ তবে এই সংখ্যাটি অনেক বেশি বলে ধারণা করছে এনজিও ও অভিবাসন সংস্থাগুলো৷ 

তথ্যসূত্র: ইনফো মাইগ্রেন্টস

এজেড