অবৈধ অভিবাসীদের জন্য দ্বীপে আশ্রয়কেন্দ্র বানাচ্ছে স্পেন

ভূমধ্যসাগরে অবস্থিত স্পেনের আলবোরান দ্বীপে একটি অস্থায়ী জরুরি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে দেশটির মন্ত্রিপরিষদ। নতুন এই কাঠামো তৈরি হলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ অভিবাসীদের ব্যাপক আগমন সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে পারবে বলে ধারণা করছে মাদ্রিদ। খবর ইনফো মাইগ্র্যান্টসের।

আলবোরান দ্বীপ ভূমধ্যসাগরে অবস্থিত একটি স্প্যানিশ দ্বীপ। এটি মরক্কোর পাশে অবস্থিত মেলিলা উপকূল থেকে ৫৭ কিলোমিটার উত্তরে এবং স্পেনের মূল ভূখণ্ড থেকে ৮৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

আরও পড়ুন: ফ্রান্সে অবৈধ অভিবাসী ধরতে অভিযান চলছে

দ্বীপটির আয়তন মাত্র সাত হেক্টর। সেখানে উপযুক্ত আশ্রয় অবকাঠামো না থাকায় অভিবাসীদের আগমনের ক্ষেত্রে হিমশিম খেতে হয় কর্তৃপক্ষকে। সবশেষ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তর আফ্রিকা থেকে ১৯৮ জন অভিবাসী এসে পৌঁছেছিল। যাদেরকে পরবর্তীতে স্পেনের মূল ভূখণ্ডে স্থানান্তর করা হয়েছিল। 

মেলিলাসহ ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত স্পেনের দ্বীপগুলোতে গত বছর থেকে বেড়েছে অনিয়মিত অভিবাসীদের আগমন। 

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) স্প্যানিশ সরকার জানিয়েছে, দ্বীপের প্রস্তাবিত অবকাঠামো নির্মাণে খরচ হবে ১৩ লাখ ইউরো। এটি সমুদ্র পথে আসা অভিবাসীদের আগমনের ক্ষেত্রে কার্যকরভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে সহায়তা করবে। 

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অভিবাসীদের ব্যাপক আগমনের পর ১১ মার্চ প্রথমবারের মতো আলবোরান দ্বীপ সফর করেছিলেন স্পেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী।

ওই সময় প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্গারিটা রোবেলস দ্বীপটি পরিদর্শন করে এবং নৌবাহিনীর সদস্যদের সাথে বৈঠক করেছিলেন। তিনি বৈঠকে নৌবাহিনীকে কঠিন এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য ধন্যবাদ জানান। 

রোবেলস উল্লেখ করেন, দ্বীপটি অভিবাসী আগমন ইস্যুতে সরকারের অগ্রাধিকারে পরিণত হয়েছে। আলবোরানের জটিল অবস্থা সমুদ্রের মাঝখানে ঝুঁকিতে থাকা একটি জাহাজের সাথে তুলনা করেন তিনি।

ফেব্রুয়ারিতে অভিবাসী আগমনের পর নৌবাহিনীর মাত্র দশজন সৈন্যের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল এক সপ্তাহ ধরে অভিবাসীদের অভ্যর্থনাসহ যাবতীয় দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

ভূমধ্যসাগরের লিবিয়া-ইটালি রুটে কড়াকড়ি নিয়ন্ত্রণ আরোপের কারণে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের দারিদ্র্য এবং সংঘাত থেকে পালিয়ে আসা মানুষের কাছে ক্যানারিসহ স্পেনের বিভিন্ন দ্বীপপুঞ্জ ইউরোপের প্রবেশের অন্যতম প্রবেশপথ হয়ে উঠেছে৷

২০২৩ সালে স্পেনে আসা অভিবাসীদের ৩৯ হাজার ৯১০ জন আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে সমুদ্র পথে বিপজ্জনক অভিবাসন রুট পাড়ি দিয়ে ক্যানারিতে এসেছেন৷ ২০২২ সালের তুলনায় সংখ্যাটি ১৫৪ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি৷

তথ্যসূত্র: ইনফো মাইগ্র্যান্টস

এজেড