অভিবাসন ডেস্ক
১০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৪১ পিএম
২০২৪ সালের প্রথম তিন মাসে জার্মানিতে নতুন করে আশ্রয় চেয়ে করা আবেদনের সংখ্যা গেল বছরের একই সময়ের তুলনায় অন্তত ২০ শতাংশ কমেছে। ৮ এপ্রিল দেশটির অভিবাসন এবং শরণার্থী বিষয়ক কেন্দ্রীয় অফিস (বিএএমএফ) এ তথ্য জানিয়েছে৷ খবর ইনফো মাইগ্র্যান্টসের।
এ বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে জার্মানিতে আশ্রয় চেয়ে করা আবেদনের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৪১৯টি৷ বিএএমএফ জানিয়েছে, সংখ্যাটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ দশমিক ২ শতাংশ কম।
আরও পড়ুন: আশ্রয়প্রার্থীদের তৃতীয় দেশে পাঠানোর উদ্যোগ ইউরোপীয় ইউনিয়নের
জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেজার বলেন, ‘এতে এটিই প্রমাণিত হয়েছে যে আমাদের নেয়া পদক্ষেপগুলো কাজে আসছে৷ আমরা যুদ্ধ এবং সন্ত্রাস থেকে অনেক মানুষকে সুরক্ষা দিয়েছি৷ একইসঙ্গে যাদের সুরক্ষার প্রয়োজন নেই তাদের সংখ্যাটি আমরা নিয়ন্ত্রণ করছি৷’
গেল বছরের অক্টোবর থেকে প্রতিবেশী কয়েকটি দেশের সঙ্গে থাকা সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে জার্মানি।
প্রতিবেশি দেশ পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র এবং সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে থাকা স্থল সীমান্তে নজরদারি ১৫ জুন পর্যন্ত অব্যাহত রাখবে জার্মানি।
অস্ট্রিয়ার সঙ্গেও স্থল সীমান্ত তল্লাশি মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে জার্মানি। এক্ষেত্রে আশ্রয়ব্যবস্থায় বাড়তি চাপ, মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত নিরাপত্তা হুমকি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের উল্লেখ করেছে জার্মান সরকার।
এদিকে ১৪ জুন থেকে জার্মানিতে শুরু হতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ। ওই সময়টাতেও সীমান্তে বাড়তি নজরদারি জারি রাখতে চায় বার্লিন।
চলমান এই নজরদারির মধ্য দিয়ে ১৭ হাজার ৬০০টি অনিয়মিত প্রবেশ ঠেকানো সম্ভব হয়েছে বলেও জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি আরো বলেন, এই সময়ের মধ্যে মানবপাচারে জড়িত অন্তত সাতশ ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
ফেজার বলেন, অনিয়মিত অভিবাসনকে স্থায়ীভাবে নিয়ন্ত্রণে যতোদিন প্রয়োজন, ততোদিন আমরা সীমান্তে নজরদারি অব্যাহত রাখব।
বিএএমএফ জানিয়েছে, আশ্রয় আবেদন কমার প্রবণতা বছরের শুরু থেকেই দৃশ্যমান ছিল। মার্চে এসে আশ্রয় আবেদনের সংখ্যা জানুয়ারির চেয়ে অন্তত ১০ হাজার কমেছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিএএমএফ-এর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের প্রথম তিন মাসে আশ্রয় চেয়ে করা আবেদনকারীদের মধ্যে সবার শীর্ষে রয়েছেন সিরিয়ার নাগরিকেরা। তাদের জমা দেয়া আবেদনের সংখ্যা ২০ হাজারেরও কম। ১০ হাজার ১৯৮টি আবেদন নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে আছে আফগানিস্তানের নাম৷ তৃতীয় অবস্থানে থাকা তুরস্কের ১০ হাজার ১১৯ জন নাগরিক জার্মানি আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন।
এই সময়ের মধ্যে নতুন ও পুরানো মিলিয়ে ৮০ হাজার ৬৫১টি আশ্রয় আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মান কর্তৃপক্ষ৷ এসব আবেদনের মধ্যে ৪৬ দশমিক ১ শতাংশ ব্যক্তির আশ্রয় আবেদন মঞ্জুর করেছে দেশটি।
সূত্র: ইনফো মাইগ্র্যান্টস
এজেড