অভিবাসন ডেস্ক
১৯ অক্টোবর ২০২৩, ১২:৫২ পিএম
পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ দেশ ইংল্যান্ড। যা ইউরোপের অন্তর্গত। দেশটির রাজধানী লন্ডন ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ নগর ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র। ইংল্যান্ড এমন একটি দেশ, যা যুক্তরাজ্যের বৃহৎ অংশ হিসেবে পরিচিত। এর উত্তরে স্কটল্যান্ড, পশ্চিমে ওয়েলস, উত্তর-পশ্চিমে আইরিশ সাগর, দক্ষিণ-পশ্চিমে কেলটিক সাগর অবস্থিত। পূর্বে ইংল্যান্ডকে ইউরোপীয় মহাদেশ থেকে আলাদা করেছে উত্তর সাগর আর দক্ষিণে আলাদা করেছে ইংলিশ চ্যানেল। ইংল্যান্ড দেশটি ব্রিটেনের পাঁচ-অষ্টমাংশ জুড়ে রয়েছে।
ইংল্যান্ড যদি আলাদা দেশই হবে তাহলে যুক্তরাজ্য কী আর গ্রেট ব্রিটেনই বা কী? একদম সংক্ষেপে বলতে গেলে, যুক্তরাজ্য ৪টি সাংবিধানিক রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত একটি দেশ। এই ৪টি দেশের মধ্যে ইংল্যান্ড হচ্ছে একটি দেশ। আর গ্রেট ব্রিটেন হচ্ছে ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের সর্ববৃহৎ দ্বীপ, যেই দ্বীপেরই একটি অংশ হচ্ছে ইংল্যান্ড।

ইংল্যান্ডের রাজধানী এবং সমগ্র পৃথিবীরই অন্যতম বৃহত্তম শহর লন্ডন। এটি ইংল্যান্ডের টেমস নদীর তীরে অবস্থিত। প্রায় ৭০ লক্ষ লোকের বসতি এই লন্ডন সপ্তদশ শতক থেকেই ইউরোপে তার প্রথম স্থান বজায় রেখে আসছে। ঊনবিংশ শতাব্দীতে এটিই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর। কারণ তখন বিশ্বের উল্লেখযোগ্য সকল স্থানই ছিল ব্রিটিশ রাজত্বের অধীন আর লন্ডন ছিল সেই রাজত্বের রাজকীয় ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র। বর্তমান যুগেও লন্ডন পৃথিবীর অন্যতম প্রধান অর্থ-বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকে।

শিক্ষার ক্ষেত্রে ইংল্যান্ডের বিশ্বজুড়ে সুনাম রয়েছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়ারউইক স্কুল, কিংস কলেজ, লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়, গ্রিনউইচ বিশ্ববিদ্যালয়, লন্ডনের কুইন ম্যারি বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি দেশটির বিখ্যাত সব স্কুল কলেজের নাম। এছাড়াও ইংল্যান্ডে অসংখ্য নাম করা স্কুল কলেজ রয়েছে।
ইংল্যান্ডের অর্থনীতি পুরো ইউরোপের মধ্যে অন্যতম বৃহত্তম অর্থনীতি। এটি একইসাথে যুক্তরাজ্যের সর্ববৃহৎ অর্থনীতি।
ইংল্যান্ডের সরকারী মুদ্রা পাউন্ড স্টার্লিং বা জিবিপি। দেশটির মোট জিডিপি প্রায় ১.৫৬ ট্রিলিয়ন পাউন্ড। এবং মাথাপিছু আয় প্রায় ২৮ হাজার পাউন্ড।

ঐতিহাসিক এবং ভাষাগত শিকড়ের দিক থেকে ইংল্যান্ডকে তিনটি বিভাগে ভাগ করা যায়। এই বিভাগগুলোকে আরও বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়, যা কাউন্টিসমূহের সমন্বয়ে গঠিত (যাদের অধিকাংশের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, তবে প্রশাসনিক কারণে অনেক ক্ষেত্রে সংশোধিত হয়েছে)।
ইংল্যান্ডের উত্তর দিকে রয়েছে স্কটল্যান্ড, পশ্চিমে ওয়েলস এবং উত্তর-পশ্চিমে একটু দূরেই নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড। খোদ যুক্তরাজ্যের মানুষই কখনো কখনো ভুলে যান যে, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড তাদেরই অংশ।

ইংল্যান্ড , স্কটল্যান্ড, ওয়েলস, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড- এই চার দেশ নিয়েই যুক্তরাজ্য গঠিত।
এই চারটি দেশের নাগরিকদের আবার নিজ দেশের পাসপোর্ট নেই। তাদের সবাইকে বলা হয় ব্রিটিশ নাগরিক। চার দেশের সবার পাসপোর্ট এক- ব্রিটিশ পাসপোর্ট। আরো ভালোভাবে বলতে গেলে- তারা যুক্তরাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ব্রিটিশ নাগরিক। যুক্তরাজ্যের পুরো নাম হচ্ছে- ‘ইউনাইডেট কিংডম অব গ্রেট ব্রিটেন অ্যান্ড নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড’।
এজেড