images

অভিবাসন

যে দেশে নদী নেই

অভিবাসন ডেস্ক

০৮ জুলাই ২০২৩, ১০:৪১ এএম

পানি ছাড়া মানব জাতি বেঁচে থাকার কল্পনাও করতে পারে না। পৃথিবী তিন ভাগই পানি। অর্থাৎ পুরো পৃথিবীই পানি বেষ্টিত। তবে সব পানি কিন্তু মানুষের ব্যবহারযোগ্য নয়। দৈনন্দিন জীবনে যে পানির প্রয়োজন তার ভান্ডার কিন্তু নির্দিষ্ট। পানির প্রধান উৎস হল বৃষ্টি তথা নদী। বৃষ্টির পানি নদী বা অন্যান্য জলাশয়ে পড়ে, সেই পানিই আমরা পানের উপযোগী করে তুলি। যে দেশে বৃষ্টি হয় না সেখানে পানির অভাব দেখা দেবেই। উষ্ণায়নের প্রভাবে বিশ্বের বহু স্থানে বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই কমে গেছে। ফলে সেখানে পানি সংকট দেখা দিয়েছে। কিন্তু যে দেশে একেবারেই বৃষ্টি হয় না সেখানে পানি আসবে কোথা থেকে? 

প্রাচীনকালে পৃথিবীর বেশিরভাগ সভ্যতাই গড়ে উঠেছিল নদীর তীরে। আজও সেই রীতি রয়ে গেছে। কিন্তু জানেন কি এমন একটি দেশ আছে সেখানে কোনও নদী নেই? সেখানে বৃষ্টির অভাবও চোখে পড়ার মতো। অথচ সেদেশে অর্থাভাব নেই। এমনকি মানুষজন বসবাস করেন বহাল তবিয়তে। তাহলে সেদেশে পানির চাহিদা পূরণ হয় কীভাবে? 

riverএকটি অদ্ভুত দেশ সম্পর্কে জানি যেসব দেশে নদী নেই। 

এই সেই দেশ যেখানে একটিও নদী নেই

সৌদি আরব হল এমন একটি দেশ, যেখানে একটিও নদী বা হ্রদ নেই। অথচ এই দেশটি বিশ্বের ধনী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। শুধু তাই নয়, সৌদি আরবে বৃষ্টির পরিমাণও নগণ্য। এখানে প্রতি বছর মাত্র এক থেকে দুই দিন বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির অভাবে এখানকার ভূগর্ভস্থ জলও জমা হয় না।

জিডিপির ২ শতাংশ পানির জন্য ব্যয় করে

প্রাকৃতিক পানির অভাবের কারণে সৌদিকে পানির জন্য প্রচুর খরচ করতে হয়। উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী সৌদি আরব প্রতি বছর তার জিডিপির ২ শতাংশ পানির জন্য ব্যয় করে।

এভাবেই পানির চাহিদা পূরণ হয়

সৌদি আরব বেশিরভাগই অংশই ভূগর্ভস্থ পানির উপর নির্ভরশীল। আজও এখানকার মানুষ পানির জন্য কূপ ব্যবহার করে থাকেন। তবে ভূগর্ভস্থ পানিও সমস্ত জনগোষ্ঠী পানির অভাব দূর করতে পারে না।

saudiসমুদ্রের পানি পানযোগ্য করা হয়

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখানকার ভূগর্ভস্থ পানিও শিগগিরই শেষ হয়ে যাবে। তাই পানির অভাব মেটাতে সৌদি আরবে সমুদ্রের পানিকে পানযোগ্য করে ব্যবহার করা হয়। এবং বলাবাহুল্য যে, এই প্রক্রিয়া যথেষ্ট ব্যয়বহুল।

সৌদি আরব সাগর দ্বারা বেষ্টিত

সৌদি আরবে নদী না থাকলেও দেশটি দুইটি সাগর দ্বারা বেষ্টিত। এর পশ্চিমে রয়েছে লোহিত সাগর। এবং পূর্বে এটি পারস্য উপসাগর দ্বারা বেষ্টিত। এই দুইটি সমুদ্রই সৌদি আরবের কাছে বাণিজ্যিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লোহিত সাগরের মধ্য দিয়ে গেছে বিখ্যাত সুয়েজ খাল।

এজেড