images

হেলথ

এ বছর ৫ গুণ ডেঙ্গু রোগী, সচেতন হওয়ার তাগিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৯ মে ২০২৩, ০৩:৩৪ পিএম

গত বছরের তুলনায় এবার সারাদেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা পাঁচ গুণ বেশি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ১৭০৪ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। আর মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এজন্য সবাইকে সচেতন হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

সোমবার (২৯ মে) দুপুরে সচিবালয়ে কোভিড টিকা এবং ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব তথ্য জানান। 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ায় যথেষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুতি রাখতে বলা হয়েছে। চিকিৎসক এবং নার্সদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। হাসপাতালে করোনা এবং ডেঙ্গুর জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে আড়াই হাজার চিকিৎসক-নার্সকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ১১ সুপারিশ

সচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু সচেতনতায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, মসজিদের ইমাম এবং সেনাবাহিনীর সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। প্রচার-প্রচারণার জন্য ব্যানার-পোস্টার তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে সভা করা হয়েছে। যদি কোনো জরুরি ব্যবস্থা নিতে হয়, সে জন্য প্রস্তুতি রয়েছে।

এ সময় বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, আক্রান্ত হলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসুন। চিকিৎসা নিলে ভালো হয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসার জন্য একটি গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ডেঙ্গু পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ৫০০ টাকার বেশি নিলে ব্যবস্থা

করোনা টিকার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে ৩০ লাখ ডোজ করোনার টিকা দিয়েছে ফাইজার। এসব টিকা নির্দিষ্টসংখ্যক মানুষকে বুস্টার ডোজ হিসেবে দেওয়া হবে। ৬০ বছরের বেশি বয়সী মানুষকে চতুর্থ এবং ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের তৃতীয় ডোজ হিসেবে এসব টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

ডেঙ্গু নিয়ে সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতরও

মৌসুম শুরুর আগেই বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ায় এবছর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কা বেশি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। রোববার (২৮ মে) মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়ে সবাইকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

DD

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাংলাদেশে সাধারণত জুন থেকে ডেঙ্গুর মৌসুম শুরু হয়, কারণ ওই সময়ে শুরু হয় বর্ষাকাল। এই প্রাদুর্ভাব চলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এ বছর মৌসুম শুরুর আগেই হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

সিটি করপোরেশনকে আরও বেশি তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বলেন, প্রাক মৌসুমে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। তাই সবাইকে সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ অনেক জনবহুল, তার ওপর এখানে দ্রুত নগরায়ন হচ্ছে। ফলে এখানে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সহজ না। এরই মাঝে অপ্রত্যাশিত কিছু মৃত্যু হয়েছে। মে মাসে যেটুকু হয়েছে, তা অন্যান্য সময়ে হয়নি।

অধিদফতরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন বলেন, ঢাকায় অপরিকল্পিতভাবে নগরী গড়ে উঠছে। ফলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে আমরা প্লাটিলেটকে সামনে আনি। অথচ এটি সেভাবে গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাদের উচিত সচেতনতায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া।

এমএইচ/জেবি