images

হেলথ

নিজ প্রতিষ্ঠানেই প্র্যাকটিস করতে হবে সরকারি চিকিৎসকদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ জানুয়ারি ২০২৩, ০৩:১৭ পিএম

সরকারি চিকিৎসকদের নিয়মিত হাসপাতালে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। একইসঙ্গে কর্মরত প্রতিষ্ঠানেই সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্র্যাকটিস করতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

রোববার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মার্চ মাসের ১ তারিখ থেকে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা নির্দিষ্ট অফিস সময়ের বাইরের সময়ে আলাদাভাবে প্রস্তুতকৃত সরকারি হাসপাতালেই চেম্বারের মাধ্যমে রোগী দেখবেন। চিকিৎসকদের ডিউটি সময়ের বাইরে বিভিন্ন ক্লিনিক বা ফার্মেসিতে যেভাবে চেম্বার খুলে রোগী দেখতে হতো। সরকারি এই বিশেষ সুবিধার ফলে নিজ নিজ সরকারি কর্মস্থলেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা চেম্বারে রোগী দেখতে পারবেন।’

চিকিৎসক নেতাসহ সংশ্লিষ্ট সবার মতামত নিয়ে সরকার এই সেবা চালু করছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘এই কাজটি শুরু করতে দ্রুতই একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে দেওয়া হচ্ছে। দেশের মানুষের জন্য অত্যন্ত জনকল্যাণকর এই মহানুভব কাজের শুরুটি মহান স্বাধীনতা মার্চ মাসে শুরু হবে। এই কাজটি শুরু হলে দেশের লাখ লাখ মানুষ বিভিন্ন ক্লিনিক, ফার্মেসিতে চিকিৎসক দেখানোর ভোগান্তি থেকে রেহাই পাবেন।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘৫০টি উপজেলা, ২০টি জেলা ও পাঁচটি মেডিকেল কলেজ নিয়ে আমরা যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছি। এর মাধ্যমে জনগণ আরেকটু ভালো স্বাস্থ্যসেবা পাবেন। কারণ হাসপাতালে গিয়ে তারা চিকিৎসক পাবেন। যারা ভর্তি আছেন, তারাও চিকিৎসা পাবেন। একসঙ্গে অনেক ডাক্তার পাওয়া যাবে। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষারও ব্যবস্থা থাকবে।’

jahid2

সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সারা ইসলাম নামে মৃত্যু পথযাত্রী রোগীর মরোনোত্তর অঙ্গদানকে মহানুভব বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, সারা ইসলাম নামে একজন অল্পবয়সী নারীর মৃত্যুর আগে দান করে যাওয়া অঙ্গ থেকে চারজন মানুষের সুস্থভাবে বেঁচে থাকবেন। তার দান করা কিডনি, কর্নিয়ার মাধ্যমে শামীমা (৪০) এবং হাসিনা (৩৪) নামের দুজন মহিলা কিডনি পেয়েছেন এবং ফেরদৌস (৫৬) ও সুজন (২৪) নামে দুজন পুরুষ তাদের চোখের আলো পেয়েছেন।

এ সময় সফলভাবে প্রথম ক্যাডেভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট করায় মন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে মরোনোত্তর অঙ্গদানের বিষয়ে সবাইকে উৎসাহিত করতে ব্যাপক প্রচারণার তাগিদ দেন।

সভায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল হাসান বাদল, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)-এর সভাপতি ডা. মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. এএইচএম এনায়েত হোসেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নিউরো হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এমএইচ/জেবি