images

হেলথ

স্বাধীনতা পদকে ভূষিত প্রথিতযশা দুই চিকিৎসক

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৫ মার্চ ২০২২, ০১:৪৩ পিএম

স্বাস্থ্যখাতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্বাধীনতা পুরস্কারের ভূষিত হয়েছেন দেশের দুই প্রথিতযশা চিকিৎসক।

তারা হলেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া ও সহস্রাধিক কিডনি প্রতিস্থাপন করে দেশব্যাপী আলোচিত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম। 

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে দেশের ১০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কারের ভূষিত করা হয়। 

পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন— বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী, শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীর বিক্রম, আবদুল জলিল, সিরাজ উদ্দীন আহমেদ, মরহুম মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন বিশ্বাস, মরহুম সিরাজুল হক, অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল ইসলাম, মরহুম মো. আমির হামজা, মরহুম স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন।

একইসঙ্গে গবেষণা ও প্রশিক্ষণে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করা হয়ছে।

অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া দেশের একজন প্রখ্যাত নিউরো সার্জন। তিনি ১৯৫৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার হাইতকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করে। তার পিতা প্রয়াত ডা. শুভংকর বড়ুয়া এবং মাতা প্রয়াত সুখদা বড়ুয়া। তার স্ত্রী ডা. শিউলি চৌধুরী বিএসএমএমইউর অবস অ্যান্ড গাইনী বিভাগে কর্মরত আছেন। এই চিকিৎসক দম্পতির পারিবারিক জীবনে দুই সন্তান রয়েছে।

তিনি ২০১৮ সালের ২৪ মার্চ রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদের আদেশপ্রাপ্ত হয়ে ৩ বছরের জন্য দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ২০২১ এর ২৩ মার্চ সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন শেষে বিএসএমএমইউ থেকে অবসরে যান।

অপর পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম রাজধানীর জাতীয় কিডনি ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে কর্মরত আছে। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি দেশে এক হাজার কিডনি প্রতিস্থাপনের রেকর্ড গড়েছেন। ২০০৭ সাল থেকে কিডনি প্রতিস্থাপন করে যাচ্ছেন এই চিকিৎসক।

ডা. কামরুল ইসলাম পাবনা জেলার ঈশ্বরদীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মো. আমিনুল ইসলামের ছেলে। তিনি ১৯৯০ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে স্বর্ণপদকসহ এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন। পরে ১৯৯৫ সালে এফসিপিএস এবং ২০০০ সালে বিএসএমএমইউ থেকে ইউরোলজিতে এমএস ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৩ সালে ইংল্যান্ডের রয়েল কলেজ থেকে তিনি এফআরসিএস ডিগ্রি অর্জন করেন।

এমএইচ/এএস