নিজস্ব প্রতিবেদক
১৯ জুলাই ২০২৫, ১১:০১ পিএম
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএমইউ) ভাইরাসজনিত লিভারের সংক্রমণ হেপাটাইটিস বি’র নির্ণয় ও চিকিৎসা বিষয়ক বিশেষ বৈজ্ঞানিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (১৯ জুলাই) হেপাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক মবিন খান ডিজিটাল ক্লাসরুমে ‘অ্যান্টি এইচবিসি টোটাল পজিটিভ— ধারণা ও ভুল ধারণা’ শীর্ষক এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, রেসিডেন্ট এবং দেশ-বিদেশের স্বনামধন্য লিভার বিশেষজ্ঞরা সভায় উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন। এসময় হেপাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ বৈজ্ঞানিক সভায় অ্যান্টি এইচবিসি টোটাল রিপোর্টের ক্লিনিক্যাল গুরুত্ব এবং এই সংক্রান্ত সাধারণ ভুল ধারণা নিয়ে বিস্তারিত ডিজিটাল পরিবেশনা করেন ডা. সৌরভ কুমার চক্রবর্তী। তিনি অ্যান্টি এইচবিসি টোটাল পজিটিভ ফলাফলের অর্থ ও তার ব্যাখ্যা, হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের সুপ্ত সংক্রমণ, এই রোগ শনাক্তের প্রাথমিক পরীক্ষা কাদের এবং কীভাবে করা হবে, ভ্যাকসিন সংক্রান্ত বিভ্রান্তি, রক্তদান ও অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে ঝুঁকি মূল্যায়ন, ইমিউনোসাপ্রেসিভ ড্রাগ গ্রহণের ক্ষেত্রে ঝুঁকি এবং পজিটিভ রোগীর ডায়ালাইসিস সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ ও সমাধান তুলে ধরেন।
পরে প্রশ্নোত্তর পর্বে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসে। যেমন: হেপাটাইটিস বি ভাইরাস (ইমিউনোসাপ্রেশন বা এইচআইভি/এইচসিভির সহ-সংক্রমণ), ক্রিপ্টোজেনিক লিভার ডিজিজ, সিরোসিস অথবা উচ্চ সংক্রমণ ঝুঁকি (হিমোডায়ালাইসিস) থাকলে অ্যান্টি এইচবিসি টোটাল (এইচবিভি-ডিএনএসহ বা ছাড়া) পরীক্ষা করা অপরিহার্য। তবে এসব অবস্থা অনুপস্থিত থাকলে অ্যান্টি এইচবিএস এবং এএলটি পরীক্ষা করে মূল্যায়ন করা যেতে পারে।
এছাড়া অ্যান্টি এইচবিসি টোটাল পজিটিভ রোগীদের টিকা গ্রহণের প্রয়োজন নেই। একইসঙ্গে ওবিআই রোগীদের এইচবিভি নেগেটিভ এবং পজিটিভ রোগীদের থেকে আলাদা সেটিংসে ডায়ালাইসিস করা প্রয়োজন।
সভার আলোচনায় আরও উঠে এসেছে, অ্যান্টি এইচবিসি টোটাল পজিটিভিটির ক্লিনিক্যাল গুরুত্ব ভালোভাবে বোঝা উচিত, যাতে এর প্রভাবকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হয়।
এসএইচ/এফএ