নিজস্ব প্রতিবেদক
১৩ মার্চ ২০২৫, ০২:০৯ পিএম
নানা আয়োজনে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) পালিত হচ্ছে বিশ্ব কিডনি দিবস। এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য-‘আপনার কিডনি কি সুস্থ? দ্রুত শনাক্ত করুন, কিডনির স্বাস্থ্য সুরক্ষা করুন।’
অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা আয়োজনে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
প্রতি বছর মার্চের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার এই দিবসটি পালিত হয়। এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেছেন, দেশে কিডনি রোগের উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকলেও তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। তাই প্রতিকারের পাশাপাশি কিডনি রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা খুবই জরুরি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, ‘দেশে কিডনি রোগের আধুনিক চিকিৎসা থাকলেও তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তাই প্রতিকারের পাশাপাশি কিডনি রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি খুবই জরুরি।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের জনগণের জন্য গুণগত মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। আমার বিশ্বাস ‘বিশ্ব কিডনি দিবস ২০২৫’ উদযাপন কিডনি রোগের চিকিৎসা ও প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।’
কিডনি রোগ একটি নীরব ঘাতক উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আশঙ্কা, ২০৪০ সাল নাগাদ বিশ্বে কিডনি রোগ মানব মৃত্যুর চতুর্থ প্রধান কারণ হয়ে উঠতে পারে। বাংলাদেশেও এ রোগীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অস্বাস্থ্যকর ও অনিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপন, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও ব্যথানাশক ওষুধের যথেচ্ছ ব্যবহার ও খাদ্যে ভেজালসহ বিভিন্ন কারণ এ রোগের প্রকোপ বৃদ্ধির জন্য দায়ী।’
বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২২ দশমিক ৪৮ শতাংশ বা প্রায় ৩ কোটি ৮২ লাখ মানুষ কিডনি রোগে ভুগছেন। প্রতি বছর ৩০ থেকে ৪০ হাজার মানুষের কিডনি বিকল হয়। এই পরিসংখ্যান ২০১৯ সালে প্রকাশিত আটটি গবেষণার পর্যালোচনার ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছে।
কিডনি দিবস উপলক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশ কিডনি ফাউন্ডেশন, ক্যাম্পাস, বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন, পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ (বিএসএমএমইউ) বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
এসএইচ/এমআর