নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:০৯ পিএম
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ২১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এতে চলতি বছরে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২১ জনে। তবে এ সময় নতুন করে কারো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ফলে ২০২৫ সালে মশাজনিত রোগটিতে মৃত্যুর সংখ্য ৯ জনে স্থির আছে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ২১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময়ে নতুন করে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার ৬ জন রয়েছেন। এছাড়াও ঢাকা বিভাগে ৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ জন এবং বরিশাল বিভাগে একজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছরের ২৫ তারিখ পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ১ হাজার ২১ জন। যাদের মধ্যে ৬০ দশমিক ২০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৯ দশমিক ৮০ শতাংশ নারী। আর মৃত নয়জনের মধ্যে ৮৮ দশমিক ৯০ শতাংশ পুরুষ এবং ১১ দশমিক ১০ শতাংশ নারী রয়েছেন।
প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৪ সালে এক লাখ ১ হাজার ২১৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ সময় মোট ৫৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এরও আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান।
এমএইচ/এমএইচটি