images

হেলথ

বৃষ্টি উপেক্ষা করে শহীদ মিনারে চিকিৎসকদের প্রতিবাদ সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

০২ আগস্ট ২০২৪, ০২:১৪ পিএম

বৃষ্টি উপেক্ষা করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়ে ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন ও হয়রানির প্রতিবাদ জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। একইসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নয় দফা দাবির প্রতি সংহতি জানিয়েছেন রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি মেডিকল কলেজের চিকিৎসক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (২ আগস্ট) সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমবেত হয়ে তাদের দাবির প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

আন্দোলনকারীরা বলেন, আমরা আমাদের ভাইদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। আমারা ভাই হত্যার বিচার চাই। যখন আমাদের ভাইরা মারা যাচ্ছে তখন আমরা ঘরে বসে থাকতে পারি না। আমাদের মোবাইল ফোন চেক করা হচ্ছে। এটা তারা কোন অধিকারে করে? এটা একটা স্বাধীন দেশ, আমরা আমাদের স্বাধীনতা চাই। মুখে বলা হয় জনগণ রাষ্ট্রের মালিক, অথচ বাস্তবতা দেখলে মনে হয় আমরা এদেশের দাস। আমাদের জীবনের কোনো মূল্য নাই। আমাদের আজ কোনো অধিকার নেই। রোহিঙ্গা ও আমাদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।

এ সময় তারা ‘স্বৈরাচার নিপাক যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’, ‘আমার ভাই মরলো কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘এক দুই তিন চার, শেখ হাসিনা স্বৈরাচার’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

Sahid2

প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নিয়ে ডা. রাজীব নামে এক চিকিৎসক বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় না এই দেশ স্বাধীন। এখানে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। রাস্তায় ছাত্র-জনতার লাশ পড়ে থাকে। সড়কে ও বাসায় থেকে আমার ভাই, সন্তান মারা যাচ্ছে। এই দেশ স্বাধীন হতে পারে না। আমরা একটা সুন্দর স্বাধীন দেশ চাই, যেখানে সবাই নিরাপদে বাসা থেকে বের হতে পারবে। বাসায় অবস্থান করতে পারবো। আমার কেনা বুলেটে আপনি আমাকেই মেরে ফেলেন, এমন দেশ তো আমরা চাই না।’

ডা. আব্দুল্লাহ চৌধুরী নামে অপর চিকিৎসক বলেন, ‘যেদিন প্রধানমন্ত্রী রাজাকার শব্দটা ব্যবহার করেছিলেন, সেদিন তিনি বলেছেন শিক্ষার্থীরা সংবিধানের কিছুই জানে না। আসলেই আমরা জানি না। আমাদের বাচ্চারা স্কুলে যাওয়ার সময় ব্যাগে ১৪ থেকে ১৫টি বই থাকে। অথচ তাদের বা আমাদের কাউকে ছোট সংবিধান বইয়ের একটা লাইনও পড়ানো হয়নি। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো সবসময় চেয়েছে নাগরিকরা যেন সংবিধান না জেনেই বড় হয়।’

এক নারী চিকিৎসক বলেন, ‘আমাদের রক্তের বন্যায় সব অন্যায় ভেসে  যাক। আমরা অধিকার চেয়েছিলাম। অথচ এখন আমরা রাজাকার হয়ে গেছি। আমরা অধিকারের জন্য রাস্তায় নেমেছিলাম। এর জবাবে আমাদের নির্বিচারে গুলি করে মারা হচ্ছে। দু-হাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকা আবু সাঈদকে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি ঘরে থাকা নিষ্পাপ শিশুদেরও হত্যা করা হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই। আমাদের ঘরে বসে থাকার সুযোগ নাই।’

এমএইচ/জেবি