images

হেলথ

ছুটির দিনে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ৬ জন, মৃত্যু নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

১০ মে ২০২৪, ০৯:১০ পিএম

দেশে এডিস মশাবাহী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আরও ৬ জন ভর্তি হয়েছে। তবে এসময় নতুন করে কোনো মৃত্যু হয়নি। এতে মৃতের সংখ্যা ২৯ জনে স্থির আছে।

শুক্রবার (১০ মে) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় একজন ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় একজন রোগী রয়েছে। এছাড়া বরিশাল বিভাগে দুইজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে দুইজন রোগী রয়েছে। এ সময়ে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন ৮ জন।

এদিকে, গত ১ জানুয়ারি থেকে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন মোট দুই হাজার ৩৯৭ জন ডেঙ্গু রোগী। তাদের মধ্যে এক হাজার ৪৫০ জন (৬০ দশমিক ৫০ শতাংশ) পুরুষ এবং ৯৪৭ জন (৩৯ দশমিক ৫০ শতাংশ) নারী রয়েছেন। আর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন দুই হাজার ২৪২ জন।

এছাড়া চলতি বছরে মোট ২৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। এদের মধ্যে ১৪ জন পুরুষ (৪৮ দশমিক ৩০ শতাংশ) এবং ১৫ জন (৫১ দশমিক ৭০ শতাংশ) নারী রয়েছেন।

প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। ২০২৩ সালে সারাদেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মানুষ মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন। যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।

এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময়ে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এছাড়া ২০২২ সালে মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান।

এমএইচ/এমএইচটি