কিশোর-কিশোরীর শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নিশ্চিতের তাগিদ

আজকের কিশোরা-কিশোরীই আগামীর ভবিষ্যৎ। তাই তাদের সুস্থ মানসিক ও শারীরিক গড়ে তোলার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে বলে মনে করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ই ব্লকের কৈশোর স্বাস্থ্যবান্ধব কেন্দ্রে ডিপার্টমেন্ট অব পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকসেরর উদ্যোগে ‘এডোলোসেন্ট ফ্রেন্ডলি হেলথ কেয়ার অ্যান্ড সাইকোলজিক্যাল সাপোর্ট’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মশালাটির সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে ইউনিসেফ।

অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আজকের কিশোরা-কিশোরীই আগামীর ভবিষ্যৎ। তাদের সুস্থ মানসিক ও শারীরিক গড়ে তোলার জন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে কিশোরাই ভালনারেবল। কারণ কিশোরীরা তাদের সমস্যার কথা মা-বাবা ও বোনদের কাছে বলতে পারে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে কিশোরদের সমস্যার কথা বলতে পারে না। তাদের কথা বলার সুযোগ দিতে হবে।

ভিসি বলেন, কিশোর-কিশোরীদের সমস্যার কথা কৈশোর স্বাস্থ্যবান্ধব কেন্দ্রে আসতে অনুপ্রেরণা দিতে। যারা তাদের সুস্বাস্থ্য নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের প্রশিক্ষিত করতে এ ধরনের কর্মশালার বিকল্প নেই। আমি আশা করছি, কিশোর কিশোরীদের সেবাদানের একটি প্রকল্প আগামী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সম্মেলন উপস্থাপন করা হবে। এতে করে আমরা নতুন অভিজ্ঞতা ও শিক্ষা লাভ করতে পারব। যা কিশোর কিশোরীদের সেবায় কাজ লাগানো যাবে।

কর্মশালায় বলা হয়, একজন কিশোর বা কিশোরীর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে সুস্থ থাকা প্রয়োজন। মানসিক স্বাস্থ্যসম্মত ব্যক্তি দক্ষতা, সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে যেকোনো পরিস্থিতিকে মোকাবেলা করতে পারে। মনোসামাজিক সহায়তা কিশোর-কিশরীদের আচরণ ও মনোভাবের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনতে সহায়তা করে। কিশোর-কিশোরীদের জীবনে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধা হলে, দৈনন্দিন উদ্বেগের সাথে খাপ খাওয়ানো বা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমস্যা হলে কখনো কখনো মনোসামাজিক পরামর্শ গ্রহণের প্রয়োজন হতে পারে। মনোসামাজিক সহায়তাকারীরা প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, দক্ষতা ও গুণাবলি প্রয়োগের মাধ্যমে সেবা প্রদান করে থাকে। এই বিষয়গুলোর প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে এই প্রশিক্ষণটি আয়োজন করা হয়েছে।

বিএসএমএমইউর প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোস্যাল মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুল হকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিতি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অ্যাডোলেসেন্ট অ্যান্ড স্কুল হেলথ ম্যানেজার ডা. শামসুল হক, কনসালট্যান্ট শামীমা চৌধুরী প্রমুখ।

এমএইচ/জেবি