নিজস্ব প্রতিবেদক
০২ অক্টোবর ২০২৩, ০১:৪৭ পিএম
নূর মক্কা চক্ষু হাসপাতালের নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার বধ্যভূমির বিপরীতে সোমবার (২ অক্টোবর) আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে 'বাংলাদেশে অন্ধত্ব নিরোধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখা' সেবা প্রতিষ্ঠানটি। নিজস্ব জমিতে এটিই তাদের প্রথম প্রতিষ্ঠান।
দুপুরে নিজস্ব জায়গায় নবনির্মিত দশতলা ভবন বিশিষ্ট নূর মক্কা চক্ষু হাসপাতাল উদ্বোধন উপলক্ষে হাসপাতালটির অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কিং সালমান হিউমেনিটেরিয়ান এইড অ্যান্ড রিলিফ সেন্টারের (কেএস রিলিফ) পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের সহকারী জেনারেল সুপারভাইজার ড. আকিল আল গামদি, আল বাসার ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ডক্টর আদেল আবদুল আজিজ আল রাজদ। এছাড়া দেশি-বিদেশি অতিথিরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে আল বাসার ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. আদেল আব্দুল আজিজ আল রাহুদ জানান, বাংলাদেশে চোখের রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং অন্ধত্বের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সংস্থাটি ইতোমধ্যেই পাঁচটি পূর্ণাঙ্গ অত্যাধুনিক চক্ষু হাসপাতাল, তিনটি চিকিৎসাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা এবং ৯৪টি আন্তর্জাতিক চক্ষু ক্যাম্প বাস্তবায়ন করেছে। এর মাধ্যমে দেশের ৫০ লাখের বেশি মানুষ উপকৃত হয়েছেন বলে তিনি জানান।

ড. আদেল আব্দুল আজিজ আল রাহুদ জানান, ১৯৮৯ সালে শুরু হওয়া এই সংস্থাটি বর্তমানে বিশ্বের ৪৮টি দেশে কাজ করছে এবং এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ২৮টি চক্ষু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছে।
কিং সালমান হিউম্যানিটারিয়ান এইড অ্যান্ড রিলিফ সেন্টারের (কেএস রিলিফ) সহকারী সুপারভাইজার জেনারেল অন্ধত্ব মোকাবিলায় বাংলাদেশে তাদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।
আল বাসার ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত করবেন বলে তিনি আশ্বাস দেন।
আল বাসার ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডাইরেক্টর ড. আহমেদ আল-মাম্বারি নূর মক্কা চক্ষু হাসপাতাল উদ্বোধনকে বাংলাদেশে আল বাসার ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের একটি উল্লেখযোগ্য টার্নিং পয়েন্ট বলে উল্লেখ করেন। যা এ দেশের লাখ লাখ মানুষের জীবনে গভীরভাবে প্রভাব ফেলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কারই/জেবি