images

হেলথ

ডেঙ্গুতে মৃত্যু ও আক্রান্তে এগিয়ে মধ্যবয়সীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৬ আগস্ট ২০২৩, ০৫:১৩ পিএম

চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে মধ্যবয়সী ব্যক্তির সংখ্যা সর্বাধিক বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তবে বয়স্কদের মধ্যে আক্রান্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার বেশি বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

রোববার (৬ আগস্ট) দেশের চলমান ডেঙ্গু সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আয়োজিত ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অধিদফতরের এমআইস শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন এই তথ্য জানান।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের এই কর্মকর্তা বলেন, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৬৩ হাজার ৯৬৮ জন হাসপাতালে রোগী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৩০৩ জন। আক্রান্ত ও মৃত্যুর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রায় সব বয়সেই মৃত্যু হচ্ছে। তবে মধ্যবয়সীদের মধ্যে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। আর আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুহার সর্বাধিক বয়স্ক নাগরিকদের মধ্যে। এছাড়া ঢাকায় শিশুদের আক্রান্তের হার, বাইরের তুলনায় বেশি। মৃত্যু হার বিবেচনায়ও এগিয়ে রাজধানী ঢাকা।

গত ২৪ ঘণ্টার তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান, গত একদিনে মোট দুই হাজার ৪৯৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় এক হাজার ৬৯ জন এবং ঢাকার বাইরে এক হাজার ৪২৬ জন রয়েছেন। এ সময়ে হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়েছেন মোট দুই হাজার ১৭৭ জন ডেঙ্গু রোগী। যার ৯৫০ জন ঢাকার হাসপাতাল এবং এক হাজার ২২৭ জন বাইরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর মধ্যে ১০ জন নতুন করে মারা গেছেন। তাদের সাত জন ঢাকায় এবং তিনজন বাইরে ভর্তি ছিলেন।

হাসপাতাল পরিস্থিতি তুলে ধরে এমআইএস প্রধান বলেন, বর্তমানে সারাদেশে মোট নয় হাজার ৩৩৪ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ভর্তি আছেন ৪৬৮০ জন, বাইরে ৪৬৫৪ জন। রোগীদের মধ্যে মুগদা মেডিকেলে সর্বাধিক ৫০১ জন। তার পরেই ঢাকা মেডিকেলে ও মিডফোর্টে সর্বাধিক রোগী ভর্তি রয়েছেন। এখন পর্যন্ত বেডের তুলনা কিছু সিট খালি রয়েছে।

এই কর্মকর্তা বলেন, রোগীর সংখ্যা এতদিন বেড়েছে এবং সে জায়গায় স্থিতিশীল রয়েছে। যখন এ স্থিতিশীলতা থেকে রোগী কমার দিকে যাবে তখন আমাদের হাসপাতালগুলোতে চাপ কমবে। তবে তার আগ পর্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় আমাদের থাকতে হবে।

প্রস্তুতির তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, আক্রান্ত রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হলে যেন সঠিক সেবা পেতে পারে এ বিষয়ে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি নেই। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতর সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। জনসচেতনতা বাড়িয়ে সবার সহযোগিতায় এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারব।

পরিস্থিতি উন্নতির আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, জুনের তুলনায় জুলাই মাসে আক্রান্তে হার প্রায় আট গুণ বেশি ছিল। চলতি আগস্ট মাসেও সে ধারা অব্যাহত রয়েছে। বরং কিছুটা বেড়েছে। রাজধানীর বাইরে এই ধারা কিছুটা বেশি, তবে ঢাকায় স্থিতিশীল রয়েছে। বর্তমান স্থিতিশীল অবস্থা বজায় থাকলে এটি সংক্রমণের পিকে পৌঁছে কমে আসবে বলে আশা করছি।

এ সময় স্যালাইন সংকট প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে স্যালাইন সংকট মোকাবিলায় স্বাস্থ্য অধিদফতর ব্যবস্থা নিচ্ছে। এ বিষয়ে ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে জানানো হয়েছে। কেন সংকট ও কোথায় দাম বেশি রাখা হচ্ছে এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর তদারকি করছে।

এমএইচ/জেবি