images

বিনোদন

নিজের মাকে মেরে হাসপাতালে পাঠিয়েছিলেন নোবেল, জানালেন সালসাবিল

বিনোদন ডেস্ক

০৪ মে ২০২৩, ০৮:২৬ পিএম

সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলকে ডিভোর্স দেওয়ার খবর সামাজিক মাধ্যমেই জানিয়েছেন তার স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ। সেইসঙ্গে স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার কারণও জানিয়েছেন সালসাবিল। এবার প্রাক্তন সম্পর্কে দিলেন বিস্ফোরক কিছু তথ্য। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানালেন, নিজের মাকে মেরে হাসপাতালে পাঠিয়েছিলেন নোবেল।

মাদকাসক্ত নোবেলকে শোধরানোর কোনো চেষ্টা করা হয়েছিল কি? এমন প্রশ্নের জবাবে সালসাবিল বলেন, ‘আমিই শুধু না, তার পরিবার পর্যন্ত চেষ্টা করেছে। কিন্তু সবাইকে সে মারধর করত। তার মা-বাবা পর্যন্ত তার হাতে মার খেয়েছে। নিকেতনের বাসায় থাকতে তার মাকে মেরে এমন অবস্থা করেছিল যে তাকে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে হাসপাতালে নিতে হয়েছিল। আসলে যে মাদক নেয়, তাকে আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমি ছাড়ব কি না। সে যদি ছাড়তে চায়, তাহলে কেবল সম্ভব।’

পরিবারের সঙ্গে নোবেলের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না উল্লেখ করে সালসাবিল আরও বলেন, ‘আমাদের যখন বিয়ে হয়, তখন ভালো ছিল। কিন্তু ও যখন মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে ও সবাইকে মারধর শুরু করে, তখন থেকেই খারাপ হয়ে যায়। ওর বাবা আমাকে বলে দিয়েছেন, কেউ যদি কখনও নোবেল আর তার সম্পর্কে জানতে চায় তখন যেন আমি বলে দেই, তার বাবা তাকে ত্যাজ্যপুত্র করেছেন।’

এর আগে নিজের ফেসবুকে ডিভোর্সের খবর ও কারণ জানিয়ে সালসাবিল লেখেন, ‘সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পরও যখন আমার ও নোবেলের কথা হয়। আমি তাকে শেষবারের মতো মাদকদ্রব্য ছাড়ার কথা এবং চিকিৎসা নেওয়ার জন্য জিজ্ঞেস করি। সে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয় সে কখনও মাদক ছাড়বে না এবং বলে, নেশা ছাড়লে তো আগেই ছাড়তাম লল। এরপর আমি আমার পারিবারিক সিদ্ধান্তে আমার ডিভোর্স রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করি।’

সালসাবিল মনে করেন নোবেলের মাদকাসক্তির পেছেনে অনেক প্রভাবশালী জড়িত। এ প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, ‘নোবেল কখনও এত অসুস্থ ছিল না । এমন না যে নোবেলের আজকের এই অবস্থার জন্য ও শুধু একা দায়ী। অবশ্যই সে নিজেই সবচেয়ে বেশি দায়ী কিন্তু তার মাদকদ্রব্য প্রাপ্তি ও আসক্তির ক্ষেত্রে অনেক ক্ষমতাশালী মানুষদের অবদান আছে।’

২০১৯ সালে নোবেলের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন সালসাবিল। কিন্তু নোবেলের উচ্ছৃঙ্খলতা ও মাদকাসক্তির কারণে তার থেকে দূরে সরে যান সালসাবিল। সম্পর্কটা ছিল শুধু কাগজ-কলমে। অবশেষে তা ছিন্ন করলেন সালসাবিল।