বিনোদন ডেস্ক
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২:১০ পিএম
বিশ্ব চলচ্চিত্রে বলিউডের অবস্থান শীর্ষস্থানীয় পর্যায়ে। ভারত ছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের হিন্দি ভাষায় নির্মিত সিনেমা মুক্তি পায়। সেসব দেশে বলিউড তারকাদের জনপ্রিয়তাও আকাশচুম্বী।
মূলত ‘বলিউড’ শব্দটি ‘হলিউড’ থেকে নেওয়া হয়েছে। সে সময় মুম্বাইয়ের নাম ছিল ‘বোম্বে’। তাই বোম্বের প্রথম অংশ আর হলিউডের শেষ অংশ নিয়ে করা হয় ‘বলিউড’। ১৯১৩ সালে দাদাসাহেব ফালকের হাত ধরে বলিউডের যাত্রা শুরু হয়। ওই বছরের ৩ মে তার পরিচালিত ‘রাজা হরিশচন্দ্র’ সিনেমাটি মুক্তি পায়।
রামায়ণ ও মহাভারতে বর্ণিত রাজা হরিশচন্দ্রের জীবন নিয়ে তৈরি এই ছবির নারী চরিত্রগুলোতে অভিনয় করেছেন পুরুষেরা। কারণ, তখন অভিনয় করাটা নারীদের জন্য অশোভন পেশা মনে করা হতো।
পরিচালনার পাশাপাশি ছবিটি প্রযোজনাও করেছিলেন দাদাসাহেব ফালকে। তিনি দাদর মেইন রোডে তার স্টুডিওতে এই চলচ্চিত্রের সেট নির্মাণ করেন। ৪০ মিনিট সময়ের তিন হাজার সাত শ’ ফুট দৈর্ঘ্যের রীলযুক্ত চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করতে সাত মাস ২১ দিন সময় লাগে।
দাদাসাহেব ফালকে চিত্রকর রাজা রবি বর্মার অঙ্কনশৈলী দ্বারা বহুলাংশে প্রভাবিত ছিলেন। হিন্দু পৌরাণিক ঘটনাগুলোর ওপর তার চিত্রগুলোকে দাদাসাহেব চলচ্চিত্রে নিয়ে আসেন।
দাদাসাহেব এই চলচ্চিত্রে নারীদের অভিনয়ে আনার অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। সেই কারণে তিনি হরিশচন্দ্রের পত্নী তারামতীর ভূমিকায় একজন কমনীয় পুরুষকে খুঁজতে গিয়ে আন্না সালুঙ্কে নামক একজন হোটেলের রাঁধুনিকে আবিষ্কার করেন, যিনি পরবর্তীকালে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে স্ত্রী চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয় হন।
এদিকে দাদাসাহেবের ‘রাজা হরিশচন্দ্র’ চলচ্চিত্র নির্মাণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০০৯ সালে ‘হরিশচন্দ্রাচী ফ্যাক্টরী’ শিরোনামের একটি মারাঠি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। ভারতীয় চলচ্চিত্রের জনক হিসেবে দাদাসাহেব ফালকে সর্বজনগৃহীত একটি নাম।
আরএসও