রেজওয়ান সিদ্দিকী অর্ণ
০৮ আগস্ট ২০২২, ০২:০২ পিএম
সিনেমা নির্মাণের স্বপ্নে বিভোর সঞ্জয় সমদ্দার ছেড়েছিলেন শিক্ষকতা পেশা। তবে বড় ক্যানভাসে দম ফেলার আগে ছোট পর্দায় হাত পাকিয়েছেন। নির্মাণ করেছেন নাটক-ওয়েব সিরিজ। সেগুলো দর্শক গ্রহণ করেছেন। তাই এবার সিনেমা নির্মাণের পালা। সেরে ফেলেছেন প্রস্তুতি। এখন কেবল স্বপ্ন ছোঁয়ার অপেক্ষা। এসব নিয়ে ঢাকা মেইলের সঙ্গে কথা বলেছেন সময়ের এই জনপ্রিয় নির্মাতা। মানুষের আবেগ তো সার্বজনীন বা বিশ্বজনীনও বলা যায়। এই আবেগের কোনো ধনী-গরীব শেণিভেদ হয় না। আমার এটাই বিশ্বাস। তাই মনে করি ‘অমানুষ’ দর্শকদের সেই আবেগ ছুঁতে পেরেছে।

আমি মানুষকে না বলা গল্প বলতে চাই ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনের মাধ্যমে। সেকারণে পরিচালক হওয়ার জন্য আমার দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু ভিজ্যুয়াল মিডিয়ায় আমি শুরু করেছি লেখক হিসেবে।
পরিচালক হিসেবে অসংখ্য মানুষের ভালোবাসা-পুরস্কার পেয়েছি। প্রযোজকরা কাজ দেন। এগুলো তো সফলতা। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, আমার যে সক্ষমতা তার বড় অংশই দেখানো বাকি।

আমি চাই আমার কাজ কথা বলুক। নিজেকে জাহির করতে অস্বস্তি হয়। বিশ্বাস করি, মেধা ও পরিশ্রম কখনও না কখনও মূল্যায়িত হবেই।
আমার পছন্দের জনরা থ্রিলার। কিন্তু আমি শুধুমাত্র থ্রিলার বানাতে চাই না। একজন সৃষ্টিশীল মানুষ হিসেবে একই ধরনের কাজে আনন্দ পাই না। নানারকমের গল্প নানাভাবে বলার যে আনন্দ, তা আমি উপভোগ করি। এটাই আমার সহজাত।

আমি তাহসান ভাই, তৌসিফ, জোভানের মতো অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে কাজ করেছি। নতুনদের নিয়েও কাজ করেছি। ভবিষ্যতে আরও নতুনদের নিয়ে কাজের পরিকল্পনা আছে।
এই সিনেমাটির কথা অফিসিয়ালি বলেছিলাম। সেটা আপাতত হচ্ছে না। কারণ সিনেমা নির্মাণে আমি কোনো কম্প্রোমাইজ করতে চাইনি। বড় পর্দায় বড় কিছু হবে বলে বিশ্বাস করি।

সিনেমা নিয়ে হেলদি কম্পিটিশন হোক কিন্তু টেনে ধরা নয়। সিনেমা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, এটা আনন্দের। সংশ্লিষ্টদের যুথবদ্ধ থেকে এখন এগোতে হবে। বছরে কমপক্ষে ১২-১৫টি হিট-সুপারহিট ছবি দরকার। তাই এই সময়ে কোনোভাবেই বিভেদ নয়।
আরএসও