images

বিনোদন

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের মধ্যে আশার আলো খুঁজে পেয়েছি: বাঁধন

বিনোদন ডেস্ক

২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:১৩ পিএম

ক্যারিয়ারের ব্যস্ত সময় পার করছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। শুটিংয়ের ব্যস্ততা আর নতুন কাজের পরিকল্পনা নিয়ে সময় কাটছে তার। অভিনয়ের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশের বিভিন্ন ইস্যুতে নিজের মন্তব্য প্রকাশ করেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর আগমনকে কেন্দ্র করে আশায় বুক বেঁধেছেন বাঁধন। 

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এক পোস্টে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘গত কয়েক দিন শুটিং, ভ্রমণ, কাজের পরিকল্পনা আর ব্যক্তিগত জীবনে নিয়ে ব্যস্ততায় কেটেছে। সব মিলিয়ে কৃতজ্ঞ। আমি এমন সব প্রজেক্টে কাজ করছি যা আমাকে সত্যিই অনুপ্রাণিত করে। গত বছর আমি দুটি চলচ্চিত্রের অভিনয় করেছিলাম। একটি ইতোমধ্যেই রটারডাম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। আমার বিশ্বাস, অন্যটি আরও বড় কোনো আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে পৌঁছাবে। এর কোনোটিই ভাগ্য নয়, বরং এটি বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম, ধারাবাহিকতা এবং সততার ফল।’ 

তিনি যোগ করেন, “রেহানা মরিয়ম নূর’-এর পর একজন অভিনেত্রী হিসেবে আমার পথচলা এমনভাবে বদলে গেছে, যা আমি কখনও কল্পনা করিনি। এ সুযোগগুলো এসেছে দীর্ঘ অধ্যবসায়ের ফলে। কোনো শর্ট্‌কাট পথে নয়। কিছু শিল্পীকে উন্নতির পরিবর্তে ঈর্ষা, চরিত্রহনন এবং অবমাননার পথ বেছে নিতে দেখাটা কষ্টদায়ক। এই সংস্কৃতি আমাদের সৃজনশীল সমাজকে দুর্বল করে দেয়। যা আমাদের রাজনীতির সবচেয়ে খারাপ দিকগুলোকে ইঙ্গিত করে। আমি আশা করি তারা একটু থামবে এবং নিজেদের শুধরে নিয়ে ভালো কিছু করার পথ বেছে নেবে।”

badhoan

বাঁধন আরও বলেন, ‘আমাদের দেশ শোক, অবিচার এবং অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হয়েছে। আমরা সবাই তা জানি। কিন্তু সেই বেদনার মাঝে আমি তারেক রহমান এবং তাঁর পরিবারের প্রত্যাবর্তনের মধ্যে এক নতুন আশার আলো খুঁজে পেয়েছি। নিজের স্ত্রী ও কন্যার প্রতি দেখানো সম্মান এবং তাঁর জন্য রাখা বিশেষ আসনের পরিবর্তে সাধারণ প্লাস্টিক চেয়ারে বসার বিষয়টা লক্ষ্য করেছি। এমনকি তাঁদের পোষা বিড়ালের প্রতি তাঁদের মমতাও আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। কোনো কিছুর প্রতি দয়া অনুভব এবং নেতৃত্ব উভয়ই ঘর থেকে শুরু হয়।’ 

সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘এগুলো দেখতে ছোট মনে হলেও রাজনীতিতে এর গুরুত্ব অনেক। এগুলো সংকেত দেয় যে ক্ষমতা কী কেবল বিশেষ সুযোগ-সুবিধার জন্য, নাকি মানুষের জন্য। আশা করি আমাদের নেতারা প্রমাণ করবেন যে জবাবদিহিতা, সহমর্মিতা কেবল মাত্র শব্দ নয়। আমাদের দেশ এমন নেতৃত্ব পাওয়ার যোগ্য যিনি শাসন নয়, সেবা করবেন। জীবন অত্যন্ত মূল্যবান, এটি রক্ষা করা প্রয়োজন। আজ আমি আশা, দায়িত্বশীলতা এবং শক্তিকে বেছে নিয়েছি।’ 

ইএইচ/