বিনোদন ডেস্ক
২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:০৩ পিএম
আজ শুক্রবার সকাল রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল নরসিংদীর মাধবদী।
আকস্মিক এই ভূকম্পনে বহু মানুষ বাসা-বাড়ি ও অফিস থেকে আতঙ্কিত হয়ে বাইরে বের হয়ে আসেন। ভূমিকম্পের ঘটনায় আতঙ্কিত গোটা দেশের মানুষ। সামাজিকমাধ্যমে অনেকেই ভুমিকম্পের ভয়াবহতা প্রকাশ করেছেন।
ভূকম্পনের পর নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে নির্মাতা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ফেসবুক লিখেছেন, ‘এমন ভূমিকম্প আগে কখনো হয়নি! শেষ দিন হতে পারত। সবকিছু কত ভঙ্গুর একটি অনুস্মারক!’
মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যু এবং অন্তত ৬০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ভূমিকম্পের ঘটনায় রাজধানীর বেশ কিছু বহুতল ভবন হেলেপড়াসহ ভবন ধসে পড়ার ঘটনাও ঘটেছে। তবে ঢাকার বাইরে অনেক এলাকার লোকজন খুব একটা টের পাননি বলেও জানিয়েছেন।
ঢাকায় ঝাঁকুনি বেশি অনুভত হওয়ার কারণ কী- এমন প্রশ্নের জবাবে ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ হুমায়ুন আখতার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঢাকার বড় অংশ পলিমাটির ওপর দাঁড়িয়ে। ঢাকার ভেতরে আবার লাল মাটি আছে, যেটা খুব ‘কম্প্যাক্টেড রেড ক্লে’। আবার কিছু ডোবা আছে, যেগুলো ভরাট করে বসত বা কোনো নির্মাণ করা হয়েছে। যেখানে পলিমাটি, সেখানে একটু ঝাঁকুনি লাগবে বেশি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকার একটু বাইরে যেমন বাসাবো বা রায়েরবাজার, ওখানে লাল মাটি নেই, সেখানে পুরোটাই পলিমাটি। এসব এলাকায় ঝাঁকুনি বেশি লাগার আশঙ্কা থাকে। সাভার বা ঢাকার মিরপুর লাল মাটির অঞ্চল। এসব এলাকায় ঝাঁকুনি কম অনুভূত হওয়ার কথা। ঢাকার একটি বড় অংশজুড়ে ডোবা এলাকা ভরাট করে বসতবাড়ি করা হয়েছে। সেসব অঞ্চলেও ভূমিকম্প বেশি অনুভূত হয়।’
ইএইচ/