বিনোদন ডেস্ক
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:১৮ পিএম
পাকিস্তানের জনপ্রিয় শিশু ভ্লগার মুহাম্মদ সিরাজ আবারও সবার মন জয় করে নিয়েছেন। তবে তার সাবলীল উপস্থপনা ও মনকাড়া ভিডিওর জন্য নয়, বরং নিজের গ্রামের উন্নয়নে কাজ করে নেটিজেনদের হৃদয় ছুঁয়েছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে সিরাজের গ্রামের একটি জরাজীর্ণ স্কুলকে সম্পূর্ণ রূপে আধুনিক এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করেছেন।
সম্প্রতি সিরাজের ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিওতে স্কুলটির আগে ও পরের অবস্থা দেখানো হয়। ভিডিওর শুরুতে স্কুলটির করুণ অবস্থা তুলে ধরেন তিনি। যেখানে ছাত্রদের বসার জন্য চেয়ার নেই, পড়াশোনার পরিবেশ খারাপ এবং শিক্ষকও নেই।

ভিডিওর পরের অংশে দেখা যায় পুরাতন স্কুলের চিত্র পাল্টে গেছে। নতুন করে তৈরি হয়েছে ক্লাসরুম, সেখা যুক্ত হয়েছে আধুনিক কম্পিউটার, নতুন টেবিল-চেয়ার, বিদ্যুৎ, শৌচাগার, প্রধান শিক্ষকের অফিস, ক্যান্টিন, সোলার প্যানেল এবং শিশুদের খেলার মাঠ এবং বাচ্চাদের জন্য দোলনা।
স্কুলের উন্নয়ন প্রসঙ্গে সিরাজ বলেন, ‘আমি খুব সামান্য অর্থ দিয়ে স্কুলের কাজ শুরু করেছিলেন। যেটা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে উপার্জন করেছিলাম। কিন্তু এরপর আল্লাহ একজন ফেরেশতার মতো মানুষ পাঠান। তিনি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং জানান স্কুলটির দায়িত্ব নিতে চান। শিক্ষকদের বেতন থেকে শুরু করে নতুন বিল্ডিং সব খরচ বহন করতে চান। তখন থেকেই তিনিই স্কুল পরিচালনার সব খরচ বহন করছেন।’

স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে এক ভিডিও বার্তায় সিরিজ বলেন, ‘আমাদের স্কুলটির অনেক কাজ বাকি ছিল। শিশুদের শেখার জন্য এমনকি একটি নিরাপদ স্থানও ছিল না। তখনই বিদেশে থাকা দুই পাকিস্তানি—ফওজিয়া জাকী এবং তার ভাগ্নি জেহরা জাইদি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। নিজেদের বাবা ও দাদু ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ জাকীর স্মৃতিকে সম্মান জানাতে তারা শুধু স্কুলটি সংস্কারই করেননি বরং একটি সম্পূর্ণ নতুন স্কুল গড়ে তোলেন। যার নাম রাখা হয়েছে ‘জাকী একাডেমি’।
তিনি যোগ করেন, ‘এখন শিশুরা একটি নিরাপদ ও সুন্দর পরিবেশে পড়াশোনা করতে পারছে। এমনকি ক্যাপ্টেন জাকীর নাতি শাহবাজ জাকী যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনলাইনে প্রযুক্তি শিক্ষা দিচ্ছেন।’

সবশেষে তিনি বলেন, ‘তবে এখানেই তারা থেমে থাকেননি। তারা একটি বাঁধ (ড্যাম) নির্মাণ করেছেন, পরিষ্কার পানির জন্য পাম্প বসিয়েছেন, সৌর প্যানেল যুক্ত করেছেন এবং চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং একটি অ্যাম্বুলেন্সও প্রদান করেছেন।’
অন্য একটি ভিডিও প্রকাশ করে সিরাজ লেখেন, ‘অনেকে আমাকে জিজ্ঞেস করেন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আমি কী পেয়েছি—এই হলো তার উত্তর: আমরা একটি ভাঙাচোরা স্কুলকে নতুন করে গড়ে তুলেছি। অনেক ধন্যবাদ ফওজিয়া জাকী।’
ইএইচ/