images

বিনোদন

লক্ষ্য আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড: পার্থ শেখ 

রাফিউজ্জামান রাফি

৩১ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩৫ পিএম

সাবলীল অভিনয়ে চরিত্রকে বাস্তবসম্মত করে তোলেন পার্থ শেখ। নাটক-ওয়েব কনটেন্ট— দুই মাধ্যমেই জাত চিনিয়েছেন। সম্প্রতি পার্থ অভিনীত ‘অনুতপ্ত’ নাটকটি দারুণভাবে লুফে নিয়েছেন দর্শক। সেসব নিয়েই ঢাকা মেইলের সঙ্গে ফোনালাপ জমেছিল পার্থর। 

‘অনুতপ্ত’ দর্শক লুফে নেবে ভেবেছিলেন? 

ভালো কিছু একটা হওয়ার সুযোগ আছে— কাজটি করে এরকম অনুভূতি হয়েছিল। সবকিছু মিলিয়ে আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু দর্শকের হিউজ রেসপন্স পাব ভাবিনি। 

নাটকটি দর্শকের এত পছন্দের কারণ কী বলে মনে হয়?  

আমার মনে হয় বাবা-ছেলের অংশগুলোতে দর্শক নিজেদের বেশি যুক্ত করতে পেরেছেন। বাবা-ছেলের সম্পর্কটাতে দায়িত্ববোধের একটা জায়গা থাকে। উভয়েরই পরিবারের প্রতি দায়িত্ব থাকে। এটা আমাদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। সবকিছু মিলিয়ে এই জায়গাগুলোতে দর্শক খুব ভালোভাবে যুক্ত হতে পারছেন। 

malaika

‎মালাইকা চৌধুরীর সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কেমন? 

খুবই ভালো। সে সামনে আরও ভালো অভিনয় করবে। আমিও শিখছি। চেষ্টা করে যাব যেন আরও ভালো কাজ উপহার দিতে পারি।   

‎এক চরিত্র থেকে আরেক চরিত্রের জার্নিটা ব্যক্তিগত জীবনে কোনো প্রভাব ফেলে কি?

হ্যাঁ, প্রভাব ফেলে। একেকটা ক্যারেক্টারের মেন্টালিটি থেকে শুরু করে হাঁটাচলা, হাসি, খাওয়া-দাওয়া— ব্যক্তিগত জীবনে কিছু প্রভাব ফেলে। গল্পটা নিয়ে পড়ে থাকতে হয়। সেজন্য অনেক সময় দেখা যায় পরিবার, প্রিয়জনদের ঠিকঠাক সময় দেওয়া হচ্ছে না। বন্ধুদের সাথে আড্ডা হচ্ছে না। এরকম হয়। তবে এটাকে ব্যালেন্স করে এগিয়ে যেতে হয়।    

অল্প সময়ের ব্যবধানে এক চরিত্র থেকে আরেক চরিত্রে প্রস্তুতি কতটা সম্ভব হয়? 

‎একেক চরিত্রের প্রিপারেশন একেক রকম থাকে। চরিত্র নিয়ে ভাবতে হয়। বিভিন্ন বিষয় থাকে। চেষ্টা করি এক কাজ থেকে আরেক কাজের মধ্যে তিন-চার দিন গ্যাপ নেওয়ার। যেন পরের চরিত্রটা একটু সময় নিয়ে ভেবেচিন্তে করতে পারি।    

onu

আপনি নির্মাণেও আছেন...

এখন আমাকে নিয়েই নির্মাণ হচ্ছে। পরিচালক যারা আছেন তারা খুবই কষ্ট নিয়ে কাজ করেন। একজন ডিরেক্টরকে দৌড়ের ওপর থাকতে হয়। আমি যখন একটা প্রজেক্ট করি ওই প্রজেক্টর পেছনে ১৫-২০ দিন চলে যায়। একজন পরিচালক মাসে দুই-তিনটার বেশি কাজ করতেও পারেন না। আর যদি ভালো স্ক্রিপ্ট হয় তবে এক মাসে দুটি কাজ করা অসম্ভব। যখন সময় পাব তখন যে গল্পটা বলতে চাই সেটার ডিরেকশন দেব।       

‎অভিনেতা ও নির্মাতা হিসেবে লক্ষ্য কী? 

অভিনয়ের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের কোনো অ্যাওয়ার্ড অর্জন করতে চাই। যেটা দেশের জন্য বেঞ্চমার্ক তৈরি করবে। একজন অভিনেতা হিসেবে এটাই আমার মূল লক্ষ্য। নির্মাণের ক্ষেত্রেও লক্ষ্যটা একই। 

‎সিনেমা… 

আপাতত সিনেমা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে না। যদি কোনো ভালো গল্পের স্ক্রিপ্ট পাই তাহলে অবশ্যই কাজ করব।     

shekh

শোনা যাচ্ছে দিন দিন বেকার হয়ে যাচ্ছেন অভিনয়শিল্পীরা। অধিকাংশের হাতে কাজ নেই। আপনার কী অবস্থা? 

বাজেট সংকট চলছে। সম্ভবত এ কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। তবে আমার কাজে এর প্রভাব অনেক বেশি পড়েছে এমন না। 

ব্যস্ততা… 

সামনে বেশ কিছু ফিকশন আসছে। সেগুলো নিয়ে ব্যস্ত। বেছে বেছে ভালো কাজ করার চেষ্টা করছি। বিঞ্জে ‘ফাইভ গো ওয়াইল্ড’ নামে একটি ওয়েব ফিল্ম আসছে। কাজটি নিয়ে আশাবাদী।     

আরআর