images

বিনোদন

আপনার কথার সাথে নিরীহ শিক্ষার্থীদের কথার মিল নেই: সাদিয়া আয়মান 

বিনোদন ডেস্ক

২৩ জুলাই ২০২৫, ১১:৫৫ এএম

সমসাময়িক ইস্যুতে সামাজিক মাধ্যমে সরব থাকেন অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন নিয়েও গলা চড়িয়েছিলেন। সোমবার (২১ জুলাই) বিমান বিধ্বস্তের পর থেকে এ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। 

কারও কারও দাবি, শিক্ষার্থীদের লাশ গুম করা হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষক পূর্ণিমা দাস। দীর্ঘ স্ট্যাটাসে দাবি করেছেন লাশের সংখ্যা গোপন করার তথ্যটি ভুল। নেটিজেনদের উদ্দেশে ভুল তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকতেও অনুরোধ করেন। শিক্ষক পূর্ণিমার পোস্ট দেখে অনেকেই যখন আশ্বস্ত তখন প্রশ্ন তুললেন সাদিয়া আয়মান। নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে সাফ জানালেন, পূর্ণিমার স্ট্যাটাসে তিনি বিরক্ত। 

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পূর্ণিমা দাসের পোস্টের স্ক্রিনশট প্রকাশ করে আজ বুধবার সাদিয়া আয়মান লিখেছেন, উক্ত “পূর্ণিমা দাস” এর স্ট্যাটসটি আমাকে খুব “Bother” করছে । কেন করছে, সেটা নিচে বলছি..

যেখানে স্কুলের হেড পিয়ন নিজেই বলেছে, স্কুল ছুটি হয় ১.৩০ এ, এমনকি অনেক স্টুডেন্ট ও একই কথা বলেছে। প্লেন ক্র্যাশ এর সময় ক্লাস চলছিল, ১০ মিনিট পর ছুটি হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। স্কুলের এতগুলো শিক্ষার্থী, পিয়ন যেখানে বলেছে ১.৩০ এ স্কুল ছুটি হওয়ার কথা ছিল সেখানে ২ দিন পর এসে আপনি একা “১ টায়” স্কুল ছুটি হয়ে গেছে বললে তো এটা আমাদের bother করবেই !

আপনি লিখেছেন “sky” সেকশনে একটা বাচ্চা দাঁড়ানো ছিল! সিরিয়াসলি? জুনায়েত থেকে শুরু করে রাইসা মনিসহ অনেক বাচ্চা মারা গেছে যারা স্কাই সেকশনে ছিল। ক্লাসের মধ্যে এতোগুলো বই খাতা, স্কুল ব্যাগ কোত্থেকে আসলো? নিশ্চয়ই বলবেন না “স্টুডেন্টরা ক্লাসে বই খাতা ব্যাগ রেখে বাসায় চলে যায়, এটাই আপনাদের নিয়ম।” 
ম্যাডাম, আপনার একার কথার সাথে, এতোগুলো নিরীহ শিক্ষার্থী এবং প্রত্যক্ষ দর্শীদের কথার কোনো মিল নেই।

এতগুলো স্বনামধন্য নিউজপেপার যারা সত্যতা যাচাই বাছাই না করে নিউজ করে না তারাও কালকে অব্দি দিয়েছে ২২ জনের নিহতের খবর, কাল রাত থেকে আজ পর্যন্ত চিকিৎসারত আরও কয়েকজন ইন্তেকাল করেছে। 

আপনার ভাষ্যমতে, “স্কাই সেকশনে থাকা একজন, আর কিছু স্টুডেন্ট ক্লাউড সেকশনে থাকা এবং ৩ জন শিক্ষিকা আগুনে পুড়েছে” সেই কিছুর সংখ্যা ৩০+? সেটাকে “কিছু” বলে না । 

কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য কিংবা যৌক্তিক কোনোটাই লাগছে না আপনার এই ক্লারিফিকেশনে । আর এখনও অনেক পরিবার তাদের সন্তান কিংবা অভিভাবক (যারা বাচ্চা আনতে গিয়েছিল) তাদের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না, সেগুলোর হদিস কে দেবে? লাশ পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া আপনার বা স্কুলের দায়িত্ব না, এটা যাদের দায়িত্ব তাদের কর্মকাণ্ডই বেশ সন্দিহান । গতকাল Bangladesh Air Force এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে রাতে যে ছবি পোস্ট করা হয়েছে তারপর আর সাধারণ জনগণের অথবা ভুক্তভুগীদের আর ভালো কিছু “আশা” না করাই ভালো।

জানি না, আপনি কেন পুরো দুনিয়ার বিরুদ্ধে একটা স্ট্যাটাস লিখলেন, যেটা পলিটিশিয়ানরা অনেকেই শেয়ার করছে, তাই ব্যাপার টা আরও চোখে লাগল আরকি! ধন্যবাদ।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টা ৬ মিনিটে বিমান বাহিনীর ‘এফ-৭ বিজিআই’ মডেলের একটি বিমান উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই উত্তরার মাইলস্টোন কলেজের একটি ভবনে আছড়ে পড়ে। প্রচণ্ড শব্দ আর আগুনের গোলায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ক্লাস চলাকালীন দুর্ঘটনা ঘটায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা দেয় ব্যাপক বিভ্রান্তি ও আতঙ্ক।

দুর্ঘটনার সময় কলেজে প্রথম থেকে সপ্তম শ্রেণির ক্লাস চলছিল। হঠাৎ বিকট শব্দ ও আগুনে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। কেউ কান্নায় ভেঙে পড়ে, কেউ শ্রেণিকক্ষ ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসে। সবশেষ খবর অনুযায়ী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ এবং চিকিৎসাধীন শতাধিক।