রাফিউজ্জামান রাফি
২০ মে ২০২৫, ০৪:৫৪ পিএম
লোক হাসানো মোটেই সহজ কাজ না। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পর্দায় থেকেও অনেকে ব্যর্থ হন। আবার কেউ করেন এক তুড়িতে। এই যেমন জয়নাল জ্যাক। আসেন, হাসান, চলে যান। এভাবেই দর্শকদের পেটে খিল ধরিয়ে কাটিয়েছেন এক যুগেরও বেশি। এখনও তা অব্যহত।
পথচলাটা মঞ্চের মাধ্যমে। চট্টগ্রামে সমীকরণ থিয়েটারে অভিনয় করতেন। ঢাকায় এসে যোগ দেন প্রাঙ্গণে মোর নাট্যদলে। তখন থেকেই টুকটাক অডিশন, ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয়— এভাবেই শুরু। ঢাকা মেইলের সঙ্গে এক দীর্ঘ ফোনালাপ জমে উঠেছিল তার।
জয়নাল জ্যাক তার শুরুর কৃতিত্বটা নির্দিষ্ট কোনো কাজকে দিলেন না। পথচলা আরম্ভের দিকে ছোট ছোট চরিত্রে ডাক পড়ত। সেসব চরিত্রে ক্যামেরায় দাঁড়াতে দাঁড়াতে অভিনয় শিখেছেন বলে মনে করেন। তবে উল্লেখ করলেন একটি সিনেমার কথা।
জ্যাকের ভাষায়, ‘‘২০১২ সালে সিনেমায় আফসানা মিমি আপা একটি সিনেমা বানাচ্ছিলেন। ‘রান’ নামের ওই সিনেমার জন্য ডাক পড়ে আমার। তিন-চার মাস গ্রুমিং হয়েছিল। পরে ছবিটা হয়নি। এক লটের কাজ শেষে শুটিং বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে টুকটাক কাজ করতে থাকি।’’
ছোট ছোট বালুকণা, বিন্দু বিন্দু জল, গড়ে তোলে মহাদেশ, সাগর অতল। জয়নালের ক্যারিয়ারের সঙ্গে লাইন দুটি যেন হুবহু মিলে যায়! কেননা এই জনপ্রিয়তা তার একদিনের ফসল না। ছোট ছোট চরিত্রে নিজেকে প্রমাণ করতে করতে এসেছেন এতদূর। তিনি বলেন, ‘দিনে কাজ করে রাতে তারকাখ্যাতি পাওয়ার সুযোগ আমার কপালে আসেইনি। ২০১১ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত ক্যারিয়ারে যে বিশাল বড় কোনো চরিত্র পেয়েছি বা আমার কোনো কাজ নিয়ে হাইপ তৈরি হয়েছে এরকমও না। এ পর্যন্ত পাঁচ শর মতো নাটক করেছি। কাজ করতে করতে মানুষ চিনেছে। দর্শক একজন মানুষকে এতোভাবে দেখেন যে ওই চেহারাটার প্রতি ভালোবাসা জন্মে।’
যোগ করেন, আজকের তৌসিফ মাহবুব, ফারহান আহমেদ জোভান, এ্যালেন শুভ্র— আমরা একসঙ্গে শুরু করেছিলাম। অনেকে স্টার, সুপারস্টার হয়েছেন। আমি এখনও ছোট ক্যারেক্টার করে যাচ্ছি। পাশাপাশি আমি একজন চাকরিজীবী। রসায়নে মাস্টার্স করেছি। একটা ডেভলপমেন্ট সেক্টরে ছিলাম। এখন সরকারি হাইস্কুলে আছি। মাঝে একটা সরকারি চাকরিতে ছিলাম। চাকরির পাশাপাশিই অভিনয়টা করতে হয়।’
তবে চরিত্র ছোট হলেও কাজগুলো বড় জয়নাল জ্যাকের। বাজেট, গুণগত মান দেখেই যুক্ত হন তিনি। বললেন, ‘গেল রোজার ঈদে অনেকগুলো ভালো কাজ করেছি। তাছাড়া আমি বেশিরভাগ সময় বড় বাজেটের কাজ করি। বেছে বেছে কাজ করি। ক্যারেক্টার আর্টিস্ট হিসেবে প্রতিটি লিডিং চ্যানেলের কাজগুলো করছি।’
বড় চরিত্রে কাজের ইচ্ছা করে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে খানিক হেসে অভিনেতা বলেন, ‘ ইচ্ছা করলেই তো হয় না। তবে আমার ১০-১৫ বছরের ক্যারিয়ারে ছোট ছোট চরিত্র, এক-দুইটা সিনে কাজ করে যে ভালোবাসা পেয়েছি মনে হয় না কোনো হিরো তা পেয়েছেন। উপলব্ধির জায়গা থেকে বললাম। ডিরেক্টররা আমাকে যেখানে ব্যবহারের উপযুক্ত মনে করেছেন সেখানেই ব্যবহার করেছেন।
তবে কিছুটা আক্ষেপও স্পষ্ট হয় তার কথায়। জয়নাল বলেন, ‘আমাকে কি সিনেমায় ভালো জায়গায় ব্যবহার করা যেত না! করেনি তো! কেউ ওভাবে ভাবে না। ওই গুরুত্বটা দেয় না। গত পাঁচ বছরে ঈদ বলেন পূজা বলেন কোন ভালো কাজে আমি নেই। প্রত্যেক উৎসবে সেরা ১০ নাটকে আমার একটি পাবেন। তবুও তো কেউ কখনও আমার একটি সাক্ষাৎকার ছাপল না! এখানে কেউ কাউকে অ্যাপ্রিসিয়েট করে না। ক্যারেক্টার আর্টিস্টদের তো আরও না। এত অনুষ্ঠান হয়, সেখানে হিরোদের ডাকে। কখনও কি আমাদের ডেকেছে? আমাদের কেন ডাকবে? আমরা তো ছোট ছোট চরিত্রে কাজ করি। কিন্তু অ্যাপ্রিসিয়েশনটা তো প্রত্যেক জায়গা থেকে আসা উচিত। তবে প্রাকৃতিকভাবে দর্শকদের থেকে যে ভালোবাসা, প্রমোশন পাই তাতেই সন্তুষ্ট।
স্বপ্ন দেখতে বিধিনিষেধ নেই। তবে সেখানেও হিসেবী জয়নাল জ্যাক। অনেকেই নায়ক হতে শোবিজে নাম লেখান। না পেরে আক্ষেপ করেন। অন্যদিকে এ অভিনেতা বলেন, ‘আমাকে দিয়ে যে স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব না সেই স্বপ্ন দেখব কেন। এরচেয়ে আমার তিনটা মিনিট যদি দর্শকদের আনন্দিত করে তবে সেটাই দিতে চাই। ওই অর্গানিক ভালবাসাটাই পেতে চাই। আমি কোনোকিছু হতে চাইনি। অভিনয় করতে চেয়েছি। যে যেভাবে ব্যাবহার করছেন। আমি সেভাবে ব্যবহার হচ্ছি।
নাটক-সিনেমায় জয়নাল জ্যাকের ছোট ছোট চরিত্রগুলো অনেকটা ছোটগল্পের মতে। শেষ হয়েও হয় না শেষ। রেশ রেখে যায়। এর কারণ কী— জানতে চাইলে বলেন, ‘জানি না আসলে। তবে দর্শকদের কাছ থেকে অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। তাদের সাথে যখন যেখানে দেখা হয় তারা বলেন, ভাই স্ক্রিনে আর একটু থাকতে পারেন না? মুশফিক আর ফারহানের সঙ্গে আমার বেশি কাজ হয়। অনেকে কমেন্ট করেন, আমরা জ্যাক ভাইকে আর একটু দেখব। নাটকের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করি জ্যাক ভাই ব্যাক করবে বলে। কেন জ্যাক ভাইকে আরেকটু রাখা হলো না!
ক্যারেক্টার আর্টিস্টদের সফলতা সবাই উপভোগ করলেও তাদের সংগ্রামের গল্পটা অনেকেরই অজানা। অধিকাংশেরই দিন-রাত কাটে সংকট, দুশ্চিন্তার হাত ধরে। জয়নাল জ্যাক যেন সে বর্ণনা দিতে গিয়ে শিউরে ওঠেন।
তার ভাষ্য, ‘ওরে বাপরে বাপ। একজন ক্যারেক্টার আর্টিস্টকে যে কী পরিমাণ ভোগান্তি পোহাতে হয়— কল্পনার বাইরে। বলতে পারেন, আমি কীভাবে টিকে আছি। আমি অভিনয়ের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল না। অভিনয়ের ওপর নির্ভরশীল হলে ফ্রাস্টেশনে মারা যেতাম। ক্যারেক্টার আর্টিস্ট যে কয়জন বেঁচে আছেন তাদের আয়ু আছে বলেই বেঁচে আছেন। না হলে সম্ভব না। চাকরি না করলে কিংবা অভিনয়ের ওপর নির্ভরশীল থাকলে বাঁচার কোনো সুযোগ থাকত না। এতটা বাজে পরিস্থিতি এখানে! ধরুন আমি যেটা ডিজার্ভ করি কিংবা কষ্ট করে যে জায়গাটা তৈরি করেছি ওই জায়গা আমাকে না দেওয়া হলে এমনিতেই শেষ হয়ে যাব।
যেহেতু আমি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক। যে বেতনটা পাই সেটা আমার জন্য শক্তিশালী দেয়াল হিসেবে কাজ করে। সেকারণে স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারি। আমাকে পর্দায় দেখবেন উড়িয়ে দিচ্ছি, ফাটিয়ে দিচ্ছি। এর কারণ আমার ভেতরে কোনো কষ্ট নেই, অনিশ্চিয়তা নেই। সাম্প্রতি শাহবাজ সানী মারা গেছেন। আমি জানি তিনি শেষের দিকে কী পরিমাণ অনিশ্চিয়তার মধ্য দিয়ে গেছেন। একজন ক্যারেক্টার আর্টিস্ট হিরো হতে পারছেন না। তার পারিশ্রমিক ৫ হাজার টাকা থেকে বাড়ছে না। সে কীভাবে চলবে। ধরুন আমি যদি আজ কম বাজেটের বা নিম্ন মানের কাজ করি তাহলে ভালো জায়গাগুলো থেকে আর ডাকবে না। এগুলো মেইনটেন করে চলতে হয় যেটা খুব কষ্টসাধ্য। আমি ভালো গল্প, স্ক্রিপ্ট ছাড়া পা দিই না। প্রথমে গল্প, স্ক্রিপ্ট দেখব। সেখানে আমার চরিত্র কতটুকু গুরুত্ব পাবে সেটা দেখব। চাকরি না করতাম তাহলে এভাবে বেছে কাজ করতে পারতাম না।’
কথায় কথায় উঠে আসে সিন্ডিকেটের কথা। রাখঢাক না রেখে অকপটে ভাগ করেন জয়নাল। তিনি বলেন, ‘পরিচালক অমির (কাজল আরেফিন অমি) কোনো কাজে কেন আমি থাকি না— এ নিয়ে হাজারো প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছি। ব্যাচেলর পয়েন্ট, ফিমেলে কেন কাজ করি না। আমার সাথে কী তার কোনো সমস্যা নাকি। এগুলো দর্শকের প্রশ্ন। অথচ যখন ২০১২-১৩ তে আমি যখন ইফতেখার আহমেদ ফাহমি ভাইয়ের সাথে ছোট ছোট চরিত্র কাজ করি অমি তখন ওই সেটে নতুন অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টর। কত কাছের ছোট ভাই! কত ভালো সম্পর্ক! কই সে তো কখনও আমাকে ডাকেনি। আফসোস করে বলছি না। সে কেন ডাকেনি জানি না। হয়তো আমার শুরুটা দেখেছে বলে কিংবা ওরা যে সিন্ডিকেট করেছে তার বাইরে কাউকে নেবে না। তবে বিষয়গুলো আমাকেও ভাবায়। হয়তো অমি বলতে পারে, আমি একজন স্টার ডিরেক্টর। আমি যাকে নেব তসেই ঠিক। আমি কেন জয়নাল ভাইকে ডাকব। আবার আমাকে জিজ্ঞেস করলে বলব, আমি কি অমি ছাড়া কাজ করতে পারি না? আমি কি অমি ছাড়া জনপ্রিয়তা পাইনি?’
জ্যাকের ভাষ্য, ‘এ ধরনের ছোট ছোট সিন্ডিকেট এখানে আছে। আমি রেদওয়ান রনি, ফাহমি ভাই, মোস্তফা কামাল রাজ ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করা আর্টিস্ট। ২০১০-১১ থেকে কাজ করা শিল্পী। অনেকগুলো স্তর পাড় করে এসেছি। জীবনে অনেক কিছু দেখেছি। এরকম বিশাল কাজ করা নির্মাতারা একসময় নাই হয়ে যাবে। বিশাল জনপ্রিয়তাও শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু জয়নাল জ্যাক আছে। এখন যেখানে দাঁড়িয়ে সেখানে পায়ে হেঁটে এসেছি। লিফটে আসিনি। কাজ শিখে চলে যেতে না, থাকতে এসেছি। আমৃত্যু কাজ করব। কোনো হতাশা নেই। কিন্তু অনেক কিছু চোখে পড়ে। আমার জায়গা অন্য একটা ছেলে থাকলে টিকতে পারত না।’
চাকরি ও অভিনয় একইসঙ্গে চালাতে হয় জয়নালকে। তবে এতে বিশেষ অসুবিধা হয় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এরকম হয় না। কারণ ভালো কাজ সবসময় হয় না। আর আমি যদি টাকার জন্য কাজ করতাম তাহলে ৩০ দিন শুটিং করতে হযতো। অনেকে আমাকে দ্বিগুণ পারিশ্রমিক দিয়ে কাজে নিতে চান। নতুন নায়কদের সঙ্গে কাজের বেলায়। হিরোর কাছাকাছি পারিশ্রমিক দিতে চায়। তবে আমি বুঝেশুনে কাজ করি। এই যেমন রোজার ঈদের পর একদিনও কাজ করিনি। এতে কোনো আফসোস নেই। এসএসসি পরীক্ষা চলছে। হল ভিজিটে যাচ্ছি। নাটকগুলোর প্রমোশন করছি। কোরবানি ঈদে দুই-চারটা নাটক করব। ওই কাজগুলো দিয়ে আবার আলোচনায় থাকব।’
প্রিয় অভিনেতাকে কেন্দ্র পরিদর্শনে দেখে শুধু পরীক্ষার্থীরাই অবাক হয় না, আশ্চর্য হন শিক্ষকরাও। তার কথায়, ‘একটি কেন্দ্রে অনেক ছাত্র-ছাত্রী থাকে। আমাকে দেখে তারা অবাক হয়। হল ভিজিটে আসা অন্য শিক্ষক, বোর্ড কর্মকর্তারাও অবাক হন। পরীক্ষার্থীরা বলে, আপনার অনেক কাজ দেখছি। আজ আপনার কাছে ইন্টারভিউ দেব ভাবতেই অবাক লাগছে। স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। এ ধরনের ফিডব্যাক পাই। জনপ্রিয় অভিনেতা তার ওপর আবার শিক্ষক! অনেকে আইডল হিসেবে নেন।’
তবে সবশেষে ভালোবাসার কাছে নত হন জ্যাক। তিনি বলেন, ‘অভিনয় জগতে পা দেওয়ার সময় চিন্তাও করিনি এতটা ভালোবাসা পাব। যত মানুষ সামনে পড়ে দুই-একজন ছাড়া সবাই ছবি তোলে, কাজের প্রশংসা করে। ক্যারেক্টারের নাম ধরে ডাকে। অভিনয় জীবনে এর থেকে বড় পাওয়া আর কিছু নেই।’
অভিনয় জ্যাকের শুধু জীবনই বদলে দেয়নি। পাল্টে দিয়েছে নামও। জয়নাল আবেদীন থেকে হয়েছেন জয়নাল জ্যাক। এবার সে গল্প বললেন, ‘আমার আসল নাম জয়নাল আবেদীন। মিমি আপার সিনেমায় নাম লেখানোর পর বদলে গেছে। ওই কাজের গ্রুমিংয়ের সময় সবাই আমাকে জ্যাক বলে ডাকত। ক্রিকেটার খালেদ মাহমুদ সুজনও ছিলেন। উনিও জ্যাক বলে ডাকতেন। এভাবেই জয়নাল আবেদীন থেকে জয়নাল জ্যাক হয়েছি।’
প্রত্যেক অভিনয়শিল্পীর স্বপ্নের চরিত্র থাকে। সেসব চরিত্রে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর আকাঙ্ক্ষা পুষে রাখেন। এখানেও ব্যতিক্রম জয়নালের ভাবনা। তার কথায়, ‘‘আমি ওভাবে ভাবি না। গত রোজার ঈদে বেশ কয়েকটি বড় চরিত্রে অভিনয় করেছি। বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পর্দায় ছিলাম। তখন শুটিংয়ের মাঝখানে একদিন ফারহান বলছিল, জ্যাক কাজ করতে করতে সিরিয়াস চরিত্র করার সক্ষমতা তৈরি হয়েছে তোর মধ্যে। অনেক মজার নাটক করেছিস এবার একটা সিরিয়াস গল্পে কাজ কর। ‘প্রতিদান’ নামের একটি নাটকে অভিনয় করেছি। এই নাটকে ফারহান আমাকে পরীক্ষামূলকভাবে সিরিয়াস একটি চরিত্রে অভিনয় করিয়েছে। বড় ভাইয়ের চরিত্রে দেখা যাবে। শুটিংয়ের সময় হিরোকে কষ্টদায়ক একটি ডায়লগ দিচ্ছিলাম। সিকোয়েন্স শেষে ফারহান আমাকে বলছিল, তোকে এখন থেকে সিরিয়াস চরিত্র রেফারেন্স দেব। এই ছোট ছোট প্রশংসাগুলো পেলে মনে হয় বড় চরিত্রে অভিনয় করার মতো সক্ষমতা তৈরি হয়েছে। আমিও নাটক-সিনেমার বড় চরিত্র করতে চাই। যদি কেউ কাজে লাগায় করব।’’
জয়নালের অভিনয় শুধু দর্শকদের মুগ্ধ করেনি, মন ভরিয়েছে দেশের গুণী অভিনেতাদেরও। সে গল্পের ঝাঁপি খুলে বলেন, ‘আমি ফজলুল রহমান বাবু, শহীদুজ্জামান সেলিম ভাইদের সাথে কাজ করি। একবার সেলিম ভাইয়ের সাথে শুটিং ছিল। আমার একটি কাজ নিয়ে তিনি বললেন, তোর ওই কাজটা দেখেছি। অনেক কাজ করেছিস। এই প্রশংসা যেকোনো অ্যাওয়ার্ডের চেয়ে বড়।’
সবশেষে ব্যাস্ততার ফিরিস্তি জানিয়ে অভিনেতা বলেন, ‘রোজার ঈদের কাজগুলো প্রচার হলো। চাকরি, অফিসের ব্যস্ততার কারণে কোরবানি ঈদে বেশি কাজ করিনি। সামনে দুই একটা কাজ করব। এখনও শুরু করিনি।’
আরআর