বিনোদন প্রতিবেদক
০৮ মে ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
আজ ৮ মে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গতে মুক্তি পেয়েছে ওয়েব সিরিজ ‘ফ্যাঁকড়া’ । গতকাল বুধবার সিরিজটি মুক্তি উপলক্ষে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল।
সেখানে হাজির হয়েছিলেন সিরিজটির পরিচালক, অভিনয়শিল্পী্রা। এরমধ্যে ছিলেন শ্যামল মাওলা, নিশাত প্রিয়ম, সারা আলম, পার্থ শেখ, নিদ্রা দে নেহা, মীর রাব্বি, আবদুল্লাহ আল সেন্টু, হাশনাত রিপন, এ কে আজাদ সেতুসহ আরও অনেকে।
তারা ভাগ করে নিয়েছেন ‘ফ্যাঁকড়া’ র শুটিং চলাকালীন নানা অভিজ্ঞতা। জুলাই বিপ্লবের পরের অস্থিরতা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মাথায় নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। রাস্তায় পড়ে থাকতে হয়েছে, কাউকে এক কাপড়ে থাকতে হয়েছে, দিতে হয়েছে ডাকাত পাহারাও।

সিরিজটিতে অভিনয় করেছেন আব্দুল্লাহ আল সেন্টু। তিনি বলেন, ‘চেষ্টা করছি ভালো কিছু নিয়ে আসার। দর্শককে কামড় দেওয়ার। কিন্তু কামড় দিতে গিয়ে নিজেরাই কামড়ে পড়ে গিয়েছিলাম। শুটিং লোকেশনে গিয়ে বিভিন্ন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছি। জুলাই আন্দোলনের পরপর কাজটি করা। খুব ঝুঁকি নিয়ে কাজটি করেছি। দিন-রাত রাস্তায় শুটিং করতে হয়েছে। বঙ্গতে চোখ রাখলেই বুঝবেন কী ফ্যাঁকড়াটা আমরা লাগিয়েছি।’
‘ফ্যাঁকড়া’ য় গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন শ্যামল মওলা। তিনি বলেন, ‘আসিফ (আসিফ চৌধুরী) ভাইয়ের সঙ্গে এর আগে আমার ছোট্ট একটি কাজ হয়েছিল। তখনই ডিরেক্টর হিসেবে তাকে ভালো লাগে। তারপর ভালো বন্ধুত্ব এরপর সহযোদ্ধা। জুলাই বিপ্লবের পর চারদিকে যখন অস্থিরতা শুরু তখন আমরা শুটিং করছিলাম। চারদিকে যখন বন্যা তখনও শুটিং করেছি। দেশের জন্য যখন ডাকাত পাহারা দিতে হয়েছে তখন শুট করে ডাকাত পাহারা দিয়ে আবার শুটে গেছি। এরকম পরিস্থিতি ছিল।’

উচ্ছ্বসিত নিশাত প্রিয়ম বলেন, ‘আমি আমার পরিচালকের কাছে কৃতজ্ঞ। কেননা চরিত্রটি আমার জন্য একেবারেই নতুন। এরকম চরিত্রে আগে কখনও কাজ করিনি। টিজার দেখার সময় মনে হচ্ছিল কবে পুরোটা দেখতে পাব। ডাবিংয়ের সময়ো এরকম মনে হয়েছে।’
এবার নিদ্রা দে নেহা বলেন, ‘‘আমি সামাদের গোলাপী, আসিফ চৌধুরীর গোলাপী, ‘ফ্যাঁকড়া’ র গোলাপী।’’ এসময় পোস্টারে নিজেকে দেখিয়ে নিদ্রা বলেন, ‘তবে গোলাপী নাম শুনে যতটা কোমল মনে হয় ‘ফ্যাঁকড়া’ র গোলাপী তেমন না। সম্পূর্ণ শুটিংয়ে এক পোশাকে ছিলাম। কোনো মেকআপ নেইনি। শুটিংয়ে অনেক ফ্যাঁকড়া হয়েছে। তবে ক্যামেরার সামনে ও পেছনে টিমটা অনেক বেশি ফ্রেন্ডলি ছিল যে কারণে আমাদের ফ্যাকরা এতো বেশি লাগেনি। সব মিলিয়ে, আমরা আত্মবিশ্বাসী যে কাজটি আপনাদের ভালো লাগবে।’
‘ফ্যাঁকড়া’ র পরিচালক আসিফ চৌধুরী। কাজটি করতে গিয়ে তাকেও অনেক ফ্যাঁকড়া তথা ঝাক্কি ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। হতে হয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের মুখোমুখি। মাইক্রোফোন হাতে সেসব গল্প শোনান তিনি। তিনি বলেন, “আমাদের ‘ফ্যাঁকড়া’ সিরিজ শুধু একটি থ্রিলার নয়, এটি এক যন্ত্রণাময় ও মানবিক গল্প, যেখানে আছে ভালোবাসা, আত্মত্যাগ, প্রতিশোধ এবং অপরাধজগতের গল্প।”পাশাপাশি সিরিজটির দ্বিতীয় কিস্তিরও আভাস দেন।
আরআর