images

বিনোদন

‘দাগি’র প্রশংসায় পঞ্চমুখ আফজাল হোসেন

বিনোদন ডেস্ক

২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৫ পিএম

চিরসবুজ অভিনেতা আফজাল হোসেন অভিনয়ে অনিয়মিত হলেও নিয়মিত সামাজিক মাধ্যমে। বিভিন্ন বিষয়ে মনের ভাব প্রকাশ করেন। এবারও তার ফেসবুকে এরকমই একটি পোস্ট দেখা গেল। চলচ্চিত্রের মানুষ তাই সব সময় অভিনয়শিল্পী, চলচ্চিত্র, গল্প, চরিত্র, গান ইত‍্যাদি নিয়েই বেশী ভাবেন।

'দাগি'র বিশেষ প্রদর্শনীতে ফিলিস্তিন গণহত্যার প্রতিবাদ

আজ শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সোশ্যাল মিডিয়ায় লম্বা এক পোস্টে বাংলা সিনেমার সোনালি অতীতের কথা উগড়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি আকুতি জানিয়েছেন বেশি বেশি বাংলা সিনেমা নির্মাণের। অভিনেতা মনে করেন আবারও বাংলা সিনেমার সুদিন ফিরছে। মানুষ এখনও সিনেমা হলে বসে নায়ক-নায়িকাদের রসায়ন দেখতে চায়। 
Afzal_hossen

ওই পোস্টে তিনি জানিয়েছেন ঈদুল ফিতরে মুক্তি প্রাপ্ত আফরান নিশো অভিনীত সিনেমা ‘দাগি’ হলে বসে দেখেছেন। লম্বা পোস্টে এ ছবির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা গেছে আফজাল হোসেনকে। অভিনেতার ভাষ্য, “আমি ‘দাগি’ দেখেছি। শিহাব শাহীনকে অতি চমৎকার নির্মাতা হিসাবে জানি। তাই আগ্রহ নিয়ে ‘দাগি’ দেখতে যাই। নিশোকে নিয়ে বহু মহলে আলোচনা শুনি-  তাই বন্ধুবান্ধব ঠিক করে ‘দাগি’ দেখবে।” 

সব বয়সীরা দেখতে পারবেন 'দাগি'

তিনি যোগ করেন, ‘একসাথে নয়জন গিয়েছিলাম। সবাইকে মুগ্ধ করতে পেরেছে ‘দাগি’। হল থেকে বেরিয়ে দলেবলে রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছি। সেখানে পুরো সময়টা ছবি নিয়ে অসংখ‍্য কথা হয়েছে।’

Afzal_hossen_5

সিনেমার গল্পের ভরপুর রোমান্সে। চোখ সরানোর সুযোগ পাননি অভিনেতা। তিনি বলেন, ‘আমার খুব ভালো লেগেছে। আবার আগের মতোই আমাদের দেশে তৈরি একটা সিনেমা নিয়ে দীর্ঘক্ষণ সবাই হৈ-হৈ, রৈ-রৈ আলাপ করেছি। শিহাব শাহীন মুগ্ধ করেছে তার নির্মাণের মুন্সীয়ানা দিয়ে। গল্পটা এক বৈচিত্র থেকে আর এক বৈচিত্রে দৌঁড়ায়। থামে না। দৌঁড়াতেই থাকে। কি হবে এরপর- এই কৌতূহল সারাক্ষণ টিকিয়ে রাখতে পারা খুবই কঠিন কিন্তু সহজেই তা পেরেছেন তিনি।

চোর ডাকাতের গলায় মালা পরালে অসভ্যদের পক্ষে মিছিল হবেই: আফজাল হোসেন

তিনি আরও বলেন, ‘নিশো চমকে দেওয়ার মতো সুবাতাস। এত বড় একটা চলচ্চিত্রের ভার কাঁধে নিয়ে দর্শকমনে বিশ্বস্ততা ধরে রেখে দৌঁড়ে চলা মোটেও সহজ কাজ ছিল না। সিনেমার পর্দাটা অনেক বড়। সেই পর্দা জুড়ে সারাক্ষণ বড় হয়ে জুড়ে যে থাকতে পারে- সে ই নায়ক।’

Afzal_hossen_1
এই সিনেমার প্রত্যেক অভিনয়শিল্পীকে বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে। চরিত্রগুলোর উপস্থাপনা অসাধারণ। প্রেমকে নতুনভাবে হাজির করা হয়েছে আর দুই নায়িকার প্রেমময়তা যে কোনো দর্শকের জন্য চমৎকার উপহার।

মানুষ পরিচয়ের প্রাণীরা অসভ‍্যতায় বিব্রতবোধ করি না: আফজাল হোসেন

ওই পোস্টে অভিনেতার কৌশরের স্মৃতি চারণ করেছেন। যখন  বাংলা সিনেমার ভরা যৌবন তখন নিয়মিতই হলে বসে সিনেমা দেখতেন। মাঝের কিছু সময় সিনেমা খারাপ সময় গেছে। এখনও ভালো সিনেমা মুক্তি পেলে আগের মতোই আনন্দিত হন। তিনি জানান, ‘আমি আমাদের কালে সিনেমা পাগল ছিলাম। বয়স বেড়েছে কিন্তু একের পর এক ভালো সিনেমা হতে থাকলে যৌবনের আনন্দ আবার ফিরে পেতে পারি। নতুন নতুন সিনেমা হল তৈরি হোক, মানুষ সিনেমা দেখুক। নানারকম গল্পের চর্চায় মানুষ নিত‍্য নতুন করে নিজেকে আবিষ্কার করতে পারুক। এ চাওয়া বাড়াবাড়ি রকমের নয়।’ 

Afzal_hossen_4

সবশেষ তিনি লিখেছেন, ‘ঈদের আনন্দের সাথে বহুকাল পরে আবার সিনেমার আনন্দ যুক্ত হয়েছে। এ যেনো হারিয়ে পাওয়া। মানুষ কথা বলছে ‘বরবাদ’, ‘চক্কর’, ‘জংলি’, ‘দাগী’ নিয়ে। সিনেমা তো এক ধরণের স্বপ্ন রচনা। স্বপ্ন বড় হতে থাকলে মানুষও বড় হবে।’

ইএইচ