images

বিনোদন

আমি জ্বীনে বিশ্বাস করি: সজল 

রাফিউজ্জামান রাফি

১৯ মার্চ ২০২৫, ০৪:১৮ পিএম

ঈদে মুক্তিপ্রতিক্ষীত সিনেমাগুলো আড়মোড়া ভেঙেছে। পোস্টার-টিজার-গান প্রকাশের মাধ্যমে দর্শকের মনে টান দেওয়ার চেষ্টায় রত। সেদিক থেকে শতভাগ সফল ‘জ্বীন ৩’ সিনেমাটি। নেটিজেনদের পাশাপাশি বুদ হয়েছেন তারকারাও। প্রথমটির মতো ‘জ্বীন’ ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় কিস্তিতে মুখ্য চরিত্রগুলোর একটিতে আছেন জনপ্রিয় অভিনেতা আবদুন নূর সজল। এরইমধ্যে মুগ্ধতা ছড়য়েছেন। এবার ঢাকা মেইলের কাছে খুললেন মনের আগল। 

ঈদ উৎসব ছাড়াও আপনার সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। দুই সময়ে সিনেমা মুক্তির অনুভূতিটা কতটা আলাদা?

সব সময়-ই ছবি মুক্তি পেলে আগ্রহ, আনন্দ, উত্তেজনা কাজ করে। তবে ঈদের সময় মাত্রটা দ্বিগুণ হয়। কেননা উৎসবের সময় আমরা চেষ্টা করি ভালো কাজ দর্শকদের সামনে আনতে। সেজন্য একটা প্রস্তুতি থাকে। তাছাড়া ঈদের সময় আলাদা একটা ভালো লাগা কাজ করে।

480937399_1176334337195707_7692973785513963791_n

নেটিজেনরা বলছেন, ভায়োলেন্সের ভিড়ে উৎসবের আমেজ নিয়ে এসেছে ‘জ্বীন ৩’-এর ‘কন্যা’ গানটি। আপনার অভিমত কী?

আমি সবার মতামতকে প্রাধান্য দেই। গানটির চিত্রায়ণ, পারফর্মেন্স সবাই পছন্দ করছেন। এটা ভীষণ ভালো লাগার। আমাদের আয়োজনের মধ্যে দেশিয় উৎসবগুলো আছে। ঈদ, ফাল্গুন, পয়লা বৈশাখ অনেক বড় বড় উৎসব। খেয়াল করে দেখবেন উৎসবগুলো প্রেজেন্ট করার চেষ্টা রয়েছে। পহেলা বৈশাখের সময় বৈশাখ, পহেলা ফাল্গুনের সময় হলুদের ছড়াছড়ি এই বিষয়গুলোর জন্য প্রশংসা পাচ্ছি। সেজন্য সবাইকে ধন্যবাদ। 

গানটির কথা সুর গায়কী প্রশংসিত হচ্ছে। গানটির গীতিকার সুরকার কণ্ঠশিল্পীদের নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?

ইমরান-কনা দুর্দান্ত কাজ করেন। পাশাপাশি ইমরানের কম্পোজিশন ভীষণ হৃদয়স্পর্শী, শ্রুতিমধুর। আমি বলব গানের কথা ও সুরের কারণে মানুষ এত পছন্দ করছে। রবিউল ইসলাম জীবন ভাই অসাধারণ লিখেছেন। প্রেমের সূচনাতে যে ধরনের শব্দগুলো অনুভব করি। সেগুলো এতো সুন্দরভাবে জোড়া দিয়েছেন তা বলার বাইরে।  

483891237_1187650609397413_6372189010950445092_n

নুসরাত ফারিয়ার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?

ভীষণ ভালো। নুসরাত ফারিয়া খুব পরিশ্রমী একজন মানুষ। কোনোভাবেই হাল ছেড়ে দেন না। সব সময় তার চেষ্টা থাকে যতটুকু সম্ভব তার সেরাটা করার। কাজের প্রতি খুবই যত্নশীল। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে আমি আর ফারিয়া এই প্রথম একসঙ্গে কাজ করলাম। কিন্তু গান দেখে অনেকেই বলছেন, মনে হচ্ছে আমরা অনেদিনের পরিচিত। 

ঈদের ছবির প্রতিযোগিতায় ‘জ্বীন ৩’ কতটা জায়গা নিতে পারবে বলে মনে হচ্ছে?

এবারের ঈদে যে ছবিগুলো আছে সবগুলো ভীষণ ভালো হবে বলে আশাবাদী। শাকিব ভাই, আফরান নিশো— সবার ছবির টিজার দেখেছি। সিনেমাগুলো খুব ভালো জায়গা নেবে আশা করাই যায়। জ্বীন-৩-এর গল্প সম্পূর্ণ আলাদা। নিজে অভিনয় করেছি বলে না। গল্পের লেয়ারে লেয়ারে এতো চমক আছে যা দর্শকদের ভালো লাগবে। আমি বিশ্বাস করি সবগুলো ছবি খুব ভালো যাবে। জ্বীনও একটা আলাদা জায়গা ধরে রাখবে।

484252223_1189651629197311_8789204143088236704_n

‘জ্বীন-৩’ ছবিটি আসলে কি বার্তা দিচ্ছে? 

‘জ্বীন-৩’ ছবি ভালো লাগার পেছনে অনেক বড় বার্তা আছে। এ নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাই না। এটা সত্যি পারস্পরিক যে সম্পর্কগুলো কত মজবুত হলে কোনো বিপদে কিংবা অদ্ভুত পরিস্থিতিতে পরিবারের মানুষগুলো একত্রিত হয়, সবাই একসঙ্গে দাঁড়ায়, যুদ্ধে নামে। ছবিতে অনেক বড়ভাবে পরিবারিক এই বন্ধনের একটা বার্তা আছে। পরিবারের ঊর্ধ্বে কিছু হয় না। এটা অনেক বড় বিষয়। সিনেমাটিতে অনেক বড় বার্তা আছে। দর্শক দেখলে বুঝবেন কোন বার্তার কথা বলছি। 

আপনি জ্বীনের খপ্পড়ে পড়েছেন কখনও? 

জ্বীনের খপ্পরে পড়েছি তা বলব না। তবে আমি জ্বীনে বিশ্বাস করি। বাতাস যেমন দেখতে পাই না তেমনি এমন অনেক বায়বীয় অলৌকিক বিষয় থাকে যা আমরা দেখতে পাই না। তার মানে এই না যে সেগুলোর অস্তিত্ব নেই৷ অনেক সময় অনেক কিছু অনুভব করেছি কিন্তু সামনাসামনি দেখার সুযোগ এখনও হয়নি। 

484589484_1171555894287861_2783586273929740164_n_20250318_134506945

‘জ্বীন’ ও ‘জ্বীন-৩’ ছবি দুটোতে পার্থক্য কতটা এবং এই দুই ছবিতে আপনার কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?

‘জ্বীন’ ও ‘জ্বীন-৩’ গল্প একেবারে আলাদা। চরিত্রগুলোও একেবারে আলাদা। জ্বীন ভীষণ পরিশ্রমের ছবি। যে ধরনের দৃশ্যগুলোতে আমাদের কাজ করতে হয়েছে সেরকম সচারাচর করা হয় না। জ্বীন ৩ এ এমন কিছু চমকপ্রদ দৃশ্য আছে। লেয়ারে লেয়ারে গল্প বলা হয়েছে। বিশ্বাস করি দর্শকরা একবার দেখতে বসলে উঠে যেতে পারবেন না। 

‘জ্বীন-৩’-এর শুটিং চলাকালীন ভৌতিক কোনো ঘটনা ঘটেছে? 

এরকম কিছু ঘটনা তো ঘটে। যেমন এবার ঘটেছে। রাজেন্দ্রপুরে একটা বট গাছ ছিল। বটগাছ পর্যন্ত পায়ে হেঁটে যেতে এক ঘণ্টা লাগত। রাস্তাটা প্রশস্ত না। আইল ধরে যেতে হতো। ওখানে তিন-চারদিনের টানা শুটিং ছিল। প্রিয়া ভাই নামে আমাদের একজন ছিলেন। এলাহি চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এক গভীর রাতে ধান ক্ষেতের পাশে পানির মধ্যে পড়ে যান। আমরা সবাই খুব অবাক হই। ধরাধরি করে তুলি। উনি তখন বলছিলেন, মনে হচ্ছিল কেউ তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে। 

আরআর