রাফিউজ্জামান রাফি
১৩ মার্চ ২০২৫, ০৪:৪৭ পিএম
এক দশক আগে ‘ছুঁয়ে দিলে মন’ দিয়ে দর্শকের মন ছুঁয়েছিলেন শিহাব শাহীন। এরপর ওয়েব কনটেন্টের মাধ্যমে একাধিকবার দেশ নেড়েচেড়ে দিলেও ফেরা হয়নি প্রেক্ষাগৃহে। এবার অপেক্ষার অবসান। ঈদে মুক্তি পাচ্ছে শিহাব শাহীনের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সিনেমা ‘দাগি’। সিনেমাটি নিয়ে ঢাকা মেইলের কাছে মনের আগল খুলেছিলেন পরিচালক।
‘দাগি’র টিজার প্রকাশের কয়েক ঘণ্টায় সামাজিক মাধ্যম সরগরম হয়ে ওঠে। এটা কি প্রত্যাশিত ছিল?
অবশ্যই প্রত্যাশিত ছিল। কেননা ছবিটি অনেক দিন ধরে আলোচনায়। তাছাড়া নিশোর সিনেমা আসছে দুই বছর পর। আমার সিনেমা আসছে দশ বছর পর। সব মিলিয়ে একটা হাইপ তো হবেই। একটা ভালো কাজ কেমন হচ্ছে সেটা জানতেই মানুষের এই আগ্রহ।
টিজার প্রকাশে বিলম্ব কেন?
আমাদের একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল। সে অনুযায়ী টিজার এসেছে। একটু আগে আসত। রমজান চলে আসায় দেরি হলো। কেননা রোজার প্রথমদিকে মানুষ ব্যস্ত থাকে। এসব বিবেচনা করে কিছুটা বিলম্ব।
একই সময় ঢালিউডের সবচেয়ে বড় তারকা শাকিব খানের ছবি মুক্তি পাচ্ছে। চাপ বোধ করছেন?
এ ধরনের কোনো চাপ নেই না। আমার যারা দর্শক তারা আমার সিনেমা দেখবেন। ছবির যদি সক্ষমতা থাকে তবে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়বে। দর্শক যদি ন্যাচারাল অভিনয়, ভালো গল্প, ভালো নির্মাণ এবং ভালো প্রযোজনা দেখতে চান তাহলে অবশ্যই ‘দাগি’ দেখতে হবে।
আপনি বলেছিলেন ‘দাগি’র বাজেট কম…
কথাটা আমি এভাবে বলিনি। ‘দাগি’ কম বাজেটের সিনেমা না। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনেক বাজেটের ছবি। ধরুন দেশে যে সিনেমা ৫ টাকা দিয়ে সিনেমা বানাই সেটা ভারতে গিয়ে বানাতে সাড়ে বারো টাকা খরচ পড়বে। তার মানে একই সিনেমার জন্য আড়াই গুণ খরচ হবে। আমি তো সিনেমাটা বাংলাদেশেই বানিয়েছি। ওই জায়গা থেকে ‘দাগি’ কম বাজেটের সিনেমা না।
‘দাগি’ কেন দেখবে দর্শক?
আপনি যদি লাউড যাত্রাপালার অভিনয়, অর্থহীন নাচন কুদন, মাইন্ডলেস মারামারি-কাটাকাটি দেখতে না চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ‘দাগি’ দেখতে হবে। যদি ভালো গল্প ও নির্মাণের সিনেমা, নিশোর অভিনয়, তমার অভিনয়, সুনেরাহ বিনতে কামাল, মনিরা মিঠু, গাজী রাকায়েত, শহীদুজ্জামান সেলিমের অভিনয় এবং আমার নির্মাণ দেখতে চান তাহলে ‘দাগি’ দেখতে হবে। আমি এত বছর ধরে দর্শকদের ঠকাইনি। আশা করছি এবারও ঠকাব না।
দশ বছর পর প্রেক্ষাগৃহে আপনার সিনেমা আসছে। উত্তেজনা বোধ করছেন?
অবশ্যই আমি উত্তেজিত। গত ১০-১১ মাস ‘দাগি’ নিয়ে আছি। ‘গোলাম মামুনে’র পর কোনো কাজ করা হয়নি। এই এক বছরের কাজের যে এক্সাইটমেন্ট সেটা সহজে বোঝাতে পারব না। আমি চাই মানুষ দেখুক, কাজের মূল্যায়ন করুক।
শুটিংয়ের সময় আফরান নিশোর ডেডিকেশন কীরকম ছিল?
টিজার প্রকাশের অল্প সময়ে সামাজিক মাধ্যম সরগরম হয়ে গেছে। এটা তার ডেডিকেশনেরই ফল। দীর্ঘদিন ধরে কাজের মাধ্যমে সে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সে একজন রিয়েল সুপারস্টার। তার প্রমাণ এখনই পাওয়া যাচ্ছে। নিশোর অভিনয়কে বিট করা সহজ হবে না।
শুটিং চলাকালীন কোনো ঘটনা…
উত্তরবঙ্গের চার-পাঁচটা জেলায় প্রচণ্ড শীতের মধ্যে শুটিং করেছি। শীত আসলে কেমন ওই সময় হাড়ে হাড়ে বুঝেছি।
আরআর