বিনোদন ডেস্ক
১০ জুন ২০২২, ১০:১৩ এএম
পেশাগত কাজ নিয়ে এষা গুপ্তাকে নিয়ে খুব একটা চর্চা হয় না। তবে তার শরীরী খাঁজে যেন আগুন জ্বলে নেটদুনিয়ায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খোলামেলা ছবি প্রকাশ করে খবরের শিরোনাম হন মাঝে মাঝে। এবার তিনি আলোচনায় তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া বর্ণবিদ্বেষের ঘটনা সামনে এনে।
বলিউডের অন্য নায়িকাদের মতো দুধে-আলতা গায়ের রঙ নয় এষার। এ কারণে ক্যারিয়ারের শুরুতে ইনজেকশনের মাধ্যমে ফর্সা হওয়ার উপদেশ পেয়েছিলেন বলিউডের কয়েকজনের কাছ থেকে। যদিও তাদের কথা শোনেননি তিনি। তবে মাঝে মাঝে ফর্সা হওয়ার ইচ্ছা জাগত তার মধ্যে।
ভারতীয় একটি গণমাধ্যমকে এষা বলেন, ‘কখনও কখনও আমি তাদের কথা মতো ফর্সা হওয়ার ইনজেকশনের নেওয়ার কথা ভাবতাম। কতবার যে নিজেই চেয়েছি ফর্সা হতে! পরে নিজেকে সামলে নিয়েছি।’

তিনি জানান, একবার ফর্সা হওয়ার জন্য সেই ইনজেকশনের দামের ব্যাপারেও খোঁজ-খবর নিয়েছিলেন। শুধু ফর্সা নয়, তাকে নাকের সার্জারি করতে বলা হয়েছিল।
এষার কথায়, ‘আমি তাদের নাম নেব না। কিন্তু খেয়াল করলে দেখা যাবে, এই ইন্ডাস্ট্রিতে একাধিক নায়িকা ইনজেকশন নিয়ে ফর্সা হয়েছেন। তাদের দোষ নয়। কারণ নায়িকাদের ওপর এই মানসিক চাপ বারবার দেওয়া হয়। তাদের বিশ্বাস করানো হয় যে তারা সুন্দরী নন, বা তাদের শরীরে খুঁত রয়েছে। নিখুঁত হওয়ার প্রতিযোগিতায় পা দিয়ে ফেলেছেন তারা।’
এষা আরও জানান, তিনি তার মেয়েকে কোনোদিনও অভিনেত্রী হিসেবে দেখতে চান না। তার আশঙ্কা, তাহলে খুব ছোট থেকেই নিখুঁত হওয়ার জন্য ছুটতে হবে তাকে। সত্য জীবন ছেড়ে মিথ্যে জীবন যাপন শুরু করতে হবে নয়তো। এষার ইচ্ছা, তার মেয়ে অ্যাথলেট হোক।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে ‘জান্নাত-২’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এষা। সে বছরই পরিচালক প্রকাশ ঝার ‘চক্রব্যুহ’তে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। সম্প্রতি এ নায়িকা নায়িকা ‘আশ্রম-৩’ ওয়েব সিরিজের কাজ করেছেন।
আরএসও