নিজস্ব প্রতিবেদক
০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:২৯ পিএম
সদ্যপ্রয়াত অভিনেতা প্রবীর মিত্রের মরদেহ আজ দুপুরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন-বিএফডিসিতে নেওয়া হবে। সেখানে ভক্ত ও সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বাদ জোহর অনুষ্ঠিত হবে তার প্রথম জানাজা।
এরপর তেজগাঁওয়ে বেসরকারি একটি টেলিভিশনে অনুষ্ঠিত হবে তার দ্বিতীয় জানাজা। জানাজা শেষে রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে রূপালী পর্দার নবাব খ্যাত কিংবদন্তি এ অভিনেতাকে।
সংবাদমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর।
দীর্ঘদিন ধরে শরীরে অক্সিজেন স্বল্পতাসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগে রোববার (৫ জানুয়ারি) রাতে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রবীর মিত্র। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
প্রবীর মিত্র তার প্রেমিকা অজন্তাকে বিয়ে করেন। বিয়ে করার সময় তিনি হিন্দুধর্ম থেকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, এরপর থেকে তিনি এই ধর্মেই আছেন। অজন্তা ২০০০ সালে মৃত্যুবরণ করেন। এই দম্পতির তিন ছেলে ও এক মেয়ে, তারা হলেন- মিঠুন মিত্র, ফেরদৌস পারভীন, সিফাত ইসলাম ও সামিউল ইসলাম।
১৯৪৩ সালের ১৮ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন প্রবীর মিত্র। পুরান ঢাকায় বড় হওয়া প্রবীর মিত্র স্কুলজীবন থেকেই নাট্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত হন। স্কুলজীবনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন তিনি। ১৯৬৯ সালে প্রয়াত এইচ আকবরের ‘জলছবি’ সিনেমার অভিনয়ের জন্য প্রথম প্রবীর মিত্র ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ১৯৭১ সালের ১ জানুয়ারি।
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে প্রবীর মিত্র ‘নায়ক’ হিসেবে কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এরপর একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করে পেয়েছেন দর্শকপ্রিয়তা। ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘জীবন তৃষ্ণা’, ‘সেয়ানা’, ‘জালিয়াত’, ‘ফরিয়াদ’, ‘রক্ত শপথ’, ‘চরিত্রহীন’, ‘জয় পরাজয়’, ‘অঙ্গার’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘মধুমিতা’, ‘অশান্ত ঢেউ’, ‘অলংকার’, ‘অনুরাগ’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘তরুলতা’, ‘গাঁয়ের ছেলে’, ‘পুত্রবধূ’সহ চার শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
১৯৮২ সালে তিনি ‘বড় ভাল লোক ছিল’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৮ সালে আজীবন সম্মাননা বিভাগে তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করা হয়।
ইএ