images

বিনোদন

দর্শক যে আমাকে এত ভালোবাসেন ২০২৪-এ বুঝেছি: হিমি 

রাফিউজ্জামান রাফি

০১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:০২ পিএম

পৃথিবী সূর্যকে প্রদিক্ষণ করতেই কালের গর্ভে হারিয়ে গেল ২০২৪ সাল। ক্যালেন্ডারের পাতা দখল করে নিল ২০২৫। বিশ্ব মেতে উঠল নতুন বছরের প্রথম প্রহর উদযাপনে।

নতুন উদ্যোমে ভালো কিছু করার প্রত্যয় নিয়ে বিভিন্ন আয়োজনে ইংরেজি নববর্ষ পালনে ষোলকলা পূর্ণ করেছে সবাই। এবার ছক কষার পালা। ঢাকা মেইলের সঙ্গে নতুন বছর নিয়ে পরিকল্পনা ভাগ করে নিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি।

460558379_1044384053760286_7966419250459925124_n

তিনি বলেন, ‘পশুপাখির প্রতি আমার ভালোবাসা বেশি। এটা নিয়ে বড় পরিসরে কাজের ইচ্ছা আছে। ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে। কাজের বেলায় শুধু নতুন বছর না, সবসময় ব্যতিক্রম কাজ করার ইচ্ছা থাকে। এবারও চেষ্টা করে যাব।’ 

২০২৪ কেমন কেটেছে — জানতে চাইলে হিমি বলেন, ‘অনেক বছর ধরে কাজ করছি। তবে দর্শক যে আমাকে এত ভালবাসেন সেটা ২৪-এ খুব কাছে থেকে দেখেছি। গেল বছর নাটকের কারণে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া হয়েছে। সব বয়সী মানুষ যে আমাদের নাটক এত দেখেন সেটা বুঝতে পেরেছি। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে গিয়ে নিজের প্রতি অন্যদের আলাদা মনোযোগ খেয়াল করেছি। এতে আলাদা ভালোলাগা তৈরি করেছে।’

462141994_1467218660888786_8363992398154773417_n

সদ্যবিদায়ী বছরে দর্শকপ্রিয়তার ভিত্তিতে রানির আসনটি হিমির। ভিউ সমৃদ্ধ সেরা চার নাটক-ই তার। ইউটিউবে এই রাজত্ব প্রসঙ্গে অভিনেত্রীর ভাষ্য, ‘এটা অনেক বেশি বিস্ময়কর। তবে যখন আমরা কাজ করছি তখন কে দেখবে কিংবা কত ভিউ হবে ওই চিন্তা মাথায় নিয়ে কাজ করি না। ভালোবাসার জায়গা থেকে করি। কাজটা যেন ভালো হয় সেই চেষ্টা করি। যখন এত মানুষ সেগুলো দেখেন তখন ভালো লাগার পাশাপাশি চাপও কাজ করে। দায়বদ্ধতা তৈরি হয়।’

আপাতত লাইট, ‘ক্যামেরা অ্যাকশনের ঝাক্কি থেকে কিছুটা নিস্তার মিললেও নিয়মিত নতুন কাজ মুক্তি পাচ্ছে হিমির। এ নিয়ে বলেন, বর্তমানে কাজে ব্যস্ততা কিছুটা কম। এতে আমি খুশি। কেননা কিছুদিন আগে এত ব্যস্ততা ছিল বলার মতো না। এতে অবশ্য ভালো হয়েছে। বেশ কাজ জমা হয়েছে। প্রতিদিন মুক্তি পাচ্ছে। দর্শকের বোঝার উপায় নেই যে আমি ছুটিতে আছি।’

465706016_1492905848320067_9135518204197916696_n

গেল বছরের দুটি ঘটনা নাড়া দিয়েছে হিমেকে। বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ‘বিশ্ব রঙের ৩০ বছর পূর্তিতে গিয়েছিলাম। আমার শুরুটা বিশ্ব রঙের হাত ধরে ২০১৪ সালে। দশ বছর পর তাদের সঙ্গে এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে কথা বলেছি। এছাড়া একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে রিয়েলিটি শোয়ে বিচারকের আসনে বসেছিলাম। সেখানেও একই অভিজ্ঞতা হয়েছে। এক দশক আগে যে বিচারকের সামনে আমি প্রতিযোগী ছিলাম তাদের সঙ্গে একই আসনে বসতে পেরেছি।’