ঘর নড়বড়, মুখ খুললেন এ আর রহমান 

অসংখ্য গানে সুর তুলেছেন সুর সম্রাট এ আর রহমান। এবার তার বাস্তব জীবনে সুর তুলেছেন হাকিম হুকুম যার হাতে। তবে সে সুর ভাঙনের। বিচ্ছেদেরর মাতম উঠেছে সুর সাধকের ঘরে। ২৯ বছরের সংসার খানখান। আলাদা হয়ে যাচ্ছেন রহমান ও তার স্ত্রী সায়রা বানু। 

এরইমধ্যে রাষ্ট্র হয়েছে অস্কারজয়ী সুরকারের ঘর ভাঙার খবর। তিনিও মুখে কুলুপ এঁটে রাখেননি। সায়রা বানু সামাজিক মাধ্যমে বিচ্ছেদের ভায়োলিন বাজাতেই তাতে সঙ্গত করে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে রহমান দেন বেদনাদায়ক পোস্ট।

তাতে লেখা, “আমরা গ্র্যান্ড ত্রিশে পৌঁছানোর কথা ভেবেছিলাম, কিন্তু মনে হয় সব কিছুরই একটা অজানা সমাপ্তি আছে। এমনকি ভগ্ন হৃদয়ের ভারে ঈশ্বরের সিংহাসনও কেঁপে উঠতে পারে। আমরা ছিন্নভিন্ন হয়েও অর্থ খুঁজি, যদিও এই টুকরোগুলি আর আগের মতো হবে না। আমাদের বন্ধুদের বলি, যখন আমরা এই হৃদয়বিদারক অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, তখন আপনারা উদারতার সঙ্গে আমাদের গোপনীয়তাকে সম্মান করেছেন বলে আপনাদের ধন্যবাদ।”

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সায়রা বানু নিজের আইনজীবী বন্দনা শাহর মাধ্যমে এক বিবৃতি দেন। তাতে বলা হয়, বিয়ের বহু বছর পর স্বামী এ আর রহমানের সঙ্গে বিচ্ছেদের কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সায়রা বানু। মানসিক চাপের কারণেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। একে অপরের প্রতি গভীর ভালবাসা সত্ত্বেও, নিজেদের মধ্যে তৈরিকৃত ব্যবধান দূরত্ব ঘোচাতে পারছিলেন না তারা। সম্ভব নয় বলেও মনে করছেন।

আরও বলা হয়, “মিসেস সায়রা জোর দিয়ে বলেছেন, ব্যথা এবং যন্ত্রণা থেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে তিনি তার জীবনের এই কঠিন অধ্যায়টি পার করার সময় সবার কাছ থেকে গোপনীয়তা এবং তাদের ব্যাপারটি বোঝার অনুরোধ করেছেন।”

বিবৃতিটি রহমান ভক্তদের কানে সংবাদ নয়, বুকে যেন সেল মারে। তাদের ভেতর শুরু হয় এক মরু হাহাকার। এ খবর মিথ্যে হোক— প্রত্যাশা ছিল তাদের। এরমধ্যে মুখ খুলে রহমান জানালের সে সম্ভাবনা আর নেই।