বিনোদন ডেস্ক
০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫২ পিএম
এর আগে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করলেও এবার অপু বিশ্বাসের নামে মামলা ঠুকেছেন প্রযোজক সিমি ইসলাম কলি। একই মামলায় আসামি করেছেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে।
গত ২৪ আগস্ট মামলাটি ঢাকায় একটি আদালতে মামলাটি করা হয়। মামলা নম্বর ১১৩৬/২০২৪। এ মামলায় আসামির তালিকায় আরও আছেন অপুর ইউটিউব চ্যানেলের ব্যাবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা জাহিদুল ইসলাম আপন।
সিমির দাবি, তার ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাক করেছেন অপু বিশ্বাস ও জাহিদুল ইসলাম আপন। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সাধারণ ডায়েরি ও প্রযোজক সমিতির মাধ্যমে সুরাহা করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু উপায় না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।
অপুর পর বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন হিরো আলম। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘এটা শতভাগ মিথ্যা মামলা। তার কাছ থেকে যে আমি টাকা নিয়েছি সেটার কোনো প্রমাণ আছে? কোনো সাক্ষী আছে? যদি থাকে সেটা যেন জানাতে বলেন। আর না থাকলে এবং আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হলে আমি উল্টো মানহানির মামলা করব।’
মামলা প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ওনার ভাইরাল হওয়ার স্বপ্ন বহুদিনের। আমার নাম জড়ানোয় সেটা সহজ হলো। মূলত ভাইরাল হওয়ার জন্য আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে।’
মামলার বিষয় আইনিভাবে মোকাবেলা করবেন উল্লেখ করে এ কনটেন্ট ক্রিয়েটর বলেন, ‘ভাবছিলাম একটা সমাধান করব, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আদালতের মাধ্যমেই সমাধান করব। শতভাগ মিথ্যা মামলার বিষয়টি আদালতেও টিকবে না।’
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গেল বছর আগস্টে বিবাদী অপু বিশ্বাস ও জাহিদুল ইসলাম আপন সিমির ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাক করেছেন। এরপর চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েও ফিরিয়ে দেননি অপু বিশ্বাস। তাই বাধ্য হয়ে চলতি বছর জানুয়ারির ২৮ তারিখ লালবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন সিমি। যেখানে আসামি করা হয় অপু ও আপনকে।
এদিকে সমস্যাটি সমাধান করবেন বলে সিমিকে আশ্বাস দিয়েছিলেন হিরো আলম। কিন্তু চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেবে বলে ১০ লাখ টাকা চাওয়া হয় বাদীর কাছে। জানানো হয় অপু বিশ্বাসের পক্ষ থেকে এটি চাওয়া হয়েছে। দর কষাকষির পর চ্যানেলটি ফিরে পাওয়ার আশায় বিবাদী হিরো আলমকে ৫ লাখ টাকা দেন বাদী সিমি ইসলাম। টাকা পেয়ে চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেন তারা। কিন্তু বাদী দেখতে পান, তার চ্যানেলে থাকা ভিডিওগুলো নেই।
কলি বলেন, ‘এই চ্যানেলটি নিয়ে বহুদিন ধরেই আমি অপুর কাছে গেছি। চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তাকে বহুবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। আমি খসরু (প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু) ভাইকেও বলেছি। সেও আমার হয়ে অপুর সঙ্গে কথা বলেছে। তার কথাও সে রাখেনি। এর মধ্যে একদিন হিরো আলম আমাকে ফোন করে বলে, সে বিষয়টি সমাধান করে দেবেন। তার কথায় আমি রাজি হলে সে অপুর সঙ্গে কথা বলবেন। আমার মনে হয়, অপুই তাকে ফোন দিতে বলেছেন আমাকে। এরপর টাকার বিনিময়ে চ্যানেলটি ফিরে পেলেও ভিডিওগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়। বিষয়টি হিরো আলমকে জানালে তিনি বলেন, দেখছি কী করা যায়। এরপর আর তার কোনো খবর নেই।’