রাফিউজ্জামান রাফি
৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:১৫ পিএম
পর্দায় চরিত্রকে জীবন্ত করে তুলতে জুড়ি নেই মৌসুমী হামিদের। এক লহমায় দর্শক বন্দি হন তার সৌন্দর্য ও অভিনয় নৈপুণ্যের মায়াজালে। অভিনয়ের সকল মাধ্যমেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন। সম্প্রতি মুক্তির অনুমতি পেয়েছে তার অভিনীত সিনেমা ‘নয়া মানুষ’।
সোহেল রানা বয়াতির নির্মাণে চরের মানুষের জীবনের গল্প উঠে এসেছে এ সিনেমায়। তাতে সুবিধাবঞ্চিতদের একজন হিসেবে দেখা যাবে মৌসুমীকে। নিজের চরিত্রটি নিয়ে ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘সিনেমাটিতে আমার কেউ নাই। ছোট একটি বাচ্চা ছাড়া। একে তো যুবতী তার ওপর ভিন্ন ধর্মের। সব মিলিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।’
এরকম একটি চরিত্রে রূপদান করা মোটেই সহজ না। তবে কঠিনেরে সহজ করেছে সিনেমার লোকেশন। এরকমই ভাবনা মৌসুমীর। তার কথায়, ‘কোনো চরিত্রে ঢোকা সহজ তখন হয় যখন আসল লোকেশনে যাওয়া যায়। চরিত্র ধারণ করতে বেগ পেতে হয় না। আমার ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে। পরিচালক যখন লোকেশনে নিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন তখন আমার কিছু করতে হয়নি। যা করার লোকেশনই করেছে।’
ধূ-ধূ চরে দৃশ্যধারণ করা হয়েছে ‘নয়া মানুষে’র। গোটা টিমকে পড়তে হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কবলে। ভয় ছিল নিত্যসঙ্গী। মৌসুমীর ভাষ্য, ‘একেবারেই চর। ওই চরের মধ্যে আরেক চর। সেখানকার আবহাওয়াও মারাত্মক। প্রচুর ভয় কাজ করেছে। বিশেষ করে সিত্রাংয়ের দিন। বাপরে বাপ! চাল উড়িয়ে নিয়ে গেল। আমরা তো দৌড়াদৌড়ি করে দিশাহারা। প্রচণ্ড রকম ভয় পেয়েছিলাম। তবে পরিচালক কোনো ভয় পাননি।’
প্রতিবন্ধকতা নিয়ে অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘কাজটি করতে গিয়ে প্রচুর প্রতিবন্ধকতা পোহাতে হয়েছে। পরিবেশগত প্রতিকূলতা তো ছিলই। ছিল অভিযোগও। খাবার পাইনি, থাকার জায়গা পাইনি, শৌচাগারও ছিল না। খুবই বাজে পরিস্থিতি ছিল।’
সব মিলিয়ে প্রাণের মায়া সাঙ্গ করে করা সিনেমা ‘নয়া মানুষ’। তাই মুক্তির অনুমতিতে মৌসুমীর উচ্ছ্বাসের মাত্রা যেন মাত্রাতিরিক্ত। তার কথায়, ‘অবশেষে মুক্তির দ্বারপ্রান্তে ছবিটি। এটা খুশির খবর, খুবই ভালো লাগার। সবাই অনেক কষ্ট করেছি সিনেমাটির জন্য। আটকে থাকলে বা রিলিজ না হলে খুব খারাপ লাগত।’
‘নয়া মানুষ’-এর গল্পের জোর অনেক বেশি। সেইসঙ্গে যোগ হয়েছে অভিনয়শিল্পীদের মেধা। এসবই দর্শকদের হলে টানার অস্ত্র। এমনটা উল্লেখ করে বলেন, ‘গল্প আর আমাদের সবার পারফর্মেন্স দেখতে দর্শক হলে যাবে।’
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ‘অল্প একটু জীবনের গান’ নামের একটি মিউজিক ভিডিও। তাসনোভা তাবাসসুম অতসীর প্রথম একক মিউজিক ভিডিও এটি। এতে ক্যামেরায় নিজেকে মেলে ধরেছেন অভিনেত্রী। এছাড়া ব্যস্ততা রয়েছে কয়েকটি সিরিয়াল ও শর্টফিল্ম নিয়ে। পাশাপাশি ছবি মুক্তি পাচ্ছে। সেটির প্রচারণায়ও সময় দেবেন বলে জানালেন অভিনেত্রী।
আ মা ম হাসানুজ্জামানের ‘বেদনার বালুচরে’ গল্প অবলম্বনে বানানো হয়েছে ছবিটি। চিত্রনাট্য লিখেছেন মাসুম রেজা। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মৌসুমী হামিদ। তার সঙ্গে রয়েছেন রওনক হাসান।