images

বিনোদন

নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় মানেই মেয়েটি খারাপ না: নাদিয়া 

রাফিউজ্জামান রাফি

০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০৯ পিএম

স্রোতে ভেসে কাজ করেন না অভিনেত্রী সালহা খানম নাদিয়া। গল্প, চিত্রনাট্য পছন্দ হলেই নাম লেখান। ফলে কাজের সংখ্যা অন্যদের তুলনায় কম হলেও জনপ্রিয়তা ও প্রশংসার পাল্লা ভারী। মুক্তি পেয়েছে ভিকি জাহেদ নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘একটি খোলা জানালা’। মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলার ঘরানার এ ক্ষুদে সিনেমায় নার্স চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাদিয়া। এমন রূপে তাকে কেউ কখনও দেখেনি আগে। সেসব নিয়েই অভিনেত্রীর সঙ্গে কথোপকথন ঢাকা মেইলের। 

সম্প্রতি আপনার স্বল্প দীর্ঘ চলচিত্র ‘একটি খোলা জানালা’ মুক্তি পেয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে আপনি ও সিনেমাটি বেশ প্রশংসা পাচ্ছে। এরকম কি প্রত্যাশা ছিল?

হ্যাঁ, প্রত্যাশা ছিল। কেননা আমি যে কাজ করি স্ক্রিপ্ট গল্প দেখে করি। আর ডিরেক্টর যেখানে ভিকি ভাই (ভীকী জাহেদ) সেখানে কথাই নেই। তার সব কাজ প্রশংসা পায়। এই কাজটি নিয়ে অনেক স্টাডি করতে হয়েছে। রিহার্সেল করতে হয়েছে। প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও খুব কষ্ট করে শুটিং করেছি। সহশিল্পীরা নিজেদের জায়গা থেকে সেরাটা দিয়েছেন। দর্শকের ভালো সাড়া পাচ্ছি। তবে আমার চরিত্রটির মৃত্যু মানতে পারছেন না তারা। আমাকে মারার কারণে রাগ করেছেন। তাদের বিভিন্নভাবে বুঝিয়েছি।

458376389_18458496388020879_8683393420826206408_n

এ ধরনের চরিত্রে আপানকে আগে দেখা যায়নি। সেহেতু প্রস্তুতির দরকার হয়েছে। সেটা কেমন ছিল? 

চরিত্রটি রপ্ত করতে বেশ প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। হলিউড মুভি ও সিরিজের অংশবিশেষ দেখেছি। যাতে আমি নার্সদের মতো করে আচার-আচরণ কথাবার্তা বলতে পারি না। কারণ আমি তো প্রশিক্ষিত নার্স নই। ভুলভাল অভিনয় করলে তো হবে না। 

এমন চরিত্র নির্ভর কাজ আরও করবেন বলে ভাবছেন? 

অবশ্যই। এর আগেও ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছি। যতটুকু প্রয়োজন তার শতভাগ দিয়েই অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি। এরকম কাজের সুযোগ এলে করব। কারণ যারা অভিনয় করেন তারা এরকম চরিত্রের জন্য হয়তো অপেক্ষা করেন। তবে আপাতত বেশি নেতিবাচক চরিত্র করতে চাই না। কেননা আমার দর্শকরা আমার কাছ থেকে অনেক পজিটিভিটি আশা করেন। যদিও নেগেটিভ চরিত্র করা মানেই মেয়েটা নেগেটিভ না। তারপরও আরও সময় নিয়ে আগাতে চাচ্ছি। 

455183188_10160478746253597_8452723987771245317_n

‘একটি খোলা জানালা’য় আপনার চরিত্রটি বোল্ড। অথচ এর আগে একই কারণে ‘খুফিয়া’র প্রস্তাব ফিরিয়েছিলেন…

এই চরিত্রটি ‘খুফিয়া’র মতো অত বোল্ড না। এখানে শারীরিক কিছু দেখানো হয়নি। মাত্রার ভেতর ছিল। মাত্রার বাইরে গিয়ে কখনও অভিনয় করতে চাই না। এটি অবশ্য কারও নিষেধের কারণে না। নিজে থেকেই কমফোর্ট ফিল করি না। ‘খুফিয়া’ সিনেমার জন্য অডিশনও দিতে যাইনি। কারণ আমি জানতাম এখানে যা থাকবে তা আমার ইথিক্সের বাইরে। যা আমার পক্ষে করা সম্ভব ছিল না। 

ভিকি জাহেদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন? 

তিনি আমার পরিবারের সদস্যের মতো। অনেকে কাজিনও মনে করেন। আমরা থাকতামও একই বিল্ডিংয়ে। তার সাথে প্রথম কাজ করি ‘মায়া’তে। আমার সঙ্গে জোভান ছিল। ‘দূরবীনে’ আমি আর তাহসান খান। ‘মন’ করি সিয়াম আহমেদের সঙ্গে। ‘আজ আমার পালা’তে আমি আর মনোজ ভাই। এছাড়া টিভিসি, মিউজিক ভিডিও করেছি। সবমিলিয়ে অসংখ্য কাজ হয়েছে। তখন ভাইয়া ছোট ছিলেন আমিও ছোট ছিলাম। এখন দুজনেই বড় হয়েছি। কাজের পরিধি, ম্যাচিউরিটি বাড়ছে। উনি জানেন আমাকে দিয়ে কী সম্ভব। ওই ধরনের চরিত্র হলেই আমাকে ডাকেন।

456512088_10160515925828597_4167024719025419418_n

অন্য কাজ সম্পর্কে জানতে চাই।

এরমধ্যে ‘ভালোবাসা’ নামে আরেকটি ওয়েব সিরিজ এসেছে। আবু হায়াত মাহমুদের। কলকাতা থেকে প্রকাশ পেয়েছে। ‘একটি খোলা জানালা’ মুক্তির আগে ‘নিয়তি’ নামের একটি টেলিফিল্ম মুক্তি পেয়েছে আমার। 

আড়াই মাসের সংসার। কেমন চলছে? 

সংসার মাত্র সাত দিনের। কারণ সাত দিন হলো ফ্ল্যাটে উঠেছি, একসাথে থাকছি। এ কদিন যার যার বাসায় ছিলাম। ঘরদোর ঠিকমতো গোছানো হয়নি। শুটিংয়ের কাপড়গুলো কোনোমতে আলাদা রাখি। তবে আমাদের খুব সুন্দর সম্পর্ক। কাজসহ সবকিছু নিয়ে আলোচনা হয়। একসাথে ছবি দেখছি। একই টপিকে কথা হয়। তাছাড়া আমাদের বন্ধু বান্ধবও এক।

আরআর