বিনোদন ডেস্ক
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৬ পিএম
উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও ভারী বর্ষণে প্লাবিত বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল। ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লাসহ বেশ কয়েকটি জেলায় প্রবল বন্যায় বিপর্যস্ত। খড়কুটোর মতো ভেসে গেছে বসতভিটা।
বানভাসিদের পাশে একযোগে দাঁড়িয়েছেন বিনোদন অঙ্গনের তারকারা। অভিনেতা খায়রুল বাসারও আছেন এই দলে। বন্যার্তদের সহায়তা দিতে গিয়েছিলেন লক্ষীপুর। স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে সেলফি তুলে পোস্ট করেছেন সামাজিক মাধ্যমে।
তবে খায়রুল বাসারের এই সেলফি পোস্ট ভালো চোখে দেখেননি। নেটিজেনরা। মেতেছেন সমালোচনায়। কেউ কেউ লিখেছেন, এত লোক নিয়ে বন্যাদুর্গত এলাকায় যাওয়ার প্রয়োজন কী? কেউ আবার লিখেছেন, বন্যার্তদের সহায়তা নয়, যেন পিকনিক করতে গেছেন তিনি। এসব সমালোচনার জবাবে নিজে নিজের ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্ট দিয়েছেন অভিনেতা।

তিনি লিখেছেন, কেউ বলেছে পিকনিক,কেউ বলেছে বন্যা ট্যুর,কেউ বলেছে লোক দেখানো, কেউ বলেছে একজন বাঁচাতে ১৭ জন , কেউ বলেছে বাচ্চা ছেলেটাকে নিয়ে যাওয়া হলো কেন, কেউ বলেছে মেয়েটা কে না নিয়ে গেলে হতো! সবই ঠিক আছে। আমাদের যাওয়াটাই কারও কারও চোখে ভুল। আমরা সবাই কমেন্ট করে গেলেই পারতাম। কমেন্ট করে এসব প্রশ্ন করার চেয়ে মহৎ কাজ নাই। যারা এমন কমেন্ট করেন আপনাদের প্রাণশক্তি প্রবল। নেগেটিভ কমেন্ট করে যাওয়া যেনতেন কাজ না! রীতিমতো এভারেস্ট জয়ের মতোই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। একটা নেগেটিভ কমেন্ট করে নিজের ঈর্ষা নিজের অপারগতা নিজের মানসিক দারিদ্র্য গোছানোর আনন্দ; এভারেস্ট জয়ের আনন্দের চেয়ে কম কিছু নয়।
আরও লেখেন, পেস্ট কালার জামা পরা ছেলেগুলো এলাকার স্বেচ্ছাসেবী। একে তো সব পানির নিচে; তাছাড়া আমরা তো সে অঞ্চলের পথঘাট আগে থেকে তেমন চিনি না। তারাই আমাদের অতি দুর্ভোগে থাকা মানুষদের ঘরে নিয়ে গেছে। বাচ্চা ছেলেটাও এক স্বেচ্ছাসেবীর ছোট ভাই,সেও ওই এলাকার।
নারীর প্রয়োজনীয় নানা কিছু সরবারাহে মেয়েটা হেল্প করেছে। তাকে না নিয়ে একজন কমেন্টযোদ্ধাকে নিয়ে যাওয়ার মতো সুবুদ্ধি আমাদের ছিল না। আমরা বোকা আমরা কমেন্টযোদ্ধাদের মতো চালাক নই। কমেন্টযোদ্ধারা জানেন একটা কমেন্ট করলেই বড় দায়িত্ব সম্পন্ন হয়।