বিনোদন প্রতিবেদক
০৭ আগস্ট ২০২৪, ০৫:৩৩ পিএম
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছিল দেশের সর্বস্তরের মানুষ। সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনার পদত্যাগের মাধ্যমে এ আন্দোলনের সফল হয়। তবে আন্দোলনে বিজয় আসার পর বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। রেহাই পায়নি দেশের বৃহৎ চেইন মাল্টিপ্লেক্স স্টার সিনেপ্লেক্স।
রাজশাহী বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে অবস্থিত স্টার সিনেপ্লেক্সের শাখায় লুটপাট ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। খবরটি ঢাকা মেইলকে নিশ্চিত করেছেন স্টার সিনেপ্লেক্সের জ্যৈষ্ঠ ব্যবস্থাপক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘৫ তারিখ (৫ আগস্ট) রাতে ঘটেছে ঘটনাটি। এটা কোনো শিক্ষার্থী বা রাজনৈতিক দলের কাজ না। এটা দুষ্কৃতিকারীরা করেছে। একটি বাসায় যখন আগুন লাগে সেখানে দেখবেন কিছু লোক থাকে দমকল বাহিনীর, কিছু লোক আসে সাহায্য করতে আর কিছু মানুষ আসে লুটপাট করতে। এটা কিন্তু হয়। দেশে এ পরিস্থিতিতে কিছু সুযোগ সন্ধানী মানুষ থাকবেই। তারাই এসব করছে।’
তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কি না জানতে চাইলে মেজবাহ বলেন, ‘না, কারও কোনো ক্ষতি হয়নি। শুধু লুটপাট ও ভাঙচুর হয়েছে। আমাদের সবচেয়ে বড় যে ক্ষতি হয়েছে সেটি হলো ভালো ভালো সিনেমা চলছিল, তুফান চলছিল। সেখানে ব্যাঘাত ঘটল। এতে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হলাম আমরা।’
এই ক্ষতিকে চলচ্চিত্র শিল্পের ক্ষতি বলে মনে করছেন এই জ্যৈষ্ঠ ব্যবস্থাপক। তার কথায়, ‘এটা চলচ্চিত্র শিল্পের ক্ষতি। আমাদের আমাদের সবগুলো শাখা এখন বন্ধ আছে। সব মিলিয়ে যে ক্ষতি হচ্ছে সেটা পুষিয়ে নেওয়া যাবে। কিন্তু এই যে ব্যবসার ক্ষতি, ইন্ডাস্ট্রির ক্ষতি হচ্ছে এটা বিশাল একটি ক্ষতি।’
এদিকে নির্মাতা অনন্য মামুন নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু স্থির চিত্র প্রকাশ করেছেন। সেখানে ক্ষত বিক্ষত স্টার সিনেপ্লেক্সের চেহারা ফুটে উঠেছে।
নির্মাতা লিখেছেন, ‘আমার দেশের চলচ্চিত্র যখন ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে, ঠিক তখন এত বড় আঘাত। আজ সিনেপ্লেক্স আছে বলে চলচ্চিত্র দেখার জন্য নতুন দর্শক আসতে শুরু করেছে। আমরা বড় বাজেটের চলচ্চিত্র বানানোর স্বপ্ন দেখি। রাজশাহী হাইটেক পার্কে ৫ আগস্ট (সোমবার) সারারাত লুটপাট হয়েছে, সিনেপ্লেক্স ভেঙে চুরমার! ওয়াশরুমের কমোড, পানির ট্যাপটাকেও ছাড়েনি। শুনেছি সিরাজগঞ্জের রুটস্ সিনেপ্লেক্স ও লুটপাট করা হয়েছে। সবাইকে অনুরোধ করব চলচ্চিত্র বাঁচাতে হলে সিনেপ্লেক্স বাঁচাতে হবে।’
সিনেপ্লেক্সের ওপর এই আঘাতে অনন্য মামুনের মতো বিনোদন অঙ্গনের আরও অনেকে মর্মাহত। এই ক্ষতিকে চলচ্চিত্র শিল্পের ক্ষতি বলে ভাবছেন তারা।