রাফিউজ্জামান রাফি
১৫ জুন ২০২৪, ০৪:৩৯ পিএম
‘সাফল্য’ নামের ঘুড়ি যেন বশ্যতা মেনেছে অভিনেতা আব্দুল্লাহ আল সেন্টুর। যখন যে আকাশে ওড়াচ্ছেন সেখানেই পতপত করছে। সদ্যমুক্তিপ্রাপ্ত ওয়েব সিনেমা ‘পয়জনে’ও ছিল সে ধারাবাহিকতা। এতে অল্প সময়ের জন্য দেখা গেলেও গল্প জুড়ে যারা ছিলেন তাদের চেয়ে বেশি প্রশংসা পাচ্ছেন এই অভিনেতা। নিজের সাফল্য ও চ্যালেঞ্জের গল্প ঢাকা মেইলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন সেন্টু।
যখন যে চরিত্রে হাজির হন সেখানেই পান সফলতা। ‘পয়জনে’র মিহির চরিত্রটির ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি। এবারও যে গোল দেবেন এরকমটা আগেই ভেবেছিলেন?
আসলে গোল দেব কি দেব না সেটা জানি না। তবে প্রতিটি কাজের ক্ষেত্রেই চরিত্রকে ধারণ করার চেষ্টা করি। চেষ্টা থাকে সর্বোচ্চটা ঢেলে দেওয়ার। এখানেও তাই করেছি। সেই সঙ্গে টিমের সবার সহযোগিতা ছিল। সঞ্জয় দার(সঞ্জয় সমদ্দার) সাপোর্ট ছিল।
অনেক সময় দেখা যায় আপনার অল্প সময়ের উপস্থিতি গল্পের রং বদলে দেয়। সাদামাটা চরিত্রও রঙিন করে তোলেন। এটা কীভাবে সম্ভব?
একেক জন একেক ভাবে চরিত্রকে দেখে এবং সাজায়। ওই জায়গা থেকে আমিও আমার মতো করে সাজাই। আমি চাই সব সময় চরিত্রকে বাস্তবের আঙ্গিকে রেখে তার সঙ্গে ভিন্ন কিছু উপাদান যোগ করতে যেন নান্দনিকভাবে উপস্থাপিত হয়।
শুধুমাত্র অভিনয়কে পুঁজি করে বিনোদন অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত হওয়া কতটা চ্যালেঞ্জের?
খুবই চ্যালেঞ্জিং। যেমন আমার গ্ল্যামার কিংবা কোনোকিছুই নেই। পুঁজি একটাই। সেটা হলো অভিনয়। চরিত্রকে কিভাবে আকর্ষণীয় করা যায়, দর্শকের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়— সবসময় এটা নিয়ে ভাবি। আমার শক্তি এটাই। সবসময় চাই অভিনয়টাকেই ধারণ করতে।
আপনাকে ওটিটির বাইরে দেখা যায় না কেন?
সব জায়গায় কাজ করতে চাই। কিন্তু গল্প চরিত্র মিলিয়ে সব জায়গায় ঠিকঠাক হয় না দেখে আমাকে ওটিটির বাইরে পাওয়া যাচ্ছে না।
শুধু ওটিটিতে কাজ করে আর্থিক নিশ্চয়তা কতটুকু?
ওটিটি মাধ্যম আর্থিক নিশ্চয়তার ভালো একটি জায়গা। যেটা ইউটিউবে, টিভি নাটকে নেই। ওটিটিতে একজন আর্টিস্টের আর্থিক সুরক্ষা ও ক্যারিয়ার দুটোতেই নিশ্চয়তা থাকে।
সামনে কী আসছে?
সামনে আরও কিছু ওয়েব ফিল্ম, ওয়েব সিরিজ আসবে। এমনও হতে পারে বড় পর্দায় দেখা যেতে পারে। তবে সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। কথাবার্তা চলছে।