বিনোদন ডেস্ক
১৩ মে ২০২২, ১১:৪৮ এএম
মাঝে মাঝেই গুঞ্জনের মুখে পড়তে হয় তারকাদের। এবার যেন ক্যাটরিনা কাইফের পালা। তার বিয়ের মেহেদির রঙও ফিকে হয়নি। এরইমধ্যে বলাবলি শুরু হয়েছে, মা হতে চলেছেন এ নায়িকা।
কয়েকদিন আগে বিমানবন্দরে স্বামীর সঙ্গে দেখা গেছে ক্যাটকে। সে সময় তার পরনে ছিল ঢিলেঢালা পোশাক। তাতেই সবাই এমনটা ভেবে নিয়েছেন । কেননা, অন্তঃসত্ত্বাকালীন সময়টাতে নারীরা আঁটসাঁট পোশাক বর্জন করেন। এ সময় তারা একটু আরামদায়ক পোশাকে নিজেকে জড়ান। তারকারা তো নিয়মিত মেনে থাকেন এই নিয়ম। ক্যাটরিনাকেও তেমন পোশাকে দেখে সবাই ভাবেন, একই কারণে হয়ত ঢিলাঢালা পোশাক বেছে নিয়েছেন বলিউড সুন্দরী।
এ নিয়ে অবশ্য ভিকি কৌশল কিংবা ক্যাটকে কোনো মন্তব্য করতে শোনা যায়নি। তারা মুখে কুলুপ এঁটে থাকাতে গুঞ্জন আরও আশকারা পায়। চর্চিত হয়ে পড়ে বিষয়টি। গুঞ্জনের লাগাম টানতেই এবার নীরবতা ভেঙেছেন ভিকির মুখপাত্র।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ক্যাটরিনার মা হতে যাওয়ার বিষয়টি একেবারেই সত্য নয়। অযথাই গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
তবে এমন কথায়ও বিষয়টি থেমে যায়নি। কেননা, ক্যাট-ভিকির লুকোচুরির সঙ্গে সবাই পরিচিত। এই যুগল প্রেম করার সময়ও বেছে নিয়েছিলেন লুকোচুরির পথ। চুপি চুপিই সারতেন দেখা-সাক্ষাৎ ও রোমান্স। তাদের বিয়ে নিয়েও ছিল ধোঁয়াশা। সবাই চিন্তায় ছিলেন তাদের প্রণয়ের পরিণতি নিয়ে।
কিন্তু এ বিষয়েও তারা পালন করেছেন নীরবতা। তারপর সবাইকে অবাক করে দিয়ে মালাবদল করেছেন রাজকীয়ভাবে। রাজস্থানের এক প্রাচীন দুর্গে বর-কনে সেজেছিলেন তারা। বিয়ের সময়ও কি কম খেলেছেন এই যুগল? বিয়ের ছবি ও ভিডিও প্রকাশেও বাহানা করেছিলেন।
এসব কারণেই ভিকির মুখপাত্রের বয়ানকে বিশ্বাস করতে পারছেন না কেউ। সবাই ভাবছেন, এবারও বুঝি এই তারকা দম্পতি বোকা বানাতে চাইছেন সবাইকে।
ভিকি-ক্যাটের অবশ্য এ নিয়ে ভাবার সময় নেই। তারা দিব্যি আছেন। সময় পেলেই বেরিয়ে পড়ছেন হাওয়া বদল করতে। কখনও যাচ্ছেন মালদ্বীপে, কখনও হাতে হাত রেখে হেঁটে বেড়াচ্ছেন নিউইয়র্কের রাস্তায়। তারা পুলে নিজেদের অন্তরঙ্গ ছবিও প্রকাশ করছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
তা দেখে সবার নিকট আরও বিশ্বাসযোগ্য হয়েছে গর্ভধারণের খবরটি। সবাই ভাবছেন, এজন্যই হয়ত স্ত্রীকে এত সময় দিচ্ছেন ভিকি।
তবে আকাশে চাঁদ উঠলে ঘরে বসেও দেখা যায়। খবরটি যদি সত্য হয় তবে তা স্পষ্ট হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। শোনা গেছে, ক্যাটরিনা গর্ভবতী হয়েছেন সবে দুই মাস হলো। আরও কয়েকমাস যাক, শারীরিক অবয়বই বলে দেবে কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা।
আরআর/আরএসও