রাফিউজ্জামান রাফি
১০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০৮ পিএম
দুয়ারে কড়া নাড়ছে ঈদ। আমেজ ছড়িয়ে গেছে সবখানে। উদযাপনের জন্য প্রস্তুত সবাই। শোবিজ অঙ্গনের মানুষজনও তার ব্যতিক্রম নন। শত ব্যস্ততার মাঝে তাদেরও রয়েছে ঈদ পরিকল্পনা। এবারের ঈদ পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকা মেইলের সঙ্গে কথা বলেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি।
তিনি বলেন, ‘এবার ঈদে তেমন পরিকল্পনা নেই। ওইদিন বিমানে থাকব। আমার ভাই কানাডা থাকে। বাবা-মাকে নিয়ে ওখানে ঘুরতে যাব।’
ছোটবেলার ঈদ কেমন ছিল— জানতে চাইলে হিমি বলেন, ‘ছোটবেলায় ঈদ নিয়ে অনেক আগে থেকে পরিকল্পনা করতাম। তখন তো আর নাটকের জন্য রোজ নতুন কস্টিউম পরতে হতো না। তাই ঈদের সময় নতুন জামা পরার উত্তেজনাটা কাজ করত। এক মার্কেট থেকে আরেক মার্কেটে দৌড়াদৌড়ি করে পছন্দের পোশাকটি নেওয়ার মাঝে একটা ব্যাপার থাকত। এরপর ঈদের জামা লুকিয়ে রাখা, কাজিনদের মধ্যে কার জামা বেশি সুন্দর হলো এসব নিয়ে ছোটখাট প্রতিযোগিতা চলত।’
এরপর বলেন, ‘আমার মা অনেক সুন্দর করে পোশাক ডিজাইন করতে পারেন। ফলে কেনার পাশাপাশি আম্মু কাপড় এনে বানিয়ে দিতেন। সেকারণে দেখা যেত আমার পোশাক অন্যদের থেকে বেশি থাকত। সকালে এক জামা পরতাম, দুপুরে অন্যটা পরতাম।’
সময়ের সঙ্গে পাল্টে গেছে ঈদ। বদলে গেছে ভালো লাগা ও আনন্দের বিষয়বস্তু। এমনটা উল্লেখ করে অভিনেত্রী বলেন, ‘এখন আর পোশাক কেনায় অত সময় দেওয়া হয় না। নাটক, প্রোগ্রামের জন্য কেনা পোশাকগুলো থেকে একটা নিয়ে নেওয়া হয়। ছোটবেলায় যেমন খুব সকালে উঠতাম, বাড়িওয়ালীসহ আশেপাশের প্রতিবেশি আত্মীয় স্বজনের বাসায় খেতাম, সালামি নিতাম। এখন আর তা করি না। দুপুর পর্যন্ত ঘুমিয়ে কাটাই। কারণ চাঁদ রাত পর্যন্ত কাজ থাকে। বিকেলবেলা কাজিন বা বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাওয়া হয়। আগে তো অচেনা আত্মীয়দের বাসায়ও যাওয়া হতো সালামি নেওয়ার জন্য। এখন আর তা করা হয় না। সালামিও আগের মতো পাই না।’
ছোটদের ঈদ রঙিন হয়ে ওঠে বড়দের দেওয়া সালামিতে। তবে সালামি নিয়ে আলাদা কোনো স্মৃতি নেই হিমির। তিনি বলেন, ‘দিনশেষে কাজিনদের কার সালামি কত উঠল সেটা হিসাব করতে কাগজ কলম নিয়ে বসে যেতাম। আমার ভাগে কম পড়লে মন খারাপ হতো। তখন আম্মু কিছু টাকা দিতেন। আমাদের পরিবারে যে আগে সালাম করে তাকে সালামি বেশি দেওয়া হয়। তাই ঘুম থেকে উঠেই দৌড়ে যেতাম সালাম করতে।’
বড়বেলায় এসে সালামি দিতে হয়। এই অনুভূতি কেমন— জানতে চাইলে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার সালামি দেওয়ার চেয়ে নিতেই বেশি ভালো লাগে। যদিও এখন আগের মতো পাই না। আগে গণহারে সালাম করতাম লজ্জা শরম ভুলে। এখন সেটা হয় না। আব্বু আম্মুসহ বিশেষ মানুষদের থেকে পাই। এখন সালামির পরিমাণ বেড়েছে কিন্তু মানুষ কমেছে।’
এই ঈদে ছোটপর্দায় সরব বিচরণ থাকবে হিমির। একগুচ্ছ নাটক আসছে তার। এরমধ্যে মোশাররফ করিমের সঙ্গে ‘বউয়ের দাঁত ৩২’, নিলয় আলমগীরের সঙ্গে ‘আদরে থেকো’ উল্লেখযোগ্য।