images

বিনোদন

আজান দিতে দেরি হলে হুজুরকে মিসকল দিতাম: ইরফান সাজ্জাদ

রাফিউজ্জামান রাফি

২০ মার্চ ২০২৪, ০৫:৫১ পিএম

রমজানের গায়ে লেগে আছে শৈশবের স্মৃতি। বছর ঘুরে পবিত্র মাসটি ফিরে এলে সেসব ঘ্রাণ ছড়ায়। ইফতার-সেহেরিতে ঘটে যাওয়া মজার ঘটনাগুলো মনে পড়ে। বড়বেলায় দাঁড়িয়ে ফিরে যেতে হয় সেই একরত্তি বয়সে। জনপ্রিয় অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদও পবিত্র এই মাসটিতে হারিয়ে যান ছেলেবেলার দিনগুলিতে। ঢাকা মেইলের কাছে করলেন শৈশবের রোজা নিয়ে স্মৃতিচারণ।

শুরুতেই ইরফান সাজ্জাদ বলেন, ‘ছোটবেলায় আমাদের কাছে রোজা ছিল উৎসবের মতো। সেটি আর এখন নেই। বড়বেলায় রোজা আসে রোজা যায়। কর্মব্যস্ততার কারণে সেভাবে অনুভব করা হয় না।’  

340082866_260772442967073_4222541595428070785_n

শৈশবের রমজান নিয়ে অভিনেতা বলেন, ‘ছোটবেলায় কাজিনদের সঙ্গে রোজা রাখা নিয়ে প্রতিযোগিতা করতাম। কে কতগুলো রোজা করল— হিসাব রাখতাম। রোজা রেখে ভুলে পানি পান করে ফেলতাম। পরে মনে পড়ত। কিন্তু তখন আর কাউকে বলতাম না। এরকম অনেক ঘটনা ঘটত।’ 

ছোটবেলায় মসজিদে ইফতার নিয়ে যেতেন ইরফান সাজ্জাদ। সেখান থেকে ফেরার পর চলত ইফতারের অপেক্ষা। এরকম উল্লেখ করে বলেন, ‘প্রতিদিন বিকেলে আম্মা ইফতার তৈরি করে দিতেন। আমি সেই ইফতার প্লেটে করে মসজিদে দিতে যেতাম। ওখান থেকে আসা, ১০-১৫ মিনিট আগে টেবিলে সবাই মিলে একসঙ্গে ইফতারের অপেক্ষায় বসে থাকা— এই স্মৃতিগুলো মনে পড়ে।’

433139431_10224977654535293_2098252563072633631_n

এবার শৈশবের রমজানে ঘটে যাওয়া মজার ঘটনা তুলে ধরেন ইরফান। তিনি বলেন, ‘ছোটবেলায় আমার ছোট ভাইয়ের সঙ্গে খুব দুষ্টুমি করতাম। দুজনেই সুর করে আজান দিতে পারতাম। একবার ইফতারের সময় হওয়ার আগেই আমার ছোট ভাই আজান দেওয়া শুরু করে। ওইদিন আমার চাচার বাসায় অতিথি এসেছিলেন। ওর (ছোট ভাইয়ের) আজান শুনে তারা ইফতার শুরু করে দেন। কিন্তু ও তো দুই-তিন লাইনের বেশি আজান পারত না। যেটুকু পারত সেটুকু বলেই থেমে যায়। তখন আমার চাচার বাসার মানুষের টনক নড়ে। কী ব্যাপার আজান থেমে গেল কেন— ভাবতে থাকে তারা। এর দশ-পনেরো মিনিট পর মুয়াজ্জিন আজান দেন। আমি দেখলাম তখন তারা বলাবলি করছে— কী ব্যাপার এখানে কে আজান দিল। আমি বললাম আমার ছোট ভাই। শুনে তো সব হায় হায় করা শুরু করলেন।’

201446550_10219922555160968_1571292184472922181_n

ইরফান বলেন, ‘আরও একটি কাজ করতাম। আমাদের কাছে হুজুরের ফোন নাম্বার ছিল। আজান দিতে দেরি হলে হুজুরকে মিসকল দিতাম। এরকম দুষ্টুমি করতাম আমরা। এগুলো মনে পড়লে মন খারাপ হয়ে যায়। ইচ্ছা করে ছোটবেলায় ফিরে যেতে।’

সামনে ঈদ। দর্শকপ্রিয় এ অভিনেতার ব্যস্ততার খাতা জুড়ে ঈদের কাজ। অভিনয় করছেন ঈদের নাটকগুলোতে। ঈদে আসছে তার অভিনীত নাটক ‘সন্ধ্যা ৭টা’। এটি নির্মাণ করেছেন জিয়াউল হক পলাশ। এছাড়া ঈদের আরও কয়েকটি নাটকে তাকে দেখা যাবে বলে জানালেন অভিনেতা।