বিনোদন ডেস্ক
২৮ নভেম্বর ২০২৩, ০২:২৪ পিএম
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসাদ নির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে মনোনয়ন চেয়েছিলেন মাহিয়া মাহি। কিন্তু ভাগ্যে নৌকার টিকিট জোটেনি। তাই বলে বসে নেই মাহি। স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন তিনি। প্রার্থী হচ্ছেন রাজশাহী-১ (তানোর-গোদগাড়ী) আসন থেকে। এ বিষয়ে সামাজিক মাধ্যমে এক ভিডিওবার্তা দিয়েছেন মাহি। সেইসঙ্গেও হতে বলেছেন সাবধান।
নিজের ফেসবুকে দেওয়া ওই ভিডিওবার্তায় মাহি বলেন, ‘আমরা যারা মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম, আমাদেরকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী (আমার নেত্রী) দিক নির্দেশনা দিয়েছেন যে, এই নির্বাচন যেন একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনে যাতে একটা উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। যারা নির্বাচন করতে চায় (অর্থাৎ অন্যান্য দল-মত যারা ভেতরে পোষণ করে), তাদেরকে আমরা যেন উৎসাহ দিই, তারা যাতে অংশগ্রহণ করে—সেটা যেন আমরা নিশ্চিত করি।’
আরও পড়ুন: যা পাওয়া উচিত ছিল তার এক ভাগও পাইনি: রুবেল
এরপর পর্দার অগ্নি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা আসার পরে আমার এলাকা তথা রাজশাহী-১-এর অনেক মানুষ আছেন, যারা আমাকে ফোন করছেন। বলছেন— আপনি আসেন। আপনি ইলেকশন করেন। এবং অনেক তরুণরা আমাকে উৎসাহ দিচ্ছে। সুতরাং তাদের জন্য মূলত এবং আমার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি—এই নির্বাচনে রাজশাহী-১ থেকে স্বতন্ত্র ইলেকশন করব।’
আরও পড়ুন: বিএনএমে যোগ দিয়ে মনোনয়ন কিনলেন ডলি সায়ন্তনী
মাহি আরও বলেন, ‘আমি তো নিশ্চয়ই হারার জন্য ইলেকশন করব না, আমি আমার পক্ষ থেকে জেতার চেষ্টা করব। তো আপনারা যারা নির্বাচন করার জন্য ভেবেছিলেন, কিন্তু করবেন না; তারা কেন ঘরে বসে থাকবেন? আপনারাও চলে আসেন। আমরা সবাই মিলে একটা উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনটা করি। ইনশাল্লাহ, আপনার যদি যোগ্যতা থেকে থাকে, আপনি যদি মানুষের জন্য কিছু করে থাকেন—তাহলে অবশ্যই আপনিও জিতে বের হয়ে আসতে পারবেন।’
আরও পড়ুন: স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন মাহি, তুললেন মনোনয়নপত্র
এ অভিনেত্রী বলেন, ‘আমরা তো আসলে কম খাই, কম খেতে পছন্দ করি—যদি কেউ সম্মান করে। সম্মানটাকে অনেক গুরুত্ব দিই আমরা। কথা দিচ্ছি, যদি নির্বাচিত হই—আমার এলাকার মানুষকে সম্মানিত করব। শিক্ষক তার সম্মান পাবে। কৃষক সম্মান পাবে। প্রত্যেকটা মানুষ সম্মান নিয়ে এই এলাকায় বসবাস করবে, কাউকে ভয় পেয়ে না। এলাকার মানুষের জন্য আমি মানবিক কাজ করে যাচ্ছি। এখন মানুষ যদি চান, তারা আমাকে ভোট দেবেন।’
সবশেষে মাহি নাশকতাকারীদের উদ্দেশে দেন সতর্কবার্তা। তাদের সাবধান করে দিয়ে ব্লেন, ‘যারা আপনারা ইলেকশনে অংশগ্রহণ করবেন না, কিন্তু চিন্তা করে রেখেছেন ওই দিন সবাইকে ভয় দেখাবো যাতে ভোট দিতে না আসে অথবা একটা নাশকতার চেষ্টা করবেন। তাঁদের কিন্তু আমি সাবধান হতে বলছি।’
সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেনের কার্যালয় থেকে মাহির মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী প্রার্থী হিসেবে মাহিয়া মাহির নাম লেখা হয় শারমিন আক্তার নিপা।